বোলাররা পাচ্ছেন ‘ফুল নম্বর’

গত মার্চে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে সিরিজ দিয়ে শেষ হয় অধিনায়ক মাশরাফি মুর্তজার অধ্যায়। এরপর তামিম ইকবালের কাঁধে চাপে ওয়ানডের নেতৃত্ব। দীর্ঘ অপেক্ষা শেষে যাত্রা করা অধিনায়ক-মিশনের শুরুটা হলো তার জয় দিয়ে। আজ (বুধবার) প্রথম ওয়ানডেতে ওয়েস্ট ইন্ডিজকে ৬ উইকেটে হারিয়েছে বাংলাদেশ।

জয়টা সহজেই এসেছে বাংলাদেশের। যার ভিত গড়ে দিয়েছিলেন বোলাররা। স্বাভাবিকভাবেই অধিনায়ক তামিমের প্রশংসা কুড়াচ্ছেন তারা। নিষেধাজ্ঞা কাটিয়ে প্রথমবার দেশের জার্সিতে নেমে সাকিব যেমন আলো ছড়িয়েছেন, তেমনি অভিষেকেই নিজেকে প্রমাণ করেছেন তরুণ পেসার হাসান মাহমুদ। তারা সবাই ‘ফুল নম্বর’ পাচ্ছেন তামিমের কাছ থেকে।

শুরুতেই দুই ওপেনারকে ফিরিয়ে দারুণ শুরু করেন মোস্তাফিজুর রহমান। তার দেখানো পথে হেঁটে আলো ছড়িয়েছেন সাকিব। দেড় বছর পর ওয়ানডেতে নেমে ৪ উইকেট নিয়ে ম্যাচসেরার পুরস্কার জেতেন বিশ্বসেরা এই অলরাউন্ডার। অভিষিক্ত হাসান মাহমুদ নেন ৩ উইকেট। সব মিলিয়ে বোলারদের দাপটে ১২২ রানে অলআউট হয় সফরকারীরা।

তামিম তাই জয়ের কৃতিত্বটা বোলারদেরই দিচ্ছেন, ‘আমাদের বোলাররা প্রত্যাশা মতো বোলিং করেছে। মোস্তাফিজ শুরু থেকেই দুর্দান্ত ছিল। রুবেলের শুরুটা ভালো হয়েছে। তরুণ হাসান প্রত্যাশা মতো পারফরম্যান্স করেছে। পেসারদের পাশাপাশি আমাদের স্পিনাররা ভালো ছিল। বিশেষ করে সাকিবের বোলিং খুব ভালো হয়েছে। মিরাজ ভালো করেছে।’

সারা দিন সূর্য উঁকি দেয়নি। ফলে উইকেট কিছুটা ভেজা ছিল। এমন উইকেটে ব্যাটিং করাটা বেশ কঠিন ছিল দুই দলের। ১২৩ রান তাড়া করতে নেমে টপ অর্ডারের চার ব্যাটসম্যানকে হারাতে হয়েছে স্বাগতিকদের। তামিম অবশ্য কারও দোষ দেখছেন না, ‘উইকেটে ব্যাটিং করা খুব কঠিন ছিল। এখানে আক্রমণাত্মক ব্যাটিং করা বেশ কঠিন। শুরুতে আমার উইকেট দেখে তেমন ধারণাই হয়েছিল। কিছুই করার ছিল না, কেননা সূর্য ওঠেনি। সত্যিকার অর্থে কাউকে দোষারোপ করার সুযোগ নেই। এ ধরনের উইকেটে ধৈর্য নিয়ে বুঝেশুনে ব্যাটিং করতে হয়।’