আইরিশদের হোয়াইটওয়াশ করেও বাংলাদেশের কাছে নেই আফগানিস্তান!

আফগানিস্তানের বিপক্ষে টানা দুই ম্যাচে সেঞ্চুরি পেয়েছেন পল স্টার্লিং। তার পরেও সেই সেঞ্চুরি দলকে জেতাতে পারেনি। তৃতীয় ওয়ানডেতে আইরিশদের ৩৬ রানে হারিয়ে সিরিজ ৩-০ তে নিশ্চিত করেছে আফগানিস্তান। তাতে ওয়ানডে সুপার লিগে গুরুত্বপূর্ণ ৩০টি পয়েন্ট অর্জন করেছে তারা।

ওয়ানডে সুপার লিগের পয়েন্ট টেবিলে ৬ ম্যাচে ৪টি জিতে ৪০ পয়েন্ট নিয়ে শীর্ষে অস্ট্রেলিয়া। ৩ ম্যাচে ৩০ পয়েন্ট নিয়ে রান রেটের কারণে তার পরেই বাংলাদেশের স্থান। ৬ ম্যাচে ৩০ পয়েন্ট নিয়ে তিনে ইংল্যান্ড। ৩ ম্যাচে ৩০ পয়েন্ট হলেও রান রেটের কারণে চারে আছে আফগানরা।

আরব আমিরাতে টস জিতেও আফগানদের ব্যাটিংয়ে পাঠিয়েছিল আইরিশরা। নিয়মিত বিরতিতে উইকেট হারানো আফগানিস্তানের অবস্থাটা একটা পর্যায়ে দাঁড়ায় এমন- ৭ উইকেটে ১৬৩ রান। লেজের দিকে সংগ্রহটা ভদ্রস্থ হয়েছে মূলত রশিদ খান ও গুলবাদিন নায়েবের দৃঢ়তায়। গুলবাদিন যখন ৩৬ রানে ফেরেন তখন স্কোর পার হয়েছে ২১০ রান। রশিদ খান কিছু শটস খেলে দলকে এগিয়ে নেন আরও। বিদায় নেওয়ার আগে উপহার দেন ৪৮ রানের দায়িত্বশীল একটি ইনিংস। তার ৪০ বলের ইনিংসে ছিল ৩টি চার ও ৩টি ছয়। রশিদ ফিরে গেলে মুজিব উর রহমান ও নাভিন উল হকের ব্যাটে ৯ উইকেটে শেষ পর্যন্ত ২৬৬ রান সংগ্রহ করে আফগানরা।  

আইরিশদের হয়ে ৩৭ রানে ৩ উইকেট নিয়েছেন সিমি সিং। ৬১ রান দিয়ে সমসংখ্যক উইকেট নিয়েছেন ক্রেইগ ইয়ং।

জবাবে খেলতে নামা আইরিশদের শুরু থেকে এগিয়ে নিয়েছেন ওপেনার স্টার্লিং। বাকিরা সঙ্গ দিতে না পারলেও সেঞ্চুরি তুলে ৩৬ ওভার পর্যন্ত টেনে নিয়েছেন দলকে। তাতে আইরিশদের হয়ে সবচেয়ে বেশি ওয়ানডে সেঞ্চুরির কীর্তি গড়েছেন তিনি (১২টি)। তবে ব্যক্তিগত ১১৮ রানে মুজিবের বলে তার বোল্ড হয়ে ফেরার পর আইরিশরা বেশি দূর আর যেতে পারেনি। ৪৭.১ ওভারে থেমেছে ২৩০ রানে।

ব্যাট হাতে দায়িত্বশীল ইনিংসের পর বল হাতেও অসাধারণ ছিলেন রশিদ। ২৯ রানে ৪ উইকেট নিয়ে তিনি ছিলেন সেরা বোলার। ৪৩ রানে দুটি নিয়েছেন মুজিব। ম্যাচসেরা রশিদ খান। আর সিরিজ সেরা পল স্টার্লিং।