অধিনায়ক লিটনের ‘গোল্ডেন ডাক’

চোটের কারণে মাহমুদউল্লাহ নেই। তাই ক্যারিয়ারে প্রথমবারের মতো বাংলাদেশকে নেতৃত্ব দেওয়ার সুযোগ চলে আসে লিটন দাসের কাছে। যদিও নেতৃত্বের এমন ‘শুরু’ হয়তো চাননি তিনি, বিশেষ করে ব্যাটিংয়ে। নিউজিল্যান্ডে ব্যাটিং ব্যর্থতা অধিনায়কের দায়িত্ব পাওয়ার পর আরও বাজেভাবে চেপে ধরেছে তাকে। এবার মুখোমুখি প্রথম বলেই ‍আউট হয়েছেন লিটন।

১৪২ রানের কঠিন লক্ষ্যে খেলতে নেমে শুরুতেই এলোমেলো বাংলাদেশ। টিম সাউদির করা প্রথম ওভারেই ২ উইকেট হারিয়েছে বাংলাদেশ। প্রমোশন পেয়ে ওপেনিংয়ে নামা সৌম্য সরকার আউট হয়েছেন ১০ রান করে। ৪ বলে ২ বান্ডারিতে সাজানো তার ইনিংসটি শেষ হয় বোলার সাউদির দুর্দান্ত রিটার্ন ক্যাচে।

সৌম্যর বিদায়ের পর ক্রিজে এসেই আউট লিটন। অর্থোডক্স প্যাডেল শট খেলতে গিয়ে বোল্ড হয়ে সাউদির দ্বিতীয় শিকারে পরিণত হন তিনি। তাতে গোল্ডেন ডাকে শেষ হয় অধিনায়ক লিটনের ইনিংস। ২ বলে ২ উইকেট পেয়ে সাউদি হ্যাটট্রিকের সম্ভাবনা জাগিয়েছেন।

খানিক পর ওপেনার নাঈম শেখও ধরেছেন প্যাভিলিয়নের পথ। ১৩ বলে ১ চার ও ২ ছক্কায় ১৯ রান করে তিনি বিদায় নিয়েছেন টড অ্যাস্টলের বলে মার্ক চ্যাপম্যানের হাতে ধরা পড়ে। কঠিন লক্ষ্যে চাপে পড়া বাংলাদেশ আরও বিপদে পড়ে ২ বল পর ওই অ্যাস্টলের বলে চতুর্থ উইকেট হারিয়ে। এই লেগ স্পিনারের দ্বিতীয় শিকার নাজমুল হোসেন শান্ত। বোল্ড হয়ে ফেরার আগে তিনি করেন ৬ বলে ৮ রান।

শান্তর বিদায়ের পর বাংলাদেশের সংগ্রহ ৪ ওভারে ৪ উইকেটে ৩৭ রান।

সিরিজ আগেই হাতছাড়া হয়েছে। এখন বাংলাদেশের লক্ষ্য শেষ ম্যাচটি জিতে হোয়াইটওয়াশ এড়ানোর। সেই লক্ষ্যটা ভীষণ কঠিন বাংলাদেশের। বৃষ্টির কারণে কুড়ি ওভারের ম্যাচ ১০ ওভারে নেমে আসার পর ব্যাটিংয়ে তাণ্ডব চালিয়েছে নিউজিল্যান্ডে। অকল্যান্ডে ১০ ওভারে স্বাগতিকরা করেছে ৪ উইকেটে ১৪১। জিততে হলে বাংলাদেশকে প্রতি ওভারে তুলতে হবে ১৪ রানের বেশি (১৪.২০)।

মাত্র ১০ ওভারের ম্যাচ। স্বাভাবিকভাবেই নিউজিল্যান্ডের ব্যাটসম্যানরা প্রত্যেকটি বল সীমানা ‍ছাড়া করতে চাইবেন। তারা সেটি করেছেনও। আর তাদের সেই চেষ্টায় বাংলাদেশের ফিল্ডারদের ‘প্রচেষ্টা’ অব্যাহত! অকল্যান্ডেও ক্যাচ মিসের মহড়া চলেছে বাংলাদেশের। অন্যদিকে চার-ছক্কায় বৃষ্টিতে ভাসিয়েছেন কিউই ব্যাটসম্যানরা।