বাংলাদেশের সফর ঘিরে নিরাপত্তা বলয় গড়ে তুলেছে পাকিস্তান সরকার। ১০ হাজারের বেশি পুলিশ সদস্যকে দায়িত্ব দিয়েছে পাঞ্জাবের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। এছাড়াও সিরিজ চলাকালীন দায়িত্বে থাকবেন ১৭ এসপি, ৪৮ ডিএসপি, ১৩৪ ইন্সপেক্টর ও ৫৯২ জন আপার সাবঅর্ডিনেট। বুধবার রাতে বিমানবন্দর থেকে হোটেলে এবং আজ (বৃহস্পতিবার) দুপুরে হোটেল থেকে লাহোরের গাদ্দাফি স্টেডিয়ামে অনুশীলনে যাওয়া-আসার সময় ক্রিকেটারদের নেওয়া হয় বুলেটপ্রুফ গাড়িতে। রাস্তার চারপাশ নিরাপত্তার চাদরে মোড়ানো তো ছিলই।
স্বাভাবিকভাবেই মাহমুদউল্লাহর কাছে এলো নিরাপত্তা বিষয়ে প্রশ্ন। বাংলাদেশের টি-টোয়েন্টি অধিনায়ক যা বললেন, সেটাই হয়তো শুনতে চেয়েছিল পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ড (পিসিবি)। নিরাপত্তা ব্যবস্থায় পুরোপুরি সন্তুষ্ট তিনি, ‘এমন নিরাপত্তা আগে দেখিনি। এই মুহূর্তে এটা (নিরাপত্তা ব্যবস্থা) অনেক উপভোগ করছি। নিরাপত্তার দিক থেকে বলবো, পাকিস্তান আমাদের সর্বোচ্চ নিরাপত্তা দিচ্ছে। আমি সব ব্যবস্থাপনায় সন্তুষ্ট।’
যদিও নিরাপত্তা নিয়ে খুব একটা ভাবনাও নেই মাহমুদউল্লাহর, ‘আমরা নিরাপত্তা নিয়ে এতটুকুও ভাবছি না। প্লেনে ওঠার আগে দেশেই ওটা রেখে এসেছি। এই মুহূর্তে পাকিস্তানের মাঠে ভালো ক্রিকেট খেলারই শুধু চিন্তা করছি। ভালো একটি সিরিজ উপহার দিতে চাই সবাইকে।’
কোয়েটা গ্লাডিয়েটরসের হয়ে পাকিস্তান সুপার লিগ (পিসিএল) খেলতে ২০১৮ সালে পাকিস্তানে গিয়েছিলেন মাহমুদউল্লাহ। আবারও দেশটিতে গিয়ে ভালো লাগছে তার, ‘ভালো লাগছে পাকিস্তানে এসে খেলতে পেরে। আমার মনে হয় এখানে ক্রিকেট খেলার পরিবেশ খুবই ভালো। আমরা এখানে ভালো ক্রিকেট খেলতে উন্মুখ।’
নিরাপত্তার কারণে পাকিস্তানে ‘বন্দি’ পরিবেশে থাকতে হবে। তাতে একসঙ্গেই বেশিরভাগ সময় থাকতে হবে খেলোয়াড়দের। এটাকে ইতিবাচক দেখছেন কিনা, এমন প্রশ্নে মাহমুদউল্লাহ বললেন, ‘শুরুতেই বলেছি, বিমানে ওঠার আগেই সব চিন্তা ফেলে এসেছি। বোর্ড যখন সিদ্ধান্ত নিয়েছে, তখন থেকে আমরা নিরাপত্তার বিষয় বাদ দিয়ে খেলা নিয়ে চিন্তা করছি। আমার কাছে মনে হয়, এখন ওই চিন্তা-ভাবনা থেকে বেরিয়ে আসা উচিত। দলের প্রতিটা খেলোয়াড় ওইভাবেই চিন্তা-ভাবনা করছে। আমরা শুধু এখানে ভালো পারফরম্যান্স করার জন্য এসেছি।’
আগামীকাল (শুক্রবার) লাহোরের গাদ্দাফি স্টেডিয়ামে প্রথম টি-টোয়েন্টিতে মুখোমুখি হবে বাংলাদেশ-পাকিস্তান। এরপর একই ভেন্যুতে আগামী ২৫ ও ২৭ জানুয়ারি খেলবে শেষ দুই ম্যাচ।