বোলারের পা নির্দিষ্ট দূরত্ব পেরিয়ে গেলে ফিল্ড আম্পায়ার ডাকেন ‘নো বল’। তবে সামনের দিনে ফিল্ড আম্পায়ার নন, ওভার স্টেপের ‘নো’ ডাকবেন থার্ড (টিভি) আম্পায়ার। পায়ের ‘নো বলের’ সঠিক সিদ্ধান্ত দিতে দীর্ঘদিন কাজ করে যাচ্ছে ইন্টারন্যাশনাল ক্রিকেট কাউন্সিল (আইসিসি)। এরই মধ্যে বেশ কয়েকটি সিরিজ ও প্রতিযোগিতায় নো বল ডাকতে থার্ড আম্পায়ারের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। সাফল্যের বিবেচনায় বিশ্বকাপ সুপার লিগেও পায়ের ‘নো বল’ ডাকার ভার থার্ড আম্পায়ারের ওপর ছেড়ে দিচ্ছে আইসিসি।
গত বছরের ডিসেম্বরে ভারত-ওয়েস্ট ইন্ডিজ সিরিজে এই প্রযুক্তি ব্যবহার করা হয়েছে। এ বছর অস্ট্রেলিয়ায় হওয়া মেয়েদের টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপেও পায়ের নো বলের সিদ্ধান্ত দিয়েছেন থার্ড আম্পায়ার।
সফল প্রয়োগের পর সুপার লিগ দিয়ে প্রযুক্তিটি পুরোপুরি চালু করার কথা জানিয়েছেন আইসিসির ক্রিকেট অপারেশনের জেনারেল ম্যানেজার জিওফ অ্যালারডাইস, ‘এটা বৃহস্পতিবার থেকে (ইংল্যান্ড-আয়ারল্যান্ডের ওয়ানডে সিরিজ) ব্যবহার করা হবে। নো বলে যেহেতু ফ্রি হিটের ব্যাপার আছে, তাই এটা একদম নিখুঁত হওয়াটা জরুরি। আইসিসি ক্রিকেট কমিটি এটার সুপারিশ করেছিল এবং বিশ্বকাপ সুপার লিগে প্রয়োগ করা হবে।’
২০১৬ সালে ইংল্যান্ড-পাকিস্তান সিরিজে এই পদ্ধতির ব্যবহার করেছিল আইসিসি। যদিও সিদ্ধান্ত জানানোর সময় বেশি লাগায় শুরুতেই আগ্রহ হারিয়ে ফেলে সংস্থাটি। তবে প্রযুক্তির উন্নতিতে এখন নতুন করে বিষয়টি আবার যোগ করতে যাচ্ছে তারা।
‘নো বল’ প্রযুক্তির সঙ্গে সুপার লিগে স্লো ওভার রেটের অন্যরকম শাস্তির বিধানও রাখছে আইসিসি। কোনও দল নির্ধারিত সময়ের বেশি সময় বোলিং করলে কাটা যাবে পয়েন্ট। সুপার লিগে জয়ে ১০ পয়েন্ট এবং টাই ও পরিত্যক্ত ম্যাচে সমানভাবে ভাগ হবে পয়েন্ট।