মুজিব হান্ড্রেড টি-টোয়েন্টি অনির্দিষ্টকালের জন্য স্থগিত

মুজিববর্ষকরোনাভাইরাস নিয়ে এখন আতঙ্কিত পুরো বিশ্ব। গত রবিবার বাংলাদেশে করোনাভাইরাস বহনকারী তিনজনকে শনাক্ত করা হয়েছে। এর প্রভাবে পুনর্বিন্যাস করা হচ্ছে মুজিববর্ষের অনুষ্ঠান। বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবার্ষিকী উপলক্ষে আগামী ১৭ মার্চ জাতীয় প্যারেড গ্রাউন্ডে মুজিববর্ষের উদ্বোধন অনুষ্ঠানসহ সব কার্যক্রমই ছোট আকারে করা হচ্ছে। এরই ধারাবাহিকতায় অনির্দিষ্টকালের জন্য মুজিব হান্ড্রেড টি-টোয়েন্টির দুটি ম্যাচ স্থগিত করতে বাধ্য হলো বিসিবি। একই সঙ্গে এ আর রহমানের কনসার্টটিও স্থগিত করা হয়েছে।

বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্ম শতবর্ষ উদযাপনের অংশ হিসেবে আগামী ২১ ও ২২ মার্চ এশিয়া ও অবশিষ্ট বিশ্ব একাদশকে নিয়ে দুটি টি-টোয়েন্টি ম্যাচ আয়োজনে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি) সবকিছুই ঠিকঠাক করে রেখেছিল। কিন্তু অনাহুত বাগড়া দিলো করোনাভাইরাস। করোনাভাইরাসের কারণে মুজিব হান্ড্রেড টি-টোয়েন্টি নামের এই সিরিজটি স্থগিত করতে বাধ্য হলো বিসিবি।

মুজিব হান্ড্রেড টি-টোয়েন্টি ম্যাচ নিয়ে বিসিবি সভাপতি নাজমুল হাসান বলেছেন, ‘২১ ও ২২ তারিখরে যে খেলাগুলো নিয়েও সমস্যা হচ্ছে। সবাই এখানে এসে খেলতে পারবে সেটা নিয়ে কোনও কথা নেই। আবার খেলে যে যেতে পারবে সেই নিশ্চয়তা নেই। অনেক বিধিনিষেধ আছে। এজন্য সিদ্ধান্ত নিয়েছি ম্যাচ পিছিয়ে দেবো। মাসখানেক পরে পরিস্থিতি বিবেচনা করে আমরা আয়োজন করবো।’

এদিকে আগামী ১৮ মার্চ ঢাকায় বিসিবির আয়োজনের হওয়ার কথা ছিল ভারতের বিখ্যাত সুরকার ও শিল্পী এ আর রহমানের কনসার্ট। সেটিও স্থগিত হয়ে গেছে। বিসিবি ভবিষ্যতে সুবিধাজনক সময়ে কনসার্টটি আয়োজন করতে চায়। মিরপুর শেরেবাংলা স্টেডিয়ামে বোর্ড প্রধান নাজমুল হাসান সংবাদমাধ্যমকে বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেছেন, ‘কনসার্ট নিয়ে আমাদের হাতে দুটা অপশন ছিল। ১৮ তারিখে কনসার্টটি হয়তো আমরা ছোট করে করতে পারতাম অথবা পিছিয়ে দিতে পারতাম। তবে আমরা সিদ্ধান্ত নিয়েছি বড় করেই কনসার্টটি করব। যেভাবে প্ল্যান করেছিলাম সেভাবেই  করবো। এজন্য এখন ছোটভাবে না করে আমরা এটাকে পিছিয়ে দিচ্ছি। এটা ১৮ তারিখ হচ্ছে না। পরিস্থিতির উন্নতি হলেই আমরা কনসার্টটি করবো।’

এছাড়া আগামী মাসের প্রথম সপ্তাহে পাকিস্তানে এক ম্যাচের ওয়ানডে সিরিজ ও টেস্ট সিরিজের বাকি ম্যাচটি খেলতে যাওয়ার কথা ছিল বাংলাদেশের। আগের দুই দফায় লাহোর ও রাওয়ালপিন্ডিতে খেললেও তৃতীয়বার দুই ম্যাচই খেলতে হবে করাচিতে। কিন্তু করাচিতে করোনাভাইরাস শনাক্ত হয়েছে। এরই মধ্যে নানা পদক্ষেপ নিতে শুরু করেছে পাকিস্তানের সিন্ধ প্রদেশের সরকার। ইরান ভ্রমণ শেষে প্রায় তিন শতাধিক পর্যটক দেশে ফেরার পর থেকেই আলোচিত করোনাভাইরাসের ব্যাপারে সতর্ক অবস্থানে সিন্ধ সরকার। এমন কি প্রতিরোধমূলক ব্যবস্থা হিসেবে করাচির প্রায় সব স্কুল বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছে পাকিস্তান সরকার। এই পরিস্থিতিতে পাকিস্তান সফরে যাওয়াটা নিশ্চিতভাবেই ঝুঁকির। বিসিবি অবশ্য পাকিস্তান সফরে যাওয়ার ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নেয়নি, ‘আমরা পাকিস্তান সফরের  ব্যাপারে এখনও সিদ্ধান্ত নিইনি। এটা নিয়ে আমরা বসবো, তারপর সিদ্ধান্ত নেবো। এখন পর্যন্ত আগের সিদ্ধান্তই বহাল আছে।’