কোয়ারেন্টিনে গিয়ে উদাহরণ তৈরি করলেন সাঙ্গাকারা

কুমার সাঙ্গাকারাকরোনাভাইরাস সচেতনতায় বরাবরই সোচ্চার কণ্ঠ কুমার সাঙ্গাকারার। শ্রীলঙ্কায় যখন কেউ কেউ সরকারি নিয়ম-নির্দেশনা মানছে না, তখন কোয়ারেন্টিনে গিয়ে উদাহরণ তৈরি করলেন সাবেক লঙ্কান ব্যাটিং গ্রেট।

করোনার সংক্রমণ রোধে সম্প্রতি শ্রীলঙ্কার সরকার নির্দেশনা দেয়, বিদেশ থেকে ফিরে পুলিশের কাছে নিবন্ধন করতে হবে এবং স্বেচ্ছায় কোয়ারেন্টিনে যেতে হবে। কিন্তু অনেকে এ নির্দেশনা মানছেন না। আরও উদ্বেগের ব্যাপার হলো, দেশে ফিরে তিনজন করোনার উপসর্গ লুকানোর চেষ্টা করেছেন।

দেশবাসীর এমন আচরণে হতাশ সাঙ্গাকারা। তাদের মধ্যে সরকারি নির্দেশনা মানার আগ্রহ তৈরি করার পদক্ষেপ নিলেন তিনি। সম্প্রতি লন্ডন থেকে দেশে ফিরে পুলিশের কাছে নিবন্ধন করে কোয়ারেন্টিনে গেছেন সাঙ্গাকারা।

আজ রবিবার স্থানীয় সংবাদমাধ্যমকে শ্রীলঙ্কার সাবেক ব্যাটিং গ্রেট বললেন, ‘আমার কোনও উপসর্গ বা তেমন কিছু নেই। কিন্তু আমি সরকারি নির্দেশনা মানছি। আমি লন্ডন থেকে এসেছি এক সপ্তাহের বেশি হয়ে গেলো। খবরে দেখলাম, ১ থেকে ১৫ মার্চের মধ্যে যারা বাইরে থেকে এসেছেন তাদের পুলিশের কাছে নিবন্ধন করতে হবে এবং স্বেচ্ছায় কোয়ারেন্টিনে যেতে হবে। আমি পুলিশের কাছে নিবন্ধন করেছি, কোয়ারেন্টিনেও আছি।’

সাঙ্গাকারার মতো তার বন্ধু মাহেলা জয়াবর্ধনেও করোনাভাইরাস সচেতনতায় ‍টুইটার ও ইনস্টাগ্রামে সক্রিয় ভূমিকা রাখছেন। তাদের পাশাপাশি বেশ কয়েকজন বর্তমান ক্রিকেটারও সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখার আহ্বান করছেন।

করোনার সংক্রমণ রোধে শুক্রবার সন্ধ্যা থেকে শ্রীলঙ্কায় কারফিউ জারি করা হয়েছে। রবিবার বিকেল পর্যন্ত দেশটিতে ৭৮ জন এ ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছে। দ্রুত এই সংখ্যা বাড়ার আশঙ্কা তৈরি হয়েছে গত সপ্তাহে সেন্ট টমাস কলেজ ও রয়্যাল কলেজের একটি ম্যাচের পর। ওই ম্যাচ মাঠে বসে দেখেছে হাজারখানেক দর্শক, তাদের মধ্যে একজনের করোনা আক্রান্তের খবর পাওয়া গেছে।