কখনোই বলিনি টেস্ট খেলতে চাই না: মোস্তাফিজ

২০১৫ সালে লাল বলের ক্রিকেটে অভিষেক হয় মোস্তাফিজুর রহমানের। বাঁহাতি এই পেসার গত ৭ বছরে খেলেছেন মাত্র ১৪ টেস্ট। করোনার সময়ে জৈব সুরক্ষা বলয়ের কারণে টেস্ট খেলতে চাইছিলেন না। এখন চাইছেন না ‘ওয়ার্কলোডের কারণে’। মোস্তাফিজের এমন সিদ্ধান্ত টিম ম্যানেজমেন্টের অনেকেরই পছন্দ হচ্ছে না।  বিশেষ করে, শরিফুল ইসলাম ও তাসকিন আহমেদের ইনজুরিতে তাকে চাইছে টিম ম্যানেজমেন্ট। যদিও ওয়েস্ট ইন্ডিজ সফরে মোস্তাফিজকে দেখার সম্ভাবনা ক্ষীণই!

মূলত টিম ম্যানেজমেন্টের চাওয়ায় বাঁহাতি পেসারকে টেস্টে ফেরাতে উদগ্রীব বাংলাদেশের ক্রিকেটের নিয়ন্ত্রক সংস্থা বিসিবি। এজন্য আনুষ্ঠানিকভাবে তাকে চিঠিও দেওয়া হয়েছে। বিসিবির পাঠানো চিঠির উত্তরে মোস্তাফিজ টেস্ট ক্রিকেট খেলার ব্যাপারে সম্মতি দিয়েছেন। তবে যথেষ্ট প্রস্তুতি ছাড়া খেলতে চান না তিনি। এই কারণে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে জুনে অনুষ্ঠিত দুটি টেস্ট খেলার ইচ্ছা নেই তার। পরবর্তীতে যেকোনও সময় টেস্ট খেলার আগ্রহ আছে এই পেসারের।

ইংরেজি দৈনিক নিউ এজ-কে দেওয়া এক প্রতিক্রিয়ায় মোস্তাফিজ বলেছেন, ‘আমি কখনোই বলিনি আমি টেস্ট খেলতে চাই না। বিসিবির যদি আমাকে প্রয়োজন হয় আমি দলের হয়ে খেলতে প্রস্তুত আছি। দেশের হয়ে যেকোনও ফরম্যাটে খেলতেই আমি প্রস্তত আছি।’

আইপিএলে এবার দিল্লি ক্যাপিটালসের হয়ে খেলছেন মোস্তাফিজ। তবে এ মাসের শুরুর দিকের পর দিল্লির জার্সিতে আর কোনও ম্যাচ খেলেননি কাটার মাস্টার।

গত ৭ মে বাংলাদেশ দলের টিম ডিরেক্টর খালেদ মাহমুদ সুজন রাগ উগড়ে দিয়েছিলেন। তার মতে, মোস্তাফিজ কী খেলবেন, কী খেলবেন না, সেটি নিয়ন্ত্রণ করবে বোর্ড, ‘মোস্তাফিজ কেন খেলতে চায় না, আমি জানি না। এটা বোর্ডই নির্ধারণ করবে, কাকে কোথায় খেলতে হবে। আপনি কি অফিসে বলতে পারেন- আমি এই কাজ করবো না, ওই কাজ করবো? আপনি এখানে কর্মী, আপনি কীভাবে বেছে নেবেন? সভাপতি (নাজমুল হাসান পাপন) বলেছিলেন সিনিয়র ক্রিকেটারদের ব্যাপারে। সাকিব-তামিমদের বয়স ৩৪-৩৫। তাদের এখন বিরতি প্রয়োজন, তারা এটার যোগ্য। মোস্তাফিজের অবশ্যই টেস্ট খেলা উচিত।’

এরপর কোচরা মোস্তাফিজের সিদ্ধান্ত নিয়ে নানা ধরনের মন্তব্য করেছেন। বাঁহাতি পেসারের সিদ্ধান্তকে ‘ব্যক্তিগত পছন্দ’ হিসেবেই দেখছেন পেস বোলিং কোচ অ্যালান ডোনাল্ড, ‘আমি মোস্তাফিজের অনেক বড় ভক্ত। আমি মনে করি, সাদা বলে সে দারুণ এক বোলার। আমার রোমাঞ্চিত হওয়ার একটা কারণ হলো, এখনকার ছেলেরা সঠিক প্রশ্নটা করে, তারা শিখতে চায়। সাদা বলের কথায় যদি আসি, সামনে বিশ্বকাপ আছে, তাই আমাদের আবার একটু লাগাম টানতে হবে। ওয়ার্কলোড নিয়ে আমি চিন্তিত নই। ছেলেরা ওয়ার্কলোড ভালোভাবেই সামাল দিচ্ছে।’