স্কটল্যান্ডকে কোণঠাসা করেও বাংলাদেশের সামনে ১৪১ রানের লক্ষ্য!

মেহেদী-সাকিবের ঘূর্ণিতে একপর্যায়ে কোণঠাসাই ছিল স্কটল্যান্ড। ৫৩ রানে স্কটল্যান্ডের ৬ উইকেট তুলে নিয়েছিল বাংলাদেশ। তখন মনে হচ্ছিল শতরান ছোঁয়াই বুঝি কষ্টকর হয়ে যাবে। কিন্তু লেগ স্পিনার হিসেবে সুযোগ পাওয়া ক্রিস গ্রেভসের শেষের ঝড় সমৃদ্ধ স্কোরবোর্ড পাইয়ে দিয়েছে স্কটিশদের। টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের উদ্বোধনী দিনে বাংলাদেশকে তারা ১৪১ রানের লক্ষ্য ছুড়ে দিয়েছে।

শুরুর ওভারে আসেন তাসকিন আহমেদ। একটি বাউন্ডারি হজম করলেও মোস্তাফিজুর রহমান ছিলেন মিতব্যয়ী। এক রান দিয়েছেন। তৃতীয় ওভারে সাইফউদ্দিনকে আনলে তার সাফল্য পায় টাইগাররা। চতুর্থ বলে ভুল লাইনে খেলতে গিয়ে শূন্য রানে বোল্ড হন কোয়েটজার।  

শুরুর ধাক্কা সামলে দ্রুতই মানিয়ে নেয় বাকি ব্যাটাররা। বিশেষ করে মুনসের আগ্রাসী ব্যাটিংয়ে পাওয়ার প্লের ঘাটতি পূরণ করে নেয় স্কটল্যান্ড। উঠে আসে ৩৯। 

পাওয়ার প্লেতে তিন পেসারের পর সপ্তম ওভারে আসেন স্পিনাররা। অষ্টম ওভারে মেহেদী এসেই বিপজ্জনক দুই ব্যাটসম্যানকে ফেরান দ্রুত। লেগ বিফোরে পাঠান ১১ রান করা ম্যাথিউ ক্রসকে। তার পর হাত খুলে মারতে থাকা জর্জ মুনসেকেও ফেরান বোল্ড করে। মুনসে ২৩ বলে ২ চার ও ২ ছক্কায় ফেরেন ২৯ রানে। 

১১তম ওভারে স্কটিশদের আরও বিপদে ফেলে দেন সাকিব আল হাসান। শুরুতে তাকে উড়িয়ে মারতে গিয়ে আফিফের অসাধারণ ক্যাচে পরিণত হন অধিনায়ক বেরিংটন (২)। এক বল পর একই পরিণতি হয় নতুন নামা মাইকেল লিস্কেরও। রানের খাতা না খুলেই ক্যাচ দেন লিটন দাসকে। দুটি উইকেট নিয়েই টি-টোয়েন্টির শীর্ষ উইকেট শিকারি হন সাকিব। 

পরের ওভারে ক্যালাম ম্যাকলিওডকে বোল্ড করে দলটিকে পুরোপুরি কোণঠাসা করে দিয়েছিলেন মেহেদী। কিন্তু ক্রিস গ্রেভস ও মার্ক ওয়াট মিলে জানান দেন এখনও রসদ শেষ হয়ে যায়নি স্কটল্যান্ডের। ৩৪ বলে ৫১ রানই ওঠে এই জুটিতে! তাসকিনের বলে এই জুটি ভাঙে মার্ক ওয়াটের বিদায়ে। ওয়াট ১৭ বলে ২২ রানে ফেরেন। ১৯.২ ওভারে গ্রেভস বিদায় নেন স্কোরবোর্ড সমৃদ্ধ করেই। উড়িয়ে মারতে গিয়ে ২৮ বলে ৪৫ রান করা এই ব্যাটার শিকার হন মোস্তাফিজের। যার ইনিংসে ছিল ৪টি চার ও ২টি ছয়। পরের বলে কাটার মাস্টার জশ ডেভিকে ফেরালেও শারিফের ছক্কায় স্কোরটা হয়ে দাঁড়ায় চ্যালেঞ্জিং। ৯ উইকেটে স্কটল্যান্ড করে ১৪০ রান। 

অফস্পিনার মেহেদী ১৯ রান দিয়ে নিয়েছেন ৩ উইকেট। ১৭ রানে দুটি নেন সাকিব আল হাসান। মোস্তাফিজ দুটি নিলেও রান দিয়েছেন ৩২টি। একটি করে নেন সাইফউদ্দিন ও তাসকিন আহমেদ।