মোস্তাফিজ বললেন, আইপিএলের চেয়ে দেশ বড়

এপ্রিলে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে টেস্ট সিরিজ বাদ দিয়ে আইপিএলকে বেছে নিয়েছেন সাকিব আল হাসান। ভাবা হচ্ছিল, হয়তো একই কাজ করবেন মোস্তাফিজুর রহমান। যে কারণে আইপিএল নিয়ে কথা বলতে গত সোমবার বিসিবি প্রধানের সঙ্গে দেখা করেছিলেন। বোর্ড প্রধান নাজমুল হাসান বলেছেন, চাইলে তাকেও অনুমতি দেবে বিসিবি। কিন্তু মোস্তাফিজ সিনিয়র ক্রিকেটার সাকিবের পদাঙ্ক অনুসরণ করলেন না। মঙ্গলবার স্পষ্ট করে জানিয়েছেন, দেশের ক্রিকেট মোস্তাফিজের কাছে সবার আগে।

মোস্তাফিজ অবশ্য দুই মৌসুম পর ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগে (আইপিএল) খেলার সুযোগ পেয়েছেন। প্রথম দুই আসরে খেলেছেন সানরাইজার্স হায়দরাবাদে। শেষ আসরে ছিলেন মুম্বাই ইন্ডিয়ান্সে। এবার তাকে ১ কোটি রুপির ভিত্তিমূল্যে দলে ভিড়িয়েছে রাজস্থান। মঙ্গলবার আইপিএল নিয়ে নিজের অবস্থান স্পষ্ট করেন মোস্তাফিজ, 'যদি টেস্টে আমাকে রাখে, তাহলে টেস্ট খেলবো। আর যদি না রাখে, বিসিবি যেটা বলবে আমি সেটাই করবো।’

এমনিতে টেস্টে বাজে অবস্থায় আছে বাংলাদেশ দল। এক জিম্বাবুয়ে ছাড়া মুশফিকরা ভারত, পাকিস্তান, আফগানিস্তান ও ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে বাজে ভাবে হেরেছে। এমন হারের পর বিসিবি আশা করেছিল, শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে টেস্ট সিরিজে ভালো করতে মুখিয়ে থাকবেন ক্রিকেটাররা। কিন্তু সাকিব আল হাসান আইপিএলে পুরো সিজনের জন্য চুক্তিবদ্ধ হওয়াতে তার দেশপ্রেম নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। তাই ব্যতিক্রম হিসেবেই নজির স্থাপন করতে চাচ্ছেন মোস্তাফিজ! তিনি আরও বলেছেন, ‘বিসিবি চাইলে রাজি না হওয়ার তো কিছু নেই। আমার কাছে সবার আগে দেশের খেলা, শ্রীলঙ্কা টেস্টে যদি থাকি, তাহলে টেস্ট খেলবো। যদি না থাকি তাহলে বিসিবি তো আমাকে বলবে যে আমি নেই। বিসিবি যদি আমাকে ছাড়ে, তাহলে আমি আইপিএলে খেলবো। আমার কাছে সবার আগে দেশ প্রেম।'

প্রসঙ্গত, ২০১৬ সালের আইপিএল নিলামে প্রথমবার নাম যোগ হয় মোস্তাফিজের। প্রথমবারেই তাকে কিনে নেয় হায়দরাবাদ। আর মাঠে নেমে তিনি যা করেছেন, তা ছিল দেখার মতো। ১৬ ম্যাচে ১৭ উইকেট তুলে নিয়ে হায়দরাবাদের শিরোপা জেতার পথে অন্যতম ভূমিকা রেখেছিলেন। পরের মৌসুমেও কাটান হায়দরাবাদে। কিন্তু চোটের কারণে নিজের সেরাটা দিতে পারেননি। পরে ২০১৮ সালের নিলামে তাকে কিনে নেয় মুম্বাই ইন্ডিয়ান্স। এরপর গত দুই বছর ছিলেন না বিশ্বের সবচেয়ে জমজমাট ঘরোয়া টি-টোয়েন্টিতে।