শ্রীলঙ্কা সফরেই ফিরতে পারেন সাকিব

সাকিবতিন ম্যাচের টেস্ট সিরিজ খেলতে ২৩ সেপ্টেম্বর শ্রীলঙ্কা সফরে যাবে বাংলাদেশ দল। কোয়ারেন্টিন ও প্রস্তুতি মিলিয়ে সিরিজ শুরু হবে অক্টোবরের শেষ দিকে। ‍আর সাকিব আল হাসানের নিষেধাজ্ঞার সময় শেষ হবে ২৮ অক্টোবর। শ্রীলঙ্কায় টেস্ট শুরু ও নিষেধাজ্ঞার সময় বিবেচনায় নিলে এই সিরিজ খেলার সুযোগ তৈরি হচ্ছে সাকিবের। যদিও সবকিছু নির্ভর করছে আইসিসি ও বিসিবির সিদ্ধান্তের ওপর।

আজ (বুধবার) বিসিবি জানিয়েছে, ২৪ অক্টোবর শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে শুরু হবে প্রথম টেস্ট। দ্বিতীয় টেস্টের দিনক্ষণ সম্পর্কে নিশ্চিত হওয়া না গেলেও বিসিবি সূত্রে জানা গেছে, ২ বা ৩ নভেম্বর শুরু হতে পারে দ্বিতীয় টেস্ট। ২৮ অক্টোবর নিষেধাজ্ঞা উঠে যাওয়ার পর চাইলেই দ্বিতীয় টেস্ট খেলতে পারবেন সাকিব। এখন প্রশ্ন হচ্ছে, এক বছর ক্রিকেটের বাইরে থাকা খেলোয়াড়কে সুযোগ দেবে কিনা বাংলাদেশ ক্রিকেটের সর্বোচ্চ নিয়ন্ত্রক সংস্থা।

সময়ের হিসাব কষলে অন্য ক্রিকেটাররাও কিন্তু লম্বা সময় মাঠের বাইরে। করোনাভাইরাসের কারণে ছয়-সাত মাস খেলা নেই তাদের। ফলে সাকিবের সঙ্গে অন্যান্য ক্রিকেটারদের খুব একটা পার্থক্য থাকছে না। এই বিষয়টিই সামনে এনেছেন বাংলাদেশ দলের প্রধান কোচ রাসেল ডোমিঙ্গো।

ক্রিকইনফোকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে ডোমিঙ্গো বলেছেন, ‘আমি মনে করি না সাকিব এক বছর ক্রিকেটের বাইরে থাকলেও সেটা অন্য ক্রিকেটারদের সঙ্গে বড় পার্থক্য তৈরি করবে। কারণ করোনার কারণে এমনিতেই প্রত্যেক ক্রিকেটারকে ৬-৭ মাস মাঠের বাইরে থাকতে হয়েছে। আমরা আশা করবো, সব ক্রিকেটারই ফিট থাকবে। অবশ্যই প্রত্যেকে ক্রিকেটারের ন্যুনতম ফিটনেস লেভেল থাকতে হবে।’

ক্রিকেট পরিচালনা বিভাগের প্রধান আকরাম খান অবশ্য আইসিসির সঙ্গে আলোচনা করে সাকিবের ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নেওয়ার কথা শোনালেন, ‘সাকিবের ব্যাপার আলোচনায় ছিল, সেই ব্যাপারেও আমরা কথা-বার্তা বলেছি। আইসিসির কী কী গাইডলাইন আছে সেগুলো ভালো করে জেনে আমরা সাকিবের ব্যাপারে এগুবো। সে (সাকিব) মুক্ত হবে ২৯ অক্টোবর। এর আগে সে কিন্তু দলের সঙ্গে অনুশীলন করতে পারবে না।’

আকরাম আরও বলেছেন, ‘বোর্ড সভাপতি পাপন ভাই (নাজমুল হাসান), হেড কোচ রাসেল ডোমিঙ্গো ও কোচিং স্টাফদের সঙ্গে এ বিষয়ে বিস্তারিত কথা বলবো। সব কথা-বার্তার পর আসলে সাকিব ইস্যুতে সিদ্ধান্ত নেওয়া যাবে। অবশ্যই সে বাংলাদেশের অন্যতম সেরা খেলোয়াড়। সে দলে থাকলে বাংলাদেশের শক্তি অনেক বেড়ে যায়। সাকিবকে নিয়ে আমাদের ভাবনা ইতিবাচকই।’

বিসিবির আরেক পরিচালক নাঈমুর রহমান দুর্জয় গুরুত্ব দিলেন আইসিসির গাইডলাইন ও সাকিবের ফিটনেসের ওপর। বাংলা ট্রিবিউনকে তিনি বলেছেন, ‘সাকিবকে নিয়ে আলোচনা হয়েছে। এরপরও এখনও অনেক কিছু আলোচনার আছে। সাকিবের নিষেধাজ্ঞা কাটার পরও আইসিসির গাইডলাইনে কী আছে, সেগুলো বিবেচনা করতে হবে। সাকিবের ফিটনেস লেভেল কোন পর্যায়ে সেটা দেখতে হবে। কোচ, অধিনায়ক, নির্বাচকদের মতামত নিতে হবে। বোর্ডের সিদ্ধান্তের ব্যাপারও আছে। সাকিব ইস্যুতে এইসব কিছু মিলে গেলে তার না খেলার তো কোনও কারণ নেই।’