ভারতের পর জিম্বাবুয়েও করে দেখালো

ঠিক এক সপ্তাহ আগে মাত্র দুই দিনে ইংল্যান্ডকে হারিয়েছিল ভারত। আহমেদাবাদের ওই টেস্টের উইকেট নিয়ে আলোচনা এখনও থামেনি। এর মধ্যেই আরেকটি টেস্ট দুই দিনে শেষ হওয়ার সাক্ষী হলো ক্রিকেট বিশ্ব। ভারতের পর কাজটি করে দেখালো জিম্বাবুয়ে। আবুধাবিতে আফগানিস্তানকে মাত্র দুই দিনে হারিয়েছে আফ্রিকান দেশটি। পেয়েছে ১০ উইকেটের জয়।

বোলারদের টেস্টে ব্যাট হাতে শুধু আলো ছড়িয়েছেন জিম্বাবুয়ে অধিনায়ক শন উইলিয়ামস। টেস্ট ক্যারিয়ারের তৃতীয় সেঞ্চুরি তুলে খেলেছেন ১০৫ রানের ইনিংস। তার আলোকিত ইনিংসে প্রথম ইনিংসে জিম্বাবুয়ে করে ২৫০ রান। এরপর তাদের বোলিংয়ের সামনে দ্বিতীয় ইনিংসে আফগানরা ১৩৫ রানে গুটিয়ে গেলে আফ্রিকান দলটির লক্ষ্য ঠিক হয় মাত্র ১৭ রান। ৩.২ ওভারে কোনও উইকেট না হারিয়ে লক্ষ্যে পৌঁছে যায় জিম্বাবুয়ে। তাতে দুই ম্যাচের সিরিজে তারা এগিয়ে গেছে ১-০ ব্যবধানে।

আবুধাবির শেখ জায়েদ স্টেডিয়ামের সবুজ উইকেটে ব্যাটিং করা কঠিন ছিল, তবে অসম্ভব ছিল না। যেটি প্রমাণ করেছেন উইলিয়ামস। ম্যাচসেরার পুরস্কার জেতা এই ব্যাটসম্যানের রানই আসলে পার্থক্য গড়ে দিয়েছে। বিপরীতে দ্বিতীয় ইনিংসে আফগানিস্তানের সর্বোচ্চ ৭৬ রান করেছেন ইব্রাহিম জাদরান। অন্যদিকে আবার পাঁচ ব্যাটসম্যান আউট হয়েছেন শূন্য রানে! তাই প্রথম ইনিংসে ১৩১ রান করা আফগানরা ১৩৫ রানে থামে দ্বিতীয় ইনিংসে।

অধিনায়ক উইলিয়ামসের সেঞ্চুরি ও রেগিস চাকাভা (৪৪) ও সিকান্দার রাজার (৪৩) কার্যকরী দুই ইনিংসে বড় লিড পাওয়া জিম্বাবুয়ের জয়ের লক্ষ্য ছিল ১৭ রানের। দুই ওপেনার কেভিন কাসুজা (১১*) ও প্রিন্স মাসভাউরি (৫*) দ্বিতীয় দিনেই নিশ্চিত করেন জিম্বাবুয়ের জয়।

সংক্ষিপ্ত স্কোর:

আফগানিস্তান: প্রথম ইনিংসে ৪৭ ওভারে ১৩১ (আফসার জাজাই ৩৭, ইব্রাহিম জারদান ৩১, আমির হামজা ১৬*, মুনির আহমেদ ১২; ব্লেসিং মুজারাবানি ৪/৪৮, ভিক্টর নাউচি ৩/৩৪) ও দ্বিতীয় ইনিংসে ৪৫.৩ ওভারে ১৩৫ (ইব্রাহিম জাদরান ৭৬, আমির হাজমা ২১, আসগর আফগান ১৪; ডোনাল্ড তিরিপানো ৩/২৩, ভিক্টর নাউচি ৩/৩০)।

জিম্বাবুয়ে: প্রথম ইনিংসে ৭২ ওভারে ২৫০ (শন উইলিয়ামস ১০৫, রেগিস চাকাভা ৪৪, সিকান্দার রাজা ৪৩, প্রিন্স মাসভাউরি ১৫; আমির হাজমা ৬/৭২, জহির খান ২/৮১) ও দ্বিতীয় ইনিংসে (টার্গেট: ১৭) ৩.২ ওভারে ১৭/০ (কেভিন কাসুজা ১১*, প্রিন্স মাসভাউরি ৫*)।

ফল: জিম্বাবুয়ে ১০ উইকেটে জয়ী।

ম্যাচসেরা: শন উইলিয়ামস।