বিশ্বকাপ সেমিফাইনালে সেঞ্চুরির পুরস্কার ১০০ টাকা!

বিকেএসপির প্রধান প্রশিক্ষক মন্টু দত্তর কাছ থেকে ১০০ টাকা নিচ্ছেন মাহমুদুলবিকেএসপির কোনও ছাত্র সেঞ্চুরি করলে বা ৫ উইকেট নিলেই স্বাক্ষর করা ১০০ টাকা উপহার দেন প্রধান প্রশিক্ষক মন্টু দত্ত। সাকিব আল হাসান, সৌম্য সরকার, লিটন দাস তার কাছ থেকে এই পুরস্কার নিয়েছেন। এবার নিলেন যুব বিশ্বকাপজয়ী দলের সদস্য মাহমুদুল হাসান।

নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে সেমিফাইনালে মাহমুদুলের অনবদ্য সেঞ্চুরিতে জয়ের ভিত গড়ে ওঠে বাংলাদেশের। ফাইনালে ভারতের বিপক্ষে অবশ্য আউট হয়ে যান ৮ রান করে। তবে দল শিরোপা জিতেছে ঠিকই। বিশ্ব জয়ের পর মঙ্গলবার ফিরেছেন নিজের শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বিকেএসপিতে। আর ফিরেই পেয়েছেন অভিনব পুরস্কারটা। উচ্ছ্বসিত মাহমুদুল বাংলা ট্রিবিউনকে বললেন, ‘খুব ভালো লাগছে। আমি সব সময় স্যারের কাছ থেকে এভাবে ১০০ টাকা নেওয়ার চেষ্টা করি। সামনে আরও নেবো ইনশাল্লাহ।’

প্রিয় ছাত্রকে পুরস্কার দিতে পেরে মন্টু দত্তও খুশি, ‘আমি চাই ও সব সময় আমার কাছ থেকে ১০০ টাকা নিক। একবার ৯৯ রানে আউট হয়ে পুরস্কারটা একটুর জন্য পায়নি। এ নিয়ে ৯ বার পুরস্কারটা নিয়েছে সে।’

একবার সেঞ্চুরি করে ১০০ টাকা নিয়েও ফেরত দিয়েছিলেন মাহমুদুল। না, রাগ করে নয়, টাকায় স্বাক্ষর ছিল না। হাসতে হাসতে মন্টু দত্ত বললেন, “জয় (মাহমুদুল) একবার টাকা ফেরত দিয়ে বলেছিল, ‘স্যার, টাকায় আপনার স্বাক্ষর নেই।’ আমি সঙ্গে সঙ্গে স্বাক্ষর করে দিই। অনেকেই পুরস্কারের টাকা জমিয়ে রাখে। কেউ কেউ খরচ করে হয়তো।”

ছাত্রদের এমন পুরস্কার দিয়ে তিনি তৃপ্ত, ‘আমার এটা দিতে ভালোই লাগে। অনেকে টাকার অঙ্ক বাড়িয়ে দিতে বলে। আমি সেই ২০০০ সাল থেকে ১০০ টাকা করে পুরস্কার দিচ্ছি। এজন্য মাসে ১৫০০ থেকে ১৮০০ টাকা খরচ হয়।’

জাতীয় দলের উইকেটকিপার-ব্যাটসম্যান লিটন সবচেয়ে বেশি পুরস্কার নিয়েছেন মন্টু দত্তর কাছ থেকে। বিকেএসপির প্রধান প্রশিক্ষক সে কথা জানিয়ে বললেন, “এখনও সেঞ্চুরি করলেই লিটন-সৌম্য টাকা নিয়ে যায়। কিছুদিন আগে লিটন এসে বললো, ‘স্যার, ৩০০ টাকা বকেয়া আছে, দিয়ে দেন!’ আমি হাসতে হাসতে টাকাটা দিয়ে দিলাম।”