৫ বছর পর হার, কারণটা জানালেন মাহমুদউল্লাহ 

২০১৬ সালে খুলনাতে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে সর্বশেষ টি-টোয়েন্টি হেরেছিল বাংলাদেশ। এরপর আরও ৫টি ম্যাচ খেললেও বাংলাদেশকে কোনওটিতেই হারাতে পারেনি জিম্বাবুয়ে। অবশেষে ৫ বছর পর লাল-সবুজ জার্সিধারীদের হারের তিক্ত স্বাদ দিলো তারা। শুক্রবার হারারেতে দ্বিতীয় টি-টোয়েন্টিতে ২৩ রানের জয় তুলে নিয়েছে স্বাগতিক জিম্বাবুয়ে। এমন হারের পর অধিনায়ক মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ জানিয়েছেন, পরিকল্পনা বাস্তবায়নের অভাবেই তাদেরকে এভাবে হারতে হয়েছে।

শুক্রবার শুরু থেকেই ক্রিকেটারদের ব্যাটিং অপ্রোচ ছিল প্রশ্নবোধক। ব্যাটসম্যানরা কী করতে চাইছেন? সেটিই বোঝা যাচ্ছিল না। তবে কি আত্মতুষ্টিতে ভুগছিল বাংলাদেশ? মাহমুদউল্লাহ অবশ্য সংবাদ মাধ্যমকে জানিয়েছেন, জয়ের ফোকাস নিয়েই মাঠে নেমেছিলেন তারা, ‘আমার মনে হয় না আমাদের ওই ধরনের মানসিকতা ছিল। আমরা আত্মতুষ্টিতে ভুগিনি। আমরা এই ম্যাচটিতেও জয়ের ফোকাসে ছিলাম, জয়ের জন্য প্রত্যয়ী ছিলাম। কিন্তু দুর্ভাগ্যবশত আমরা আমাদের পরিকল্পনাগুলো বাস্তবায়ন করতে পারিনি। এই কারণে হয়তো আমরা ম্যাচটা হেরেছি।’ 

সাকিবের বিদায়ের পর যখন চাপ ছিল, ঠিক তখনই উঠিয়ে মারতে গিয়ে আউট হয়েছেন মাহমুদউল্লাহ। কিন্তু হারের পেছনে নিজের ব্যাটিং অপ্রোচে খারাপ কিছু দেখছেন না এই অধিনায়ক, ‘ব্যাটিং অপ্রোচ নিয়ে আমি হতাশ নই। আমি যেটা বললাম ১৬০ প্লাস রান চেজ করতে গেলে ঝুঁকি নিতেই হবে। শুরুতে আমরা উইকেট হারিয়ে ফেলেছিলাম, এই কারণে কিছুটা চাপে ছিলাম। যেটা গুরুত্বপূর্ণ ছিল ৫০  কিংবা ৩০ রানের জুটি। কিন্তু আমরা সেটি করতে পারিনি।’ এর পরেও পুরো দলকেই দারুণ ভারসাম্যপূর্ণ মনে করছেন টি-টোয়েন্টির অধিনায়ক, ‘আমার মনে হয় ব্যাটিং ও বোলিংয়ে আমাদের নানা জায়গায় নানা জনকে খেলানোর সুযোগ তৈরি হয়েছে। দলটা দারুণ ভারসাম্যপূর্ণ। আমাদের স্পিন বোলিং বিভাগ, পেস বোলিং বিভাগ, অলরাউন্ডার দেখেন-এইসব জায়গাগুলোতে দারুণ সব ক্রিকেটার রয়েছে। আজকে আমরা ভালো খেলতে পারিনি বলেই ফল আমাদের পক্ষে আসেনি।’

প্রথম ম্যাচে তিন নম্বরে ব্যাটিং করেছিলেন মাহমুদউল্লাহ নিজেই। তবে শুক্রবার তিন নম্বরে পাঠানো হয় মেহেদী হাসানকে। ১৯ বলে ১৫ রানের বেশি করতে পারেননি এই তরুণ। মেহেদীকে ওপরে ব্যাটিংয়ের সুযোগ দেওয়া প্রসঙ্গে মাহমুদউল্লাহর যুক্তি, ‘মেহেদী যেহেতু ঘরোয়া ক্রিকেট ওপরের দিকে ব্যাটিং করে। তাই ওকে সুযোগ দেওয়া হয়েছিল। দুর্ভাগ্যবশত ব্যাটিং গ্রুপে আমরা ক্লিক করতে পারিনি। কোন বড় জুটি আমরা করতে পারিনি। আমার কাছে মনে হয় শুরুটা সব সময় গুরুত্বপূর্ণ। যখন ১৬০ প্লাস স্কোর চেজ করতে হবে, আমরা সেই বিষয়টা করতে পারিনি বলেই ফল পক্ষে আসেনি।’