ক্যান্ডিতে তাইজুলের আরেকটি অর্জন

দ্বিতীয় টেস্টের দ্বিতীয় ইনিংসে ২৪২ রানের লিড নিয়ে ব্যাটিংয়ে নেমেই তাইজুলের ঘূর্ণি জাদুর সামনে পড়েছিলেন লঙ্কান দুই ব্যাটসম্যান। প্রথম ইনিংসে ১১৮ রানের ইনিংস খেলা থিরিমান্নেকে দিয়ে শুরু। এর পর শেষ করেন সুরাঙ্গা লাকমালকে দিয়ে। আর তাতে ক্যারিয়ারে অষ্টমবারের মতো ৫ উইকেট নেওয়ার কৃতিত্ব দেখালেন বাঁহাতি এই স্পিনার।

ক্যান্ডিতে আগের দিন শুরুতেই থিরিমান্নেকে বিদায় করে বাংলাদেশ শিবিরে স্বস্তি এনে দিয়েছিলেন তাইজুল। রবিবার চতুর্থ দিনের শুরুতে ফেরান লঙ্কান অভিজ্ঞ ব্যাটসম্যান অ্যাঞ্জেলো ম্যাথুজকেও। তাইজুলের কল্যাণে চতুর্থ দিনের সপ্তম ওভারেই প্রথম উইকেটের দেখা পায় বাংলাদেশ।

তাইজুলের ফ্লাইট ডেলিভারিতে পরাস্ত হয়ে শর্ট লেগে বদলি ফিল্ডার ইয়াসির আলী রাব্বির হাতে ক্যাচ দেন ম্যাথুজ। আউট হওয়ার আগে ম্যাথুজের ব্যাট থেকে আসে ১২ রান। তাইজুলের তৃতীয় শিকার পাথুম নিসাঙ্কা। স্কোরবোর্ডে রান বাড়াতে গিয়ে শরিফুলর ক্যাচে পরিণত হন তিনি। আউট হওয়ার আগে করেন ৩১ বলে ২৪ রান। এরপর লাঞ্চ বিরতির পর রামেশ মেন্ডিস ও সুরাঙ্গা লাকমলকে ফিরিয়ে তাইজুল পূর্ণ করেন টেস্টের অষ্টম ৫ উইকেট। সবমিলিয়ে ১৯.২ ওভারে ৭২ রান খরচ করে তাইজুল এই মাইলফলকে পৌঁছান।

২০১৪ সালের সেপ্টেম্বরে ওয়েস্ট ইন্ডিজ সফরে সেন্ট ভিনসেন্ট টেস্টে অভিষেক তাইজুলের। নিজের অভিষেক টেস্টেই শিকার করেছিলেন ৫ উইকেট। দেশের বাইরে ততটা উজ্জ্বল না হলেও দেশের মাটিতে তিনি অপরিহার্য হয়েই ছিলেন। তবে ধীরে ধীরে দেশের বাইরেও উজ্জ্বল পারফরম্যান্স করছেন বাঁহাতি এই স্পিনার। ৮ বার ৫ উইকেট নেওয়ার পাশাপাশি একবার দশ উইকেটও নিয়েছেন তিনি।

সবমিলিয়ে ৩৩ ম্যাচে তাইজুলের শিকার ১৩৪ উইকেট। এরমধ্যে ঘরের মাঠে ২১ ম্যাচে তাইজুলের উইকেট ১০৫টি। অন্যদিকে দেশের বাইরে ১২ ম্যাচ খেলে তাইজুলের উইকেট ২৯টি।