শান্ত বলছেন, ম্যাচ বাঁচানো সম্ভব

৭৬ রান তুলতেই বাংলাদেশের নেই ৭ উইকেট। ফলোঅন এড়াতে আরও ২৫ রান করতে হবে মুমিনুল হকদের। ড্র নয়, বরং ইনিংস হারের শঙ্কাতে এখন বাংলাদেশ। যদিও নাজমুল হোসেন শান্ত মনে করেন, এখান থেকেই ম্যাচ বাঁচানো সম্ভব। মঙ্গলবার চতুর্থ দিনের খেলা শেষে ভার্চুয়াল সংবাদ সম্মেলনে এসে এমনটাই জানিয়েছেন এই ব্যাটার।

ম্যাচ বাঁচানো সম্ভব কিনা এমন প্রশ্নে শান্ত বলেছেন, ‘অবশ্যই। কালকের (বুধবার) শুরুটা গুরুত্বপূর্ণ। সাকিব ভাই ও তাইজুল ভাই যদি ভালো শুরু করতে পারেন তাহলে পরের ইনিংসের জন্য সুবিধা হবে। পরের ইনিংসে আমাদের ভালো ব্যাটিং করতে হবে। ভালো ব্যাটিং করতে পারলে অবশ্যই ম্যাচ বাঁচানো সম্ভব। আমরা খেলায় হেরে গেছি, এমন কিছু নয়। এখান থেকে ম্যাচ বাঁচানো সম্ভব।’

তাইজুল-সাকিব-মিরাজ মিলে পাকিস্তানের ব্যাটিং বিভাগকে চেপে ধরতে পারেননি। অথচ পাকিস্তানের সাজিদ খান একাই ৬ উইকেট তুলে নিয়ে বাংলাদেশের ব্যাটিং লাইনআপকে গুঁড়িয়ে দিয়েছেন। তাহলে কি পাকিস্তানের স্পিন আক্রমণ ভয়ংকর? শান্ত অবশ্য সেটি স্বীকার করলেন না, ‘না, এতটা ভয়ংকর না। আর সবাই অনেক বেশি আগ্রাসী খেলেছি তা কিন্তু না। যে যে শট পারে সেটা খেলতে গিয়ে হয়তো বাস্তবায়ন হয়নি। এমন নয় যে সবাই অনেক বেশি আগ্রাসী খেলেছে।’

মঙ্গলবার শেষ সেশনে বাংলাদেশের ব্যাটাররা প্রচুর সুইপ শটস খেলার চেষ্টা করেছেন। টেস্ট ক্রিকেটে যা বেমানান। পাকিস্তানের আক্রমণাত্মক ফিল্ড সেটআপ ভেঙে দিতেই বাংলাদেশের ব্যাটারদের আক্রমণাত্মক ব্যাটিং করার মানসিকতা দেখা দিয়েছিল। শান্ত বললেন, ‘টার্নিং উইকেটে এলবিডব্লিউ হওয়ার সম্ভাবনা খুবই কম। এমন উইকেটে সবাই সুইপের ওপরেই বেশি আস্থা রাখে। এজন্যই সবাই সুইপ খেলার পরিকল্পনা করেছে। উইকেট আসলেই এত সহজ ছিল না। ডিফেন্সের ওপর আস্থা সবারই আছে। শুধু ডিফেন্স করে সারাদিন পার করা কঠিন। সঙ্গে শটস খেললে ওদের অ্যাটাকিং ফিল্ড সেটআপ ছড়িয়ে যেতো। আমার মনে হয় না কেউ অতিরিক্ত আগ্রাসী ছিল।’

কেন পরিকল্পনা বাস্তবায়ন করা যাচ্ছে না, এমন প্রশ্নে বাঁহাতি এই ব্যাটার বলেছেন, ‘বাস্তবায়ন একদিন হবে, একদিন হবে না। যত বেশি হবে সাফল্যের পরিমাণ তত বেশি থাকবে। আজকে হয়নি, হয়তো পরের ইনিংসে হবে। এমন না যে আমরা পারি না বা আমরা এর আগে করিনি। আজকে হয়তো হয়নি। আগের দুই-তিনটি ম্যাচে আমরা ৩০০-৪০০ রান করেছি, এমনকি শ্রীলঙ্কায় ৫০০-ও করেছি।’