এবার ফাইনালের মাধ্যমে নির্ধারণ হয়েছে চ্যাম্পিয়ন। চট্টগ্রাম জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামের ফাইনাল ছিল পাঁচ দিনের। যদিও চতুর্থ দিনেই জয় নিশ্চিত করেছে দক্ষিণাঞ্চল। আজ (মঙ্গলবার) ৩৫৪ রানের লক্ষ্যে খেলতে নেমে পূর্বাঞ্চল অলআউট হয়ে যায় ২৪৮ রানে। এর আগে দ্বিতীয় ইনিংসে দক্ষিণাঞ্চল গুটিয়ে গিয়েছিল ১৪০ রানে।
ডাবল শিরোপার স্বাদ ২০১৩-১৪ ও ২০১৪-১৫ মৌসুমেও পেয়েছিল দক্ষিণাঞ্চল। যদিও হ্যাটট্রিক আনন্দ করতে পারেনি। এবার ছিল সেই অপূর্ণতা ঘোচানোর সুযোগ। ফাইনালে দারুণ পারফরম্যান্সে সেটি করে নিলো দক্ষিণাঞ্চল। ২০১২-১৩ মৌসুম দিয়ে শুরু হওয়া বিসিএল এবার দিয়ে হলো আটবার, যার পাঁচটিতেই চ্যাম্পিয়ন দক্ষিণাঞ্চল।
দ্বিতীয় ইনিংসের ব্যাটিংয়ে ভালো করতে পারেনি দক্ষিণাঞ্চল। ৮ উইকেটে ১২৫ রানে তৃতীয় দিন শেষ করায় চতুর্থ দিনে তারা কত তাড়াতাড়ি অলআউট হয়, সেটিই ছিল দেখার। মেহেদী হাসানের ৫৩ রানে ভর দিয়ে ১৪০ রানে অলআউট হয় তারা। হাসান মাহমুদ ও আবু হায়দার দুজনই নেন ৪টি করে উইকেট।
তাতে ৩৫৪ রানের লক্ষ্য পায় পূর্বাঞ্চল। প্রায় দুই দিন বাকি থাকায় তাদের জন্য রান তাড়া করাটা কঠিন ছিল না। কিন্তু দক্ষিণাঞ্চলের চমৎকার বোলিংয়ে চতুর্থ দিনেই অলআউট হয়ে গেছে পূর্বাঞ্চল। শুরুতেই তারা হারায় মোহাম্মদ আশরাফুলের উইকেট (৫)। আরেক ওপেনার পিনাক ঘোষও (১৬) যেতে পারেননি বেশিদূর। অধিনায়ক ইমরুল কায়েসও (৩) ব্যর্থ।
৩৩ রানে ৩ উইকেট হারানো পূর্বাঞ্চলকে টেনে তোলে মাহমুদুল হাসান ও আফিফ হোসেনের জুটি। যদিও ভালো শুরু করে আফিফ ৩১ রান করে ফিরে যান প্যাভিলিয়নে। ক্রিজে আসেন অনূর্ধ্ব-১৯ বিশ্বকাপ জয়ী তানজিদ হাসান। প্রথম শ্রেণি ক্রিকেটের অভিষেকে ৮২ রান করেছিলেন প্রথম ইনিংসে, তবে দ্বিতীয় ইনিংসে পারেননি। ১৭ রান করে বিদায় নেন এই ব্যাটসম্যান।
তবে একপ্রান্ত আগলে রেখে দলকে আশা দেখাচ্ছিলেন মাহমুদুল। যদিও ৮১ রান করে তিনি প্যাভিলিয়নে ফিরলে আরও ধাক্কা লাগে পূর্বাঞ্চলে। যেটি আর কাটিয়ে উঠতে পারেনি পূর্বাঞ্চল। জাকির হাসান (৪২) চেষ্টা করলেও হার ঠেকাতে পারেননি দলের।
শিরোপা জেতার পথে বল হাতে ৩টি করে উইকেট নিয়েছেন শরিফুল ইসলাম ও মেহেদী হাসান। আর ২ উইকেট শিকার ফরহাদ রেজার। অধিনায়ক রাজ্জাক প্রথম ইনিংসে ৭ উইকেট পেলেও ম্যাচসেরার পুরস্কার জিতেছেন ফরহাদ রেজা। প্রথম ইনিংসে তার ১০৩ রানের ইনিংসটিই মূলত ব্যবধান গড়ে দিয়েছে।
সংক্ষিপ্ত স্কোর:
দক্ষিণাঞ্চল: ৪৮৬ ও দ্বিতীয় ইনিংসে ৩৫.১ ওভারে ১৪০ (মেহেদী হাসান ৫৩, মাহমুদউল্লাহ ১৭, শামসুর রহমান ১৬; হাসান মাহমুদ ৪/৩৫, আবু হায়দার ৪/৫২)।
পূর্বাঞ্চল: ২৭৩ ও দ্বিতীয় ইনিংসে ৬৮.৪ ওভারে ২৪৮ (মাহমুদুল হাসান ৮১, জাকির হাসান ৪২, আফিফ হোসেন ৩১; শরিফুল ইসলাম ৩/৫৬, মেহেদী হাসান ৩/৬৬, ফরহাদ রেজা ২/৫১)।
ফল: দক্ষিণাঞ্চল ১০৫ রানে জয়ী।
ম্যাচসেরা: ফরহাদ রেজা (দক্ষিণাঞ্চল)।
সিরিজসেরা: এনামুল হক (দক্ষিণাঞ্চল)।