মুমিনুলদের এবারের ফেরাটা অন্যরকম

নিউজিল্যান্ড থেকে তো অনেকবারই দেশে ফিরেছে বাংলাদেশ দল। প্রত্যেকবারই ফেরার চিত্র ছিল একই রকম। তবে এবারেরটি একেবারে ভিন্ন। এই প্রথম নিউজিল্যান্ড থেকে জয়ের স্বাদ নিয়ে ফিরেছে বাংলাদেশ ক্রিকেট দল। 

এবারের সফরে দুটি টেস্ট খেলেছে মুমিনুল হকরা। যেখানে কোনও ফরম্যাটে কোনও জয় ছিল না, সেই নিউজিল্যান্ডের মাটিতে প্রথম টেস্ট জিতে নেয় বাংলাদেশ। যদিও দ্বিতীয় ও শেষ টেস্টে এসে ফের খেই হারার মুমিনুলরা। তারপরও প্রথম টেস্টে যা করে দেখিয়েছে বাংলাদেশ, নিকট অতীতে নিউজিল্যান্ড কন্ডিশনে প্রতিপক্ষরা খুব কমই এমনটা করতে পেরেছে। আজ (শনিবার) বিকালে সেই সুখস্মৃতি নিয়ে অকল্যান্ড থেকে দুবাই হয়ে ঢাকায় পৌঁছেছেন ক্রিকেটাররা। মুশফিকুর রহিম ও টিম ডিরেক্টর খালেদ মাহমুদ সুজন দুই দিন আগেই ঢাকায় ফিরেছেন।

দেশে ফিরে অবশ্য ছুটি পাচ্ছেন না ক্রিকেটাররা। আগামী ২১ জানুয়ারি থেকে শুরু বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগ (বিপিএল)। এই টুর্নামেন্টের প্রস্তুতি পর্ব শুরু হচ্ছে রবিবার থেকে। ফলে নিউজিল্যান্ড ফেরত ক্রিকেটারদের একদিন বিশ্রাম কাটিয়ে পরদিনই নেমে পড়তে হবে অনুশীলনে। বিপিএল সামনে রেখে প্রধান কোচ রাসেল ডমিঙ্গো ও বাকি কোচদের ছুটি দেওয়া হয়েছে। ক্রাইস্টচার্চ থেকে তারা নিজ নিজ দেশে ফিরে গেছেন। আফগানিস্তান সিরিজের আগে বাংলাদেশে ফিরে আসবেন।

নিউজিল্যান্ড সফরে দুই ম্যাচ সিরিজের প্রথম টেস্ট ৮ উইকেটে জিতে ইতিহাস রচনা করেছিল মুমিনুলরা। কিন্তু দ্বিতীয় টেস্ট তিন দিনেই ইনিংস ও ১১৮ রানে হেরে যায় বাংলাদেশ।

সব ফরম্যাট মিলিয়ে এর আগে নিউজিল্যান্ডের মাটিতে ৩২ ম্যাচ খেলেছিল বাংলাদেশ। যার সবক’টিই হারতে হয়েছে সফরকারীদের। অন্যদিকে বেশিরভাগ টেস্টের ভাগ্যই ছিল ইনিংস ব্যবধানে হার। ফলে কখনোই নিউজিল্যান্ড সফর শেষে স্বস্তি নিয়ে দেশে ফেরা হয়নি বাংলাদেশ দলের।

এবার অনেকটা স্বস্তি নিয়ে দেশে ফিরে বিমানবন্দরে মুমিনুল বলেছেন, ‘স্বস্তি বলতে কিছু নেই। কোনও সময় ভালো খেলবেন, কোনও সময় খারাপ খেলবেন। কোনও সময় প্রক্রিয়া ঠিক থাকবে, কোনও সময় থাকবে না। আলহামদুলিল্লাহ, আমরা একটা ম্যাচ জিতেছি। তবে শেষ ম্যাচে যেভাবে খেলেছি একজন অধিনায়ক হিসেবে আমি খুব একটা খুশি নই। আমাদের দ্বিতীয় টেস্টটা আরও ভালো খেলা উচিত ছিল।’

সঙ্গে যোগ করেছেন, ‘কোনও কারিশমা নয়, কোনও জাদুমন্ত্র ছিল না। আমরা আমাদের প্রক্রিয়া ঠিক রাখার চেষ্টা করেছি। টেস্টে আমরা তখনই ভালো করি, যখন ব্যাটিং, বোলিং, ফিল্ডিং- তিন বিভাগেই দল হিসেবে ভালো করি। ওভাবেই মূলত সাফল্য পেয়েছি।’