বিশ্বকাপে সেরা হতে সাকিবের দরকার এক উইকেট

টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে অনন্য এক রেকর্ডের অপেক্ষা নিয়ে টুর্নামেন্ট শুরু করেছিলেন সাকিব আল হাসান। কুড়ি ওভারের বিশ্ব আসরে ১০ উইকেট নিতে পারলেই বিশ্বকাপে শীর্ষ উইকেট শিকারি হয়ে যাবেন বাঁহাতি এই স্পিনার। ওমানে অনুষ্ঠিত প্রথম রাউন্ডের তিন ম্যাচে ৯ উইকেট শিকার করেছেন সাকিব।

বিশ্বকাপে সবচেয়ে বেশি ৩৪ ম্যাচ খেলে সর্বোচ্চ উইকেট পাকিস্তানের শহীদ আফ্রিদির। তার উইকেট সংখ্যা ৩৯। সাকিবের উইকেট এখন ৩৯টি। তবে আফ্রিদির চেয়ে কম ম্যাচ খেলায় এক হিসেবে শীর্ষেই আছেন এই অলরাউন্ডার।

বৃহস্পতিবার পাপুয়া নিউ গিনির চার ব্যাটসম্যানকে ফিরিয়ে পাকিস্তানের কিংবদন্তি অলরাউন্ডার আফ্রিদিকে ছুঁয়েছেন। পঞ্চম ওভারে সাকিবের হাতে বল তুলে দেন মাহমুদউল্লাহ। ওভারের প্রথম বলে নিজের ভক্ত চার্লস আমিনিকে সাজঘরে ফেরান তিনি। লংঅন থেকে দৌঁড়ে এসে নাঈম দুর্দান্ত এক ক্যাচ নেন। একই ওভারের চতুর্থ বলে স্লগ সুইপ করতে গিয়ে সিমন আতাই মেহেদীর ক্যাচে সাজঘরে ফেরেন।

পরের বলেও উইকেট পেতে পারতেন সাকিব। কিন্তু উইকেটকিপার সোহান বলটি ঠিকমতো ধরতে পারেননি। নিজের দ্বিতীয় ওভারে অবশ্য ৩ রান খরচ করে উইকেট শূন্য ছিলেন। তৃতীয় ওভারের পঞ্চম বলে ফের নাঈমের ক্যাচ বানিয়ে সাজঘরে ফেরান সেসে বাউকে। নিজের শেষ ওভারের তৃতীয় বলে হিরি হিরিকে তুলে নিয়ে আফ্রিদিকে ছুঁয়ে ফেলেন এই অলরাউন্ডার। এদিন ৪ ওভার বোলিং করে ৯ রান খরচ করে ৪ উইকেট তুলে নেন বাঁহাতি স্পিনার।

বিশ্বকাপে সাকিবের এই সাফল্যের ধারে কাছে কেউ নেই। কেননা সাকিবের নিচে থাকা ৬জনের কেউই আর বিশ্বকাপ খেলছেন না। অন্যদিকে তার প্রতিদ্বন্দ্বীরা আছেন বেশ নিচের দিকে। কাছাকাছি আছেন ক্যারিবিয়ান দুই ক্রিকেটার ডোয়াইন ব্রাভো ও স্যামুয়েল বদ্রি। ব্রাভো ২৫ উইকেট নিয়ে ৯ নম্বরে আর বদ্রি ২৪ উইকেট নিয়ে আছেন ১০ নম্বরে।

সাকিব ২০০৭ সাল থেকে সবগুলো বিশ্বকাপে অংশ হয়েছিলেন। টানা সাত বিশ্বকাপ খেলা সাকিবের উইকেট ২৮ ম্যাচে ৩৯টি। তার চেয়ে ৬ ম্যাচ বেশি খেলে আফ্রিদির উইকেটও ৩৯টি। টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে সাকিবের সেরা সাফল্য ছিল ২০১৬ সালে। সেবার বাঁহাতি এই স্পিনার পেয়েছিলেন ১০ উইকেট। ২০১৪ সালে ঘরের মাঠের বিশ্বকাপে বাঁহাতি স্পিনার পেয়েছিলেন ৮ উইকেট। এবার নিশ্চিতভাবেই সাকিব ছাড়িয়ে যাবেন ২০১৬ সালকে। ইতোমধ্যে ৩ ম্যাচে তার উইকেট ৯টি। আরও বাকি ৫ ম্যাচ। সাকিব এই বিশ্বকাপে নিজেকে কোথায় নিয়ে যান সেটিই দেখার!