নাঈম ৭০, আফিফ ৫৪

ঢাকা প্রিমিয়ার লিগে শুরু থেকে খেললেও নিজেদের সেরাটা দিতে পারছিলেন না আবাহনীর তরুণ দুই ব্যাটসম্যান নাঈম শেখ ও আফিফ হোসেন। তবে বৃহস্পতিবার শাইনপুকুরের বিপক্ষে দুইজন খেলেছেন দারুণ দুটি ইনিংস। নাঈম ৫০ বলে করেছেন ৭০ এবং আফিফ ৪২ বলে খেলেছেন ৫৪ রানের ইনিংস। তাদের দু’জনের জোড়া হাফসেঞ্চুরিতে ভর করেই জয়ের ধারায় ফিরেছে আবাহনী।

শুরুতে ৫ উইকেট হারিয়ে ১৮৫ রানের বড় সংগ্রহ দাঁড় করায় তারা। সেই রান তাড়া নেমে বৃষ্টির কারণে খেলা বন্ধ হয়ে গিয়েছিল। পরবর্তীতে ডাকওয়ার্থ লুইস পদ্ধতিতে আবাহনী ২৫ রানের জয় পায়।

বিকেএসপির চার নম্বর মাঠে আবাহনীর দেওয়া ১৮৬ রানের লক্ষ্যে খেলতে নেমে শুরুটা ভালো হয়নি শাইনপুকুরের। রানের খাতা না খুলেই শাইনপুকুরের ওপেনার রাহাত আলী সাজঘরে ফেরেন। আরেক ওপেনার অবশ্য ৩৫ বলে ২৯ রানের ইনিংস খেলেছেন। বৃষ্টি নামার আগে তৌহিদ হৃদয়ের ৩৬ ও মাহিদুল ইসলামের ৩১ রানের সুবাদে ১৭ ওভারে ৫ উইকেট হারিয়ে ১২৩ রান সংগ্রহ করতে পারে শাইনপুকুর। তখনো দলটির জয়ের জন্য ১৮ বলে প্রয়োজন ৬১ রানের। অসম্ভব এই লক্ষ্যে শেষ পর্যন্ত লড়তে হয়নি শাইনপুকুরকে। বৃষ্টি আইনে ২৫ রানে ম্যাচ জেতে আবাহনী।

মোহাম্মদ সাইফউদ্দিন ১৮ রানে তিন উইকেট নিয়ে আবাহনীর সেরা বোলার ছিলেন। এছাড়া স্বাধীন ও মোসাদ্দেক একটি করে উইকেট নিয়েছেন।

এর আগে নাঈম শেখ ও আফিফ হোসেনের জোড়া হাফসেঞ্চুরিতে ৫ উইকেট হারিয়ে ১৮৩ রান সংগ্রহ করে আবাহনী। দুই ওপেনারের ১১১ রানের জুটিই বড় সংগ্রহের ভিত গড়ে দেয় ঐতিহ্যবাহী এই দলটির। আফিফ ৪২ বলে ৩ চার ও ৪ ছক্কায় ৫৪ রানে আউট হলেও এক প্রান্ত আগলে ব্যাটিং করেছেন নাঈম। এরপর নাজমুল ১৮ রানে বিদায় নিলে তৃতীয় ব্যাটসম্যান হিসেবে সাজঘরে ফেরেন নাঈম। আউট হওয়ার আগে নাঈম ৫০ বলে ৪ চার ও ৪ ছক্কায় ৭০ রানের ইনিংস উপহার দেন।

শাইনপুকুরের বোলারদের মধ্যে তানভীর ইসলাম ২৩ রানে সর্বোচ্চ চারটি উইকেট নিয়েছেন।