ফরম্যাটে আটকে বাংলাদেশের শ্রীলঙ্কা সফরের সূচি

বাংলাদেশ-শ্রীলঙ্কাগত জুলাইয়ে শ্রীলঙ্কা সফরে যাওয়ার কথা ছিল বাংলাদেশের। কিন্তু করোনার কারণে সিরিজিটি স্থগিত করতে বাধ্য হয় লঙ্কান ক্রিকেট বোর্ড (এসএলসি)। স্থগিত হওয়া তিন ম্যাচের টেস্ট সিরিজ আগামী সেপ্টেম্বর-অক্টোবরে হওয়ার কথা থাকলেও এখনও সূচি চূড়ান্ত করতে পারেনি দুই বোর্ড। সমস্যাটা বেঁধেছে ফরম্যাট নিয়ে। বিসিবির প্রধান নির্বাহী নিজামউদ্দিন চৌধুরী জানিয়েছেন, এখনও ফরম্যাট চূড়ান্ত না হওয়াতেই সূচি করা যাচ্ছে না।

সূচি অনুযায়ী, শ্রীলঙ্কা সফরে তিন ম্যাচের টেস্ট সিরিজ খেলার কথা বাংলাদেশের। তবে শ্রীলঙ্কা ক্রিকেট বোর্ড টেস্টের সঙ্গে টি-টোয়েন্টি সিরিজও আয়োজন করতে চাইছে। দুই বোর্ডের মধ্যে এ নিয়ে এখনও আলোচনা চলছে। ফরম্যাট নিয়ে তারা সিদ্ধান্তে এলেই আসবে চূড়ান্ত সূচির ঘোষণা।

আজ (সোমবার) বিসিবি থেকে পাঠানো এক ভিডিও বার্তায় তেমনটাই জানিয়েছেন নিজামউদ্দিন, ‘শ্রীলঙ্কা ক্রিকেট বোর্ডের সঙ্গে আমাদের নিয়মিত যোগাযোগ হচ্ছে। আমাদের প্রাথমিক আলোচনা ছিল তিন টেস্টের একটা সিরিজ হবে। এর সঙ্গে আরও তিনটি টি-টোয়েন্টি ম্যাচ খেলার প্রস্তাব এসেছে, যেটা আমরা অভ্যন্তরীণ আলোচনা শেষে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নিয়ে জানাবো। সূচি আমরা এখনও চূড়ান্ত করিনি, কোন কোন ফরম্যাটে খেলা হবে, সেটা চূড়ান্ত করে তারিখগুলো ফাইনাল করবো।’

এদিকে ক্রিকেটাররা ব্যক্তিগত অনুশীলন শুরু করলেও দলীয় অনুশীলন করতে পারছে না। কিন্তু শ্রীলঙ্কা সিরিজ সামনে রেখে ক্যাম্পের ব্যবস্থা করতেই হবে বিসিবিকে। যদিও সেই ব্যাপারে এখনও সিদ্ধান্ত নিতে পারেনি বাংলাদেশের ক্রিকেটের নিয়ন্ত্রক সংস্থা। অবশ্য প্রধান নির্বাহী জানিয়েছেন, শ্রীলঙ্কা সফর চূড়ান্ত হওয়ার পরপরই ক্যাম্পের ব্যবস্থা করবে বিসিবি, ‘আমরা যখন সূচি চূড়ান্ত করবো তখনই জাতীয় দলের ক্যাম্পের সময়সীমা নির্ধারণ করবো। সম্ভাব্য যে পরিকল্পনা তাতে সেপ্টেম্বরের শেষের দিকে যদি আমরা শ্রীলঙ্কা সফর করি সেক্ষেত্রে শ্রীলঙ্কা সফরের আগেই এখানে কিছু কন্ডিশনিং ক্যাম্পের আয়োজন করা হবে।’

ক্যাম্প শুরুর আগে ক্রিকেটাদের করোনা পরীক্ষা করানোর কথাও শোনালেন বিসিবির প্রধান নির্বাহী, ‘জাতীয় দলের সম্ভাব্য খেলোয়াড়দের একটা অ্যাপসের অধীনে নিয়ে আসা হয়েছে। এই অ্যাপসের মাধ্যমে তাদের স্বাস্থ্যের অবস্থা সরাসরি পর্যবেক্ষণ করছে আমাদের মেডিক্যাল ডিপার্টমেন্ট। যখনই আমরা ক্যাম্পের বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেবো, তখন তাদেরকে আইসোলেশনে রেখে করোনা টেস্ট করবো। তারপরই তাদের রেসিডেন্সিয়াল ক্যাম্পের জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেবো।’