লিটন বললেন, বাংলাদেশ এখনও ম্যাচে আছে

প্রথম দিনের খেলা শেষে বাংলাদেশের ব্যাটিং কোচ  অ্যাশওয়েল প্রিন্স বলেছিলেন, এই উইকেটে ৪০০-৫০০ রানও যথেষ্ট নয়। অথচ আগের দিন ২৫৩ রান নিয়ে দ্বিতীয় দিন শুরু করা বাংলাদেশ অলআউট হয়েছে ৩৩০ রানেই। যেখানে ৫০০ রানই যথেষ্ট নয়, সেখানে বাংলাদেশের এই রান কতটুকু নিরাপদ? বাংলাদেশকে অল্প রানে বেঁধে ফেলে পাকিস্তান বিনা উইকেটে তুলে ফেলেছে ১৪৫ রান। এমন অবস্থাতেও বাংলাদেশ ম্যাচে আছে বলে মনে করেন লিটন দাস।

এক প্রশ্নের জবাবে প্রথম ইনিংসের সেঞ্চুরিয়ান বলেছেন, ‘প্রথম দিন দ্রুত ৪ উইকেট হারানোর পর সবাই ধারণা করছিল বাংলাদেশ অল্পতেই অলআউট হয়ে যাবে। ওখান থেকে আমি আর মুশফিক ভাই অনেক ভালো জুটি গড়ে কামব্যাক করেছি। যখন আজ মাঠে নামি, আমাদের ইচ্ছা ছিল একটা ভালো সংগ্রহের দিকে যাওয়া, কিন্তু হয়নি। এটাই ক্রিকেট।’

আরও যোগ করে বলেছেন, ‘অবশ্যই পাকিস্তান ভালো অবস্থায় আছে, কোনও উইকেট হারায়নি। আমার মনে হয় আমরা যদি কাল (রবিবার) আর্লি মর্নিং ২-৩ উইকেট নিতে পারি, তাহলে একই জায়গায় চলে আসবে। এখন পর্যন্ত খেলা দুই পক্ষেই আছে।’

ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে চট্টগ্রাম টেস্টে প্রথম চারদিন ম্যাচের নিয়ন্ত্রণ ছিল মুমিনুলদের হাতেই। তারপরও শেষ দিকে মায়ার্সের অতিমানবীয় ডাবল সেঞ্চুরিতে ম্যাচ হারে বাংলাদেশ। পাকিস্তানের বিপক্ষে টেস্টের দ্বিতীয় দিনেই ম্যাচের নিয়ন্ত্রণ পাকিস্তানের হাতে চলে গেছে। এই অবস্থায় বাংলাদেশ দল কী ভাবছে? দ্বিতীয় দিনের খেলা শেষে লিটন জানালেন, ‘এখন ফলের দিকে চিন্তা করা যাচ্ছে না। আগেও বললাম আমি ও মুশফিক ভাই যদি আরও একটু ভালো ব্যাটিং করতাম, তাহলে ৪০০-৪৫০ রান থাকতো। তাহলে ভিন্ন দৃশ্য দেখা যেত। আবার বোলিংয়ে যদি ২-৩ উইকেট নিতে পারতাম, তাহলেও দৃশ্যপট ভিন্ন হতে পারতো। তবে খেলায় ভারসাম্যেই বিরাজ করছে। এখন সবকিছুই নির্ভর করছে আগামীকালকের ওপর।’

পাক্কা দুই সেশন বোলিং করেও স্বাগতিক বোলাররা পাকিস্তানের একটি উইকেটও ফেলতে পারেনি। তার পরেও বোলারদের ওপর আস্থা রাখছেন লিটন, ‘আপনি কীভাবে বাজে বোলিং লাইন আপ বলতে পারেন? যে কয়টা বোলার খেলছে সবাই তো টেস্ট বোলার। এবাদত, রাহী এরা দুজনেই টেস্ট বোলার। তাইজুল, মিরাজকে নিয়ে তো সন্দেহই নেই। এখানে বাজে বোলিংয়ের তো কিছু নেই।’