দক্ষিণ আফ্রিকায় ইতিহাস বদলাবে এবারের দল: ডমিঙ্গো

দক্ষিণ আফ্রিকায় বাংলাদেশের প্রাপ্তির খাতায় কিছুই নেই। প্রোটিয়া কন্ডিশনে খেলা ৯ ওয়ানডের সবকটিতে হেরেছে লাল-সবুজ জার্সিধারীরা। ২০১৭ সালে সর্বশেষ দক্ষিণ আফ্রিকা সফরে তিন ফরম্যাটেই বাজেভাবে হারতে হয়েছিল। অতীত পরিসংখ্যান সঙ্গ না দিলেও ওয়ানডে ফরম্যাট বলেই আত্মবিশ্বাসের সুর বাংলাদেশের প্রধান কোচে রাসেল ডমিঙ্গোর কণ্ঠে।

আজ (বুধবার) অনুশীলনের একফাঁকে দক্ষিণ আফ্রিকান এই কোচ বলেছেন, ‘আমরা একটি প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ সিরিজের প্রত্যাশা করছি। দক্ষিণ আফ্রিকা নিশ্চিতভাবে ফেভারিট হয়ে শুরু করবে। তারা তাদের কন্ডিশনে খেলবে, যেখানে তাদের হারানো কঠিন। আমাদের তুলনায় তারাই এগিয়ে থাকবে। তবে আমরা আন্ডারডগ হিসেবে মাঠে নামলেও আপাতত তা আমাদের সঙ্গে মানানসই। বিশেষ কিছু করার জন্য এবার আমাদের সামনে সুবর্ণ সুযোগ। আমরা এমন কিছু করতে চাই, যেটা বাংলাদেশের অন্য কোনও দল এখানে এসে করতে পারেনি।’

তিন ফরম্যাটের মধ্যে ওয়ানডেতেই সবচেয়ে বেশি সফল বাংলাদেশ। আইসিসি ওয়ানডে সুপার লিগের পয়েন্ট টেবিলে যার ছাপ। সবার ওপরে বাংলাদেশ। তাই তো আত্মবিশ্বাসী ডমিঙ্গো, ‘আমার মনে হয় না আমরা এখানে ফেভারিট। কদিন আগেই তারা (দক্ষিণ আফ্রিকা) ভারতকে ৩-০ ব্যবধানে হারিয়েছে। এর আগে কখনও এখানে ম্যাচ জিতিনি আমরা, তাই আন্ডারডগ হিসেবেই এসেছি। তবে আমরা আমাদের ওয়ানডে দল নিয়ে আশাবাদী।’

সঙ্গে যোগ করেছেন, ‘আমরা লম্বা সময় ধরে ওয়ানডেতে ভালো খেলছি। দলের সবাই তাদের ভূমিকা সম্পর্কে জানে। আমি ওয়ানডে দল নিয়ে খুব খুশি। দলে বেশ ভারসাম্য আছে, আমাদের ব্যাটিং গভীরতাও বেশ সমৃদ্ধ।  সব মিলিয়ে আমরা ভারসাম্যপূর্ণ দল পেয়েছি, যা এই সিরিজে ভালো করতে অনেক আত্মবিশ্বাস দেবে।’

দলের জয়ের পথটা তৈরি করতে সম্মিলিত পারফরম্যান্স আশা করছেন ডমিঙ্গো, ‘সিনিয়রদের ফর্ম নিয়ে আমি চিন্তিত নই। সবাই দারুণ ছন্দে আছে। আমি মনে করি সিনিয়র-জুনিয়র বলে কিছু নেই। সিনিয়র-জুনিয়র নিয়ে প্রচুর কথা হয়, আমার কাছে মনে হয় না এটার প্রয়োজন আছে। আমার কাছে দলের ১১ জনই গুরুত্বপূর্ণ ক্রিকেটার।’

সাকিব আল হাসান ফেরাতে স্বস্তি ফিরেছে বাংলাদেশের ড্রেসিং রুমে। ডমিঙ্গো বলেছেন, ‘সাকিব ফেরায় নিশ্চিতভাবেই স্বস্তি ফিরেছে। সাকিব বরাবরই আমাদের দলের ভারসাম্য রক্ষা করে। এটা সবসময় কঠিন, সে না থাকলে আমাদের অতিরিক্ত একজন ব্যাটার কিংবা বোলার খেলাতে হয়। তার মতো স্কিলফুল ও অভিজ্ঞ খেলোয়াড় থাকাটা গুরুত্বপূর্ণ। সে আগে এখানে এসেছে- তার শক্তি, মনোভাব এবং কাজের প্রতি নিবেদন আমাদের দারুণ সহায়তা করবে।’