লিটন ফিরলেও এগিয়ে চলেছেন মুশফিক

মিরপুরে দ্বিতীয় টেস্টের প্রথম দিনের প্রথম সেশনটা ভুলে যেতে চাইবে বাংলাদেশ। ২৪ রানে ৫ উইকেট হারানো দলটি শেষ পর্যন্ত ঘুরে দাঁড়ায় লিটন দাস-মুশফিকুর রহিমের অবিশ্বাস্য লড়াইয়ে। যে লড়াই আবার ষষ্ঠ উইকেটে গড়েছে বিশ্বরেকর্ডও।

শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে দ্বিতীয় দিন এই জুটি নিয়েই খেলতে নেমেছিল স্বাগতিক দল। ৫ উইকেটে ২৭৭ রানে দিন শুরুর পর মাত্র ৭ ওভার স্থায়ী ছিল এই জুটি। যোগ করেছে আর ১৯ রান। ৯২.১ ওভারে লিটন দাসকে ফিরিয়ে তাদের প্রতিরোধ ভেঙেছেন কাসুন রাজিথা। লঙ্কান পেসার একই ওভারে ফিরিয়েছেন মোসাদ্দেক হোসেনকেও। অপরপ্রান্ত আগলানো মুশফিকুর রহিমের অপরাজিত ১৫০ প্লাস রানে এগিয়ে চলেছে স্বাগতিকদের প্রথম ইনিংস। ১০২ ওভারে বাংলাদেশের সংগ্রহ দাঁড়িয়েছে ৭ উইকেটে ৩৩৭। মুশফিক ক্রিজে আছেন ১৫৭ রানে। সঙ্গে ১০ রানে ব্যাট করছেন তাইজুল।  

ষষ্ঠ উইকেটে লিটন-মুশফিক জুটি বাংলাদেশের সেরা তো অবশ্যই। কিন্তু ২৫ রানের কমে ৫ উইকেট হারানো কোনও দলের ষষ্ঠ উইকেটে শতরান ছাড়ানো জুটি এটাই প্রথম। লিটনের বিদায়ের আগ পর্যন্ত ২৭২ রান যোগ করেছে এই পার্টনারশিপ। এই জুটিতে ভর করেই বাংলাদেশ এখন সুবিধাজনক একটি জায়গায়।

দিনের শুরুতে পেসার কাসুন রাজিথা ভালো লেংথের বলে স্বাগতিক দুই ব্যাটারকে বিপদে ফেলার চেষ্টা করেছিলেন। তার সাফল্য আসে ৯৩তম ওভারে। অফস্টাম্পের বাইরের বল খোঁচা মারতে গিয়ে দ্বিতীয় স্লিপে তালুবন্দি হন লিটন। কয়েকবার জীবন পাওয়া এই ব্যাটার অবশেষে ফিরলেন ২৪৬ বলে ১৪১ রান করে। তাতে ছিল ১৬টি চার ও ১টি ছয়ের মার।

দুই বল বিরতি দিয়ে মোসাদ্দেক হোসেনকেও তুলে নেন রাজিথা। তিন বছর পর টেস্ট খেলতে নামা এই অলরাউন্ডার সুযোগের সদ্ব্যবহার করতে পারলেন না। লিটনের মতো একই রকম ভঙ্গিতে খোঁচা মারতে গিয়ে গ্লাভসবন্দি হন শূন্য রানে।   

টস জিতে ব্যাটিংয়ে নামার পর নিজেরাই নিজেদের বিপদে ফেলে বাংলাদেশ। শুরুতে বাংলাদেশকে কাঁপিয়ে দেয় লঙ্কান পেস বোলিং। ৪২ মিনিটে ৫ উইকেট হারানোর পর আর কোনও বিপদ ঘটতে দেয়নি লিটন-মুশফিকের গড়া দেয়াল। অবশ্য উইকেট যে এখনও ব্যাটিং সহায়ক তার বড় প্রমাণ এই দুজনের অবিচ্ছিন্ন জুটি। শুরুর ব্যাটাররা কৌশলী হতে পারেননি বলেই প্রথম সেশনটা হয়ে থাকে বাজে ব্যাটিংয়ের অনন্য নিদর্শন।

এখন পর্যন্ত লঙ্কানদের সেরা বোলার রাজিথা। নিয়েছেন ক্যারিয়ার সেরা ৫ উইকেট। আসিথা নিয়েছেন দুটি।