‘হয় পাকিস্তানে খেলা হবে, নয়তো খেলবোই না’

পিসিবি চেয়ারম্যান এহসান মানিদেশের মাটিতে পাকিস্তান আন্তর্জাতিক ক্রিকেট ফিরিয়েছে আগেই, টি-টোয়েন্টি দিয়ে। ‍এরপর ওয়ানডে ও টেস্ট ক্রিকেটও ফিরেছে। বেশ কয়েকটি সিরিজ সফলভাবে শেষ করার পর এখন আর নিরপেক্ষ ভেন্যুতে কোনও সিরিজ আয়োজন করতে রাজি নয় পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ড (পিসিবি)। সংস্থাটির প্রধান এহসান মানি স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছেন, খেললে তারা দেশেই মাটিতেই খেলবেন, তা না হলে খেলবেনই না!

এই মুহূর্তে ইংল্যান্ড সফরে আছে পাকিস্তান দল। এই ইংলিশদের বিপক্ষেই ২০২২ সালে হোম সিরিজ আছে তাদের। ওই সিরিজ নিয়েই কথা বলেছেন মানি। ২০০৫ সালে সবশেষ পাকিস্তানের মাটিতে খেলেছে ইংল্যান্ড, এরপর দুইবার পাকিস্তান তাদের আতিথ্য দিলেও সেটা ছিল সংযুক্ত আরব আমিরাতে। ২০২২ সালের সিরিজটি আর নিরপেক্ষ ভেন্যুতে করতে চায় না পিসিবি। ঘরের মাঠেই আয়োজনে বদ্ধপরিকর তারা।

তাছাড়া ইংল্যান্ড দলের পাকিস্তানে না খেলার কোনও কারণও দেখেন না মানি। পিসিবি চেয়ারম্যানের স্পষ্ট কথা, ‘ইংল্যান্ডের না আসার কোনও কারণ আছে বলে আমার মনে হয় না। আমি স্পষ্ট করে বলতে চাই, আমরা আর তৃতীয় কোনও দেশে খেলবো না। হয় পাকিস্তানে খেলা হবে, নয়তো খেলবোই না।’

২০০৯ সালে লাহোরে শ্রীলঙ্কা দলের বাসে সন্ত্রাসী হামলার পর দীর্ঘদিন ক্রিকেট বন্ধ ছিল পাকিস্তানে। ২০১৫ সালে জিম্বাবুয়ে সফর দিয়ে আন্তর্জাতিক ক্রিকেট ফেরে দেশটিতে। এরপর শ্রীলঙ্কা, ওয়েস্ট ইন্ডিজ, বাংলাদেশ ও বিশ্ব একাদশ খেলেছে পাকিস্তানে। এমনকি ১১ বছর আগে লাহোরে সন্ত্রাসী হামলার শিকার হয়েছিলেন যিনি, সেই কুমার সাঙ্গাকারাও পাকিস্তানে গিয়েছেন এমসিসির অধিনায়ক হয়ে।

মানি তাই জোর গলায় বলছেন, ‘পাকিস্তান নিরাপদ। বেশ কয়েকটি দল এখানে এসেছি এবং আমরা তাদের কড়া নিরাপত্তা দিয়েছি, যেমনটা কোনও দেশের সরকার প্রধানকে দেওয়া হয়। এমসিসি যখন এসেছিল, তারা বাইরে গিয়েছে, গলফ খেলেছে, রেস্টুরেন্টে গিয়েছে।’

ইংল্যান্ডের পাকিস্তান সফর ২০২২ সালে। হাতে আছে আরও দুই বছরের মতো। এই সময়ের মধ্যে সফরের সবকিছু ঠিক হয়ে যাওয়ার প্রত্যাশা পিসিবি প্রধানের, ‘ইংল্যান্ড আসার আগে আমরা দুই বছর সময় পাচ্ছি। আশা করছি সবকিছু ঠিকঠাক হয়ে যাবে এবং সেই সময় আরও স্বাধীনভাবে ঘোরাফেরার অবস্থা তৈরি হবে।’