শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে রুবেলকে পেতে অপেক্ষা করবে বিসিবি

প্রাথমিক দলে থাকলেও শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে তিন ম্যাচের ওয়ানডে সিরিজে অনিশ্চিত হয়ে পড়েছেন রুবেল হোসেন। ইনজুরির কারণে এমন পরিস্থিতি তৈরি হওয়ায় রুবেলের জন্য শেষ মুহূর্ত পর্যন্ত অপেক্ষা করার কথা জানিয়েছেন বিসিবির প্রধান চিকিৎসক দেবাশীষ চৌধুরী।

মূলত কোমরের পুরনো চোট বেড়ে যাওয়াতেই এখন বিশ্রামে আছেন এই পেসার। গত নিউজিল্যান্ড সফর থেকে দেশে ফেরার পর এখন পর্যন্ত মাঠে ফেরেননি। তাই রুবেলকে পুনর্বাসন প্রক্রিয়ার মধ্যে রেখে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে। এই মুহূর্তে কোনও ব্যথা না থাকলেও সেটি যে কোনও সময় বেড়ে যেতে পারে। ফলে খেলতে পারবেন কিনা, সে ব্যাপারে প্রথমে সিদ্ধান্ত নিতে হবে রুবেলকেই।

এ প্রসঙ্গে দেবাশীষ চৌধুরী বলেছেন, ‘রুবেল যতদিন খেলবে এই ধরনের ব্যথা চলবে। ১২-১৫ বছর কিন্তু পেসারদের জন্য খেলাটা সহজ না। শুধু রুবেল না, আমাদের অন্য অনেক পেসারই এরকম সমস্যায় ভুগছে। দেখা যায় ক্যারিয়ার লম্বা হয় না কিংবা মাঝে মাঝে খেলে। নিউজিল্যান্ডে থাকা অবস্থাতেই ওর কিছুটা সমস্যা হচ্ছিল এবং এই মুহূর্তে ওর কিন্তু ক্লিনিক্যালি কোনও ব্যথা নেই। এখন ওর নিজেরই সিদ্ধান্ত নিতে হবে, ম্যাচ ফিটনেসের ব্যাপারটা ওর নিজের বুঝতে হবে। আমরা পরীক্ষা করে আসলে এই মুহূর্তে কোনও ব্যথা পাচ্ছিনা। সব মিলিয়ে আমরা পুনর্বাসন প্রক্রিয়া চালিয়ে নিচ্ছি।’

আগামী ২৩ মে থেকে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে তিন ম্যাচের ওয়ানডে সিরিজ শুরু হবে। সিরিজে রুবেলের থাকার সম্ভাবনা নিয়ে বিসিবির এই চিকিৎসক বলেছেন, ‘ওর পুনর্বাসন প্রক্রিয়া চলছে, থাকা না থাকার বিষয়টি নির্বাচকরা শেষ মুহূর্তে সিদ্ধান্ত নিবে। আমাদের কাছে যখন আপডেট জানতে চাইবে যে ওর আজকের অবস্থা কী, আমরা সেটা জানাবো। এখনই তো বলার প্রয়োজন নেই যে সেই দলের বাইরে চলে গেছে। এটা একটা চলমান প্রক্রিয়া।’

টানা খেলার কারণে পেসারদের কোমরের ইনজুরিতে আক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনা বেড়ে যায়। কোমরের ইনজুরি নিয়ে বিসিবির চিকিৎসক দেবাশীষ চৌধুরী বলেছেন, ‘রুবেল যেহেতু এক যুগের বেশি সময় ধরে এলিট লেভেলে বল করছে, সেহেতু এ ধরনের বোলারদের ব্যাকে কিছু ইস্যু হয়ে থাকে। রুবেলও তার ব্যতিক্রম না। কয়েক দফা স্ক্যান করানো হয়েছে, সেখানে তার লো ব্যাকে কিছু সমস্যা দেখা গিয়েছে। যা সাধারণত দীর্ঘ মেয়াদে বোলিংয়ের রিঅ্যাকশন হিসেবেই আমরা পেয়ে থাকি। এই সমস্যাটা মাঝে মাঝেই দেখা দিবে, রুবেলকে একটা খুব ভালো পুনর্বাসন প্রক্রিয়ায় থাকতে হবে। আর সে সেটিই করছে।’