শুক্রবারের দিনটি ব্যাট হাতে যদি হয় মুশফিকের, বোলিংয়ে তাহলে নাঈম হাসানের। তরুণ এই অফ স্পিনার পেয়েছেন ৮ উইকেট। পাকিস্তান সফরে যাওয়ার আগে ৬ উইকেট নিয়েছিলেন। ফিরে এসে শুরু করলেন সেই জায়গা থেকেই। এবার আরও ভয়ঙ্কর। তৃতীয় রাউন্ডের প্রথম ইনিংসে ১০৭ রান দিয়ে নিয়েছেন ৮ উইকেট।
পাকিস্তানকে ‘না’ বলা মুশফিকের জন্য এবারের রাউন্ডটি ভীষণ গুরুত্বপূর্ণ। এমনিতেই বোর্ড প্রধান ও প্রধান নির্বাচকের মন্তব্য তার পক্ষে নেই, এর ওপর আবার বিসিএলেও সুবিধা করতে পারছিলেন না। প্রথম রাউন্ডের দুই ইনিংস করেন যথাক্রমে ২ ও ৩৮। তাই সামনের জিম্বাবুয়ে টেস্টের আগে রানে ফেরা জরুরি ছিল সাবেক অধিনায়কের। মুশফিক সেটি করে দেখালেন দারুণ ব্যাটিংয়ে। আউট হওয়ার আগে ১৫৭ বলে খেলেন ১৪০ রানের ঝলমলে ইনিংস। ১৬ চার ও ২ ছক্কায় সাজানো তার ইনিংসে ভর দিয়ে উত্তরাঞ্চল অলআউট হয়েছে ২৭২ রানে। ব্যাটিংয়ে নেমে ভালো নেই পূর্বাঞ্চলও। ৩ রান তুলতে হারিয়েছে ২ উইকেট।
আজ কক্সবাজারের শেখ কামাল স্টেডিয়ামে নেমেছে উত্তরাঞ্চল ও পূর্বাঞ্চল। উত্তরাঞ্চলের হয়ে খেলা মুশফিক ১১৭ বলে পূরণ করেন প্রথম শ্রেণির ক্রিকেটে তার ১১তম সেঞ্চুরি। দলের অন্য ব্যাটসম্যানরা যখন একে একে যোগ দিয়েছেন ব্যর্থতার মিছিলে, সেখানে পাঁচ নম্বরে নেমে একা হাতে টেনে নিয়েছেন উত্তরাঞ্চলকে।
উত্তরাঞ্চলের ব্যাটিংয়ে একাই ধস নামিয়েছেন নাঈম। পেয়েছেন ৮ উইকেট। পাকিস্তান সফরে যাওয়ার আগেও আলো ছড়িয়েছিলেন তিনি, প্রথম ইনিংসে ২ উইকেটের পর দ্বিতীয় ইনিংসে নিয়েছিলেন ৬ উইকেট। যদিও রাওয়ালপিন্ডি টেস্টে খেলার সুযোগ হয়নি তার।
এদিকে প্রায় ২ বছর পর প্রথম শ্রেণির ক্রিকেটে ফিরেছেন মোহাম্মদ সাইফউদ্দিন। ব্যাটিংয়ে মোটেও ভালো করতে পারেননি। উত্তরাঞ্চলের অলরাউন্ডার রানের খাতা খোলার আগেই ফিরেছেন প্যাভিলিয়নে।