নারী ও যুব বিশ্বকাপজয়ী দলকে নিয়ে পাঁচটি করে ভার্চ্যুয়াল সেশন করার পরিকল্পনা সাজিয়েছে বিসিবি। ইতিমধ্যে কানাডাপ্রবাসী মনোবিদ আলী খানের সঙ্গে যোগাযোগও করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন বিসিবির প্রধান চিকিৎসক দেবাশীষ চৌধুরী।
করোনাকালে মনোবিদ নিয়োগ দেওয়ার কারণ ব্যাখায় বিসিবি এই চিকিৎসক বলেছেন, ‘আমরা চিন্তা করছিলাম, মেন্টাল ট্রেনার আনবো নাকি স্পোর্টস সাইকোলজিস্ট আনবো। আলোচনার পর আমরা ঠিক করেছি, এই মুহূর্তে আমাদের মেন্টাল ট্রেনার বেশি জরুরি। কারণ এখন যে সমস্যাটা খেলোয়াড়রা মোকাবিলা করছে, সেটা খেলা বিষয়ক। এটা অনিশ্চয়তা বিষয়ক সমস্যা। এ কারণে আমাদের মনে হচ্ছে মেন্টাল ট্রেনার ভালোভাবে সাহায্য করতে পারবেন।’
আলী খান অনুমতি দিলে খেলোয়াড়দের পাশাপাশি অনূর্ধ্ব-১৯ ও নারী দলের স্টাফদেরও এই কার্যক্রমে যুক্ত করা হবে। সবমিলিয়ে ৫০ জনকে নিয়ে আগামী শনিবার থেকে ভার্চ্যুয়াল এই সেশন শুরু হতে পারে। এই কার্যক্রম সফল হলে হাই পারফরম্যান্স ইউনিট (এইচপি) ও জাতীয় দলকেও এর আওতায় আনা হবে বলে জানিয়েছেন দেবাশীষ।
তার বক্তব্য, “মেন্টাল কোচ কথা বলবেন আমাদের অনূর্ধ্ব-১৯ ও জাতীয় নারী ক্রিকেট দলের সঙ্গে। মেন্টাল কোচের ক্লাসে সাপোর্টিং স্টাফরাও থাকবেন। যেহেতু সবকিছুর আলাদা বিভাগ আছে, বিভাগীয় প্রধানের অনুমতি লাগে। এ কারণে আমরা অপেক্ষা করছিলাম। আজকের (শনিবার) মিটিংয়ে বিসিবির প্রধান নির্বাহী বলেছেন, ‘উনারা অনুমতি দিয়েছেন, আপনি এগোতে পারেন।”
দেবাশীষ আরও বলেছেন, ‘এখন আমি আলী খানের সঙ্গে কথা বলবো। কিছু কথা হয়ে গেছে আমার সঙ্গে। এখন লজিস্টিক অর্থাৎ কখন, কোন সময়, কতজনকে নিয়ে ক্লাস হবে, এসব নিয়ে আলোচনা হবে। এগুলো ঠিক করতে হয়তো আমাদের তিন-চার দিন সময় লাগবে। দিনটা ঠিক হবে উনার সঙ্গে কথা বলে। উনার সুবিধা মতো করা হবে। তবে আশা করছি আগামী সপ্তাহ বা শনিবার থেকে শুরু করতে পারবো।’