মুশফিকের রিভার্স সুইপে সমর্থন দিয়ে মুমিনুলের অনুরোধ

পোর্ট এলিজাবেথে কঠিন পরিস্থিতিতে মুশফিকুর রহিম রিভার্স সুইপ খেলার সিদ্ধান্ত নিয়ে দলকে বিপদে ফেলেছেন। টেস্ট ক্রিকেটে এমন শটস কোনও ব্যাটারের জন্যই আদর্শ হতে পারে না। কিন্তু বরাবরের মতো এই টেস্টেও মুশফিক খামখেয়ালী আচরণ করলেন। তার এমন ভুলে টিম ডিরেক্টের খালেদ মাহমুদ সুজন সমালোচনা করলেও পাশে পাচ্ছেন অধিনায়ক মুমিনুল হককে।

সুইপ, স্লগ সুইপ, রিভার্স সুইপ, প্যাডেল সুইপ, স্কুপ- এসব খেলতে পারা যেকোনও ব্যাটারের জন্যই দারুণ স্কিলের পরিচয়। বাংলাদেশের অন্যতম সেরা ব্যাটার মুশফিক এই শটগুলোতেই বহু রান করেছেন। ভাগ্যের নির্মম পরিহাস হচ্ছে, এই শটগুলো খেলতে গিয়েই গুরুত্বপূর্ণ সময়ে আউট হয়ে বাংলাদেশ দলকেও তিনি বিপদে ফেলছেন। শনিবারও একই ‘কাণ্ড’ ঘটিয়েছেন এই উইকেটকিপার ব্যাটার।

শনিবার দুর্দান্ত এক হাফসেঞ্চুরি করে দারুণ কিছুর ইঙ্গিত দিচ্ছিলেন মুশফিক। কিন্তু লাঞ্চ বিরতির ৫ মিনিট আগে রিভার্স সুইপ করে আত্মহুতি দিলেন। তার এই শটস নিয়ে মুমিনুল বলেছেন, ‘আমার কাছে মনে হয়, ওয়ানডে টেস্ট বা টি-টোয়েন্টি... যেসব জায়গায় খেলা হয়, উনি (মুশফিক) কিন্তু এই শটসটা পারেন। আমার কাছে মনে হয়, এটা উনার ক্রিকেটের একটা শট। ক্রিকেটের বাইরে কোনও শট তো না। এই শট তো খেলতেই পারেন। উনার গেম প্লানে যদি থাকে, এটা খেলবেনই। আর এটা এমন না যে উনি খেলে রান করেননি বা সফলতা পাননি। আমার মনে হয়, উনাকে সাপোর্ট করা উচিত। আমি উনাকে সাপোর্টও করি।’

কিন্তু ম্যাচের কঠিন পরিস্থিতি বিবেচনা করে এমন শটস কীভাবে সমর্থনযোগ্য? মুমিনুল বলেছেন, ‘আমি তো এর আগেও বলেছি এই শটে কিন্তু সফলতা পেয়েছেন। আপনিও দেখেছেন। আমি দেখেছি। আমি আপনাদের অনুরোধ করতে পারি, আপনারা যদি জিনিসটা নিয়ে এভাবে না বলেন তাহলে দলের জন্য ভালো হয়। সিরিয়াসলি। আপনারা যদি জিনিসটা নিয়ে অনেক বেশি গবেষণা করেন, জিনিসটা নিয়ে যদি উনাকে বলতে থাকেন, উনার নিজের জন্য খারাপ। আমাদের দলের জন্য খারাপ। বাংলাদেশ দলের জন্যও খারাপ, ইভেন আপনার দেশের জন্যও খারাপ। উনি যদি শটটা খেলেন এবং সফলতা পান, তাহলে তো হলোই।’