শর্ট বলে আউট সাকিব, একার লড়াইয়ে মুশফিক  

জোড়া আঘাতে বাংলাদেশের বড় লিডের পথে কাঁটা বিছিয়ে দিয়েছে শ্রীলঙ্কা। রাজিথার পেস বোলিংয়ে সেঞ্চুরি বঞ্চিত হন লিটন। পরের বলে ফেরান তামিম ইকবালকেও। সাকিব কিছুক্ষণ প্রতিরোধ গড়লেও ধৈর্য ধরে থাকতে পারলেন না। শর্ট বলের ফাঁদে পড়ে পড়ে ৪৪ বলে ২৫ রানে ফিরেছেন এই অলরাউন্ডার। তাতে প্রথম টেস্টের প্রথম ইনিংসে বাংলাদেশের সংগ্রহ ১৫২.৩ ওভারে ৬ উইকেটে ৪৩২ রান। লিড দাঁড়িয়েছে ৩৫ রানের। অষ্টম সেঞ্চুরি তুলে একার লড়াইয়ে মুশফিক ব্যাট করছেন ১০১ রানে। সঙ্গে রয়েছেন নাঈম হাসান (৩)।

আসিথা ফার্নান্ডো বার বার শর্ট বল দিয়ে সাকিবকে প্রলুব্ধ করে যাচ্ছিলেন। কিন্তু ১৬.১ ওভারে আর ধৈর্য ধরে রাখতে পারেননি। আসিথার তেমনই এক শর্ট বলে ক্যাচ উঠলে তা গ্লাভসে জমান নিরোশান দিকবেলা।

৩ উইকেটে ৩১৮ রান নিয়ে দিন শুরু করা বাংলাদেশকে পথ দেখাচ্ছিলেন মুশফিক-লিটন। তৃতীয় দিনের শেষ সেশন থেকে শুরু হয় তাদের আধিপত্য। শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে এই জুটির শাসন চলে চতুর্থ দিনের প্রথম সেশনেও। অবিশ্বাস্য ব্যাটিংয়ে চতুর্থ দিনটাও সম্ভাবনাময় করে তুলেন তারা। কিন্তু এটাও মাথায় রাখতে হবে টেস্টের রোমাঞ্চ লুকিয়ে থাকে প্রতিটি সেশনে। যেমনটা দেখা গেলো লাঞ্চের বিরতির পর প্রথম ওভারেই। জোড়া আঘাতে বাংলাদেশকে কাঁপিয়ে দেন কনকাশন সাব কাসুন রাজিথা। লিটন দাসকে সেঞ্চুরি বঞ্চিত তো করেছেনই। রিটায়ার্ড হার্ট হয়ে পরে নামা সেঞ্চুরিয়ান তামিম ইকবালকেও আর ইনিংস বড় করতে দিলেন না।

উপভোগ্য ব্যাটিংয়ে মনে হচ্ছিল লিটন দাস বোধহয় সেঞ্চুরির দেখা পাবেন। কিন্তু লাঞ্চের পর ফিরেই ভুল করে বসেন লিটন। অযথা রাজিথার অফস্টাম্পের বাইরের বল খেলতে গিয়ে গ্লাভসবন্দি হয়েছেন। তাতে ১৮৯ বলে ৮৮ রানে শেষ হয় লিটনের ইনিংস।

লিটনের ফেরায় ভেঙে যায় ১৬৪ রানের অসাধারণ জুটি। তার পর তামিমের মাঠে নামাটা প্রত্যাশিতই ছিল। কিন্তু বামহাতি ওপেনারকে টিকতেই দেননি রাজিথা। পায়ের কাছে ভেতরে ঢুকে পরা এক ডেলিভারি দিলে পুরোপুরি পরাস্ত হন তামিম। ফলাফল বল উপড়ে ফেলে স্টাম্প। তাতে ২১৮ বলে ১৩৩ রানে বিদায় নিতে হয়েছে তাকে। কিছুক্ষণ পর সাকিবও ক্যাচ আউট হতে হতে বেঁচেছেন। তার ক্যাচ উঠলেও শর্ট লেগের ফিল্ডার তা হাতে ঠিকমতো জমাতে পারেননি। রিপ্লে দেখেও নির্ণয় করা যায়নি ফিল্ডার ক্যাচটা ঠিকমতো নিতে পেরেছেন কিনা। ফলে নটআউটই থাকে সিদ্ধান্ত।      

৫৩ রান নিয়ে চতুর্থ দিন খেলতে নামা মুশফিক অবশ্য সেঞ্চুরির দেখা পেয়েছেন দুই বছর পর। সর্বশেষ ২০২০ সালে মিরপুরে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে ২০৩* রানের ইনিংস খেলেছিলেন। একই দিন টেস্ট মেজাজের দারুণ প্রদর্শনীতে ছুঁয়েছেন মাইলফলকও। বাংলাদেশের প্রথম ব্যাটার হিসেবে পূরণ করেছেন ৫ হাজার রান।