শেষ বিকেলে প্রোটিয়াদের উল্লাস

বেন স্টোকসকে ফিরিয়ে দারুণ খুশি প্রোটিয়ারাবৃষ্টি শেষ টেস্টের প্রথম সেশনে একটি বলও হতে দেয়নি। লাঞ্চের পর খেলা শুরু হলেও চা-বিরতি পর্যন্ত একটি উইকেটও পায়নি দক্ষিণ আফ্রিকা। কিন্তু শেষ বিকেলের সাফল্যে প্রোটিয়ারা উল্লাসে মেতে উঠেছে। জোহানেসবার্গে প্রথম দিন শেষে ইংল্যান্ডের স্কোর ১৯২/৪।

টসজয়ী ইংল্যান্ডকে ভালো সূচনা এনে দিয়েছিলেন জ্যাক ক্রলি আর ডমিনিক সিবলি। দুই ওপেনারের দৃঢ়তায় বিনা উইকেটে ১০০ রানে চা-বিরতিতে গিয়েছিল সফরকারী দল। কিন্তু চা-বিরতির পর ঘুরে দাঁড়িয়েছে দক্ষিণ আফ্রিকা।

সিবলিকে (৪৪) কট বিহাইন্ড করে স্বাগতিকদের ব্রেক থ্রু এনে দিয়েছেন অভিষিক্ত পেসার বিউরান হেনড্রিক্স। ৩ ওভার পর শেষ টেস্ট খেলতে নামা ভারনন ফিল্যান্ডারের আঘাত। ৬৬ রান করে তার বলে স্লিপে ক্যাচ দিয়েছেন ক্রলি। দুই ওপেনারকে হারিয়ে ইংল্যান্ডের রান তখন ১১৬।

রানটা ১৫০ হওয়ার পর প্রোটিয়াদের তৃতীয় সাফল্য এনে দিয়েছেন ডেন প্যাটারসন, জোন ডেনলিকে স্লিপ ফিল্ডারের ক্যাচ বানিয়ে। দারুণ ছন্দে থাকা বেন স্টোকস বেশিক্ষণ টিকতে পারেননি, পরিণত হয়েছেন রাসি ফন ডার ডুসেনের তৃতীয় ক্যাচে। ২ রান করা স্টোকসের মূল্যবান উইকেটটি আইনরিখ নর্কিয়ার।

আলোর স্বল্পতায় আগেই খেলা শেষ হওয়ার সময় অধিনায়ক জো রুট ২৫ রানে অপরাজিত। ২২ রান নিয়ে সঙ্গে আছেন ওলি পোপ।

কাগিসো রাবাদা এক ম্যাচ নিষিদ্ধ হলেও ওয়ান্ডারার্স স্টেডিয়ামে পাঁচ পেসার নিয়ে নেমেছে দক্ষিণ আফ্রিকা। সিরিজে ২-১এ এগিয়ে থাকা ইংল্যান্ড দলেও স্পিনার নেই। অফস্পিনার ডমিনিক বেসের জায়গায় ক্রিস ওকসকে নিয়ে তাদের দলেও পাঁচ পেসার।

 

সংক্ষিপ্ত স্কোর: প্রথম দিন শেষে

ইংল্যান্ড: প্রথম ইনিংস ১৯২/৪ (ক্রলি ৬৬, সিবলি ৪৪, ডেনলি ২৭, রুট ২৫*, স্টোকস ২, পোপ ২২*; ফিল্যান্ডার ১/৩৭, প্যাটারসন ১/৩৯, হেনড্রিক্স ১/৪৩, নর্কিয়া ১/৫৩)