মুশফিক-তামিমদের খেলায় ফেরাতে করপোরেট লিগ!

বরাবরের মতো অনুশীলনে মগ্ন মুশফিক। কিন্তু মাঠে ফেরার সময়টা অনিশ্চিত হয়ে পড়েছে আবারও।বাংলাদেশের শ্রীলঙ্কার সফর হবে কি হবে না- এই মুহূর্তে পুরো বিষয়টি নির্ভর করছে স্বাগতিক দেশের ওপর। বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি) জানিয়ে দিয়েছে, শ্রীলঙ্কা ক্রিকেট বোর্ডের (এসএলসি) পাঠানো শর্তে কোনোভাবেই টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের ম্যাচ খেলা সম্ভব নয়। এখন লঙ্কান ক্রিকেট বোর্ডের জবাবের অপেক্ষায় বিসিবি। যদি শেষ পর্যন্ত শ্রীলঙ্কায় যাওয়া না হয়, তাহলে? সেক্ষেত্রে তামিম-মুশফিকদের মাঠে ফেরাতে করপোরেট লিগ আয়োজনের ইঙ্গিত দেশের ক্রিকেটের সর্বোচ্চ নিয়ন্ত্রণ সংস্থার।

সোমবার মিরপুর শেরেবাংলা স্টেডিয়ামে বিসিবি সভাপতি নাজমুল হাসান জানিয়েছিলেন, শ্রীলঙ্কা সিরিজ না হলেও তারা বসে থাকবেন না। দ্রুততম সময়ের মধ্যেই বিসিবি মাঠে খেলা ফিরিয়ে আনতে চায়। তবে সেটা ঢাকা প্রিমিয়ার লিগ (ডিপিএল) নাকি জাতীয় ক্রিকেট লিগ (এনসিএল) সে ব্যাপারে পরিষ্কার করেননি তিনি। যদিও বিসিবি পরিচালক নাঈমুর রহমান দুর্জয়ের কথায় ইঙ্গিত, করপোরেট ক্রিকেট লিগ আয়োজনের চিন্তা-ভাবনা করছে তারা।

এই টুর্নামেন্ট আয়োজন করতে জাতীয় দলের পুলের ক্রিকেটারদের দুই-তিনটি দলে ভাগ করে এবং হাই পারফরম্যান্স দল ও অনূর্ধ্ব-১৯ দলকে নিয়ে লিগ আয়োজনের সম্ভাব্যতার বিষয়টি তুলে ধরছেন বিসিবির এই পরিচালক। 

দুর্জয় বলেছেন, ‘ঘরোয়া লিগ বলতে আমাদের ঢাকা প্রিমিয়ার লিগ বা বিপিএল, বিসিএল এভাবে চিন্তা না করে এখন যেহেতু একটা বায়ো সিকিউরিটির ব্যাপার আছে, সেহেতু আমাদের বোর্ডের একটা প্রস্তুতির ব্যাপার আছে। বোর্ডের নিয়ন্ত্রণে আছে যেসব সেসব আয়োজন করতে পারি। জাতীয় দলের দুই-তিনটা দল, হাই পারফরম্যান্স আছে, অনূর্ধ্ব-১৯ দল আছে, সবাইকে নিয়ে যদি কোনও খেলা আয়োজন করতে পারি।’

করোনার কারণে ক্লাবগুলো এই মুহূর্তে ঢাকা লিগ আয়োজন করতে পারবে না বলে মনে করছেন বিসিবির হাই পারফরম্যান্স ইউনিটের চেয়ারম্যান পদে থাকা সাবেক অধিনায়ক, ‘আপনারাও জানেন ক্লাবগুলোর জন্য এখন কঠিন, আমরা কোয়াবের পক্ষ থেকেও যোগাযোগ করেছি। সেক্ষেত্রে যদি করপোরেট হাউজগুলো এগিয়ে আসে, তাহলে সম্ভবত করপোরেট লিগ হতে পারে।’

রবিবার রাতে বিসিবি বরাবর চিঠি পাঠায় লঙ্কান বোর্ড। চিঠিতে শ্রীলঙ্কা সফরের ব্যাপারে বাংলাদেশ দলের জন্য বেঁধে দেওয়া হয় কঠিন সব শর্ত। সেই শর্ত মেনে শ্রীলঙ্কায় দল পাঠাতে ইচ্ছুক নয় বিসিবি। ঘরোয়া ক্রিকেট ফেরানো নিয়ে বোর্ড প্রধানও সোমবার বলেছেন, ‘আমরা দ্রুততম সময়ের মধ্যে ক্রিকেট মাঠে ফেরাবো। এখন কোচিং স্টাফ আছে। ছেলেরা এতদিন খেলার বাইরে। ওদের আবার খেলার মাঠে নিয়ে আসবো। একেবারে ওই রকম কিছু করতে পারবো কি না জানি না। আমরা তো ক্লাবগুলোকে ম্যানেজ করতে পারবো না। যেটুকুই ম্যানেজ করতে পারবো ততজনকে নিয়েই করবো। ৪০ বা ৬০ খেলোয়াড় হলে পারবো। করোনাকালীন সময়ে ক্রিকেটারদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে হবে। আমরা যতটুকু কন্ট্রোল করতে পারবো, ততটুকু খেলা চালাবো। তবে খেলা মাঠে গড়াবেই।’