এরকম উইকেটে খেললে ক্যারিয়ার শেষ হয়ে যাবে: সাকিব

অস্ট্রেলিয়া ও নিউজিল্যান্ড সিরিজে উইকেট নিয়ে বিস্তর সমালোচনা হয়েছে। দল দুটির বিপক্ষে স্লো ও টার্নিং উইকেটে খেলেই টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের প্রস্তুতি সেরেছে বাংলাদেশ। সেখানে ১০ ম্যাচের সাতটি জিতলেও ব্যাটসম্যানরা ব্যর্থতার জালে বন্দি ছিলেন। সাকিব আল হাসান অবশ্য দাবি করেছেন, এমন উইকেটের পারফরম্যান্স তারা বিবেচনায় আনছেন না। আরও বলেছেন, এই ধরনের উইকেটে টানা খেললে ব্যাটসম্যানদের ক্যারিয়ারও শেষ হয়ে যেতে পারে!

এক অনুষ্ঠানে সাকিব দুই সিরিজের পারফরম্যান্স নিয়ে বলেছেন, ‘এই ৯-১০টা ম্যাচ যারা খেলেছে, সবাই অফ ফর্মে আছে। উইকেটটাই এমন। এখানে কেউ খুব একটা ভালো করেনি। ব্যাটসম্যানদের ক্ষেত্রে এই পারফরম্যান্স খুব একটা না ধরাই ভালো।’

দুই সিরিজে উইকেট এমনই ছিল যে, ব্যাটসম্যানদের রান তুলতে রীতিমত সংগ্রম করতে হয়েছে। ধীর গতির সঙ্গে বাউন্স ছিল অসমান। সাকিব মনে করেন, এমন স্লো ও অসম বাউন্সের উইকেটে ব্যাটসম্যানরা নিয়মিত খেললে তাদের ক্যারিয়ার শেষ হয়ে যেতে পারে, ‘এরকম উইকেটে কোন ব্যাটসম্যান ১০-১৫টা ম্যাচ খেললে তার ক্যারিয়ার শেষ হয়ে যাবে। এটা কাউন্ট করি না আমরা। যারা দলে আছে, সবাই দেশকে জেতানোর সামর্থ্য রাখে। যার যার জায়গা থেকে সবাই শতভাগ চেষ্টা করছে।’

সদ্য শেষ হওয়া নিউজিল্যান্ড সিরিজে সবচেয় সফল ছিলেন মাহমুদউল্লাহ। আর কেউ কিউই বোলিংয়ের বিপক্ষে ভালো করতে পারেননি। সাকিব নিউজিল্যান্ড সিরিজে চার ম্যাচে করেছেন ৪৫। মুশফিক পাঁচ ম্যাচে রান করেছেন মাত্র ৩৯। নাঈম সর্বশেষ ১০ ম্যাচে করেছেন ১৯৬ রান। শেষ পাঁচ ম্যাচে লিটনের রান ছিল ৬৫।

সাকিব অবশ্য ব্যাটসম্যানদের রান খরাকে পাত্তা দিচ্ছেন না। তার মতে, ওমানে দুই সপ্তাহে বিশ্বকাপের আসল প্রস্তুতি নেওয়া সম্ভব, ‘আমরা বিশ্বকাপ শুরুর ১৫-১৬ দিন আগে যাবো, প্রস্তুতির যথেষ্ট সময় থাকবে। ঐ কন্ডিশন ও পিচের সঙ্গে মানিয়ে নেওয়ার যথেষ্ট সময় পাবো। আমার মনে হয় না, এখানকার পিচ-কন্ডিশন খুব বেশি প্রভাব ফেলবে। আমাদের জয়ের মানসিকতা তৈরি হয়েছে। যে আত্মবিশ্বাস আছে, সেটা নিয়ে বিশ্বকাপে যেতে পারবো।’