বাজে উইকেটে খেলে উন্নতি সম্ভব নয়: ডমিঙ্গো

লঙ্কানদের বিপক্ষে দ্বিতীয় টেস্ট বাঁচাতে পারেনি বাংলাদেশ। ব্যাটিং ব্যর্থতার পাশাপাশি পেসারদের নখদন্তহীন বোলিংয়ে দেড় সেশন আগেই ১০ উইকেটের জয় পেয়েছে সফরকারীরা। লঙ্কানদের বিপক্ষে অসহায় আত্মসমর্পণ করে প্রধান কোচ রাসেল ডমিঙ্গো একটা যুক্তি দেখাতে চাইলেন। তার মতে, বাংলাদেশ দল বাজে উইকেটে খেলে অভ্যস্ত। সে কারণেই টেস্টে ক্রিকেটে তাদের উন্নতি সম্ভব নয়।

সংবাদ সম্মেলনে প্রধান কোচ বলেছেন, ‘ওরা (বাংলাদেশ) বাজে উইকেটে খেলে অভ্যস্ত, তাই ভালো করতে পারছে না। আমি হতাশাটা বুঝতে পারছি। যতো ভালো উইকেটে আমরা খেলবো, ক্রিকেটারদের উন্নতিও তত ভালো হবে। আমি জানি সবাই জিততে চাচ্ছে। অবশ্যই দ্রুততম সময়ে ফলাফলের সুযোগও আছে।’

অতীতে মিরপুরে স্লো ও টার্নিং উইকেট বানিয়ে প্রতিপক্ষকে নাস্তানাবুদ করা গেছে। অস্ট্রেলিয়া-ইংল্যান্ডের মতো দলকে এই কন্ডিশনে নাকানি-চুবানিও দেওয়া গেছে। মিরপুরে ২০১৬ সালে ইংল্যান্ডের ও ২০১৭ সালে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে স্লো-টার্নিং উইকেট বানিয়ে বাংলাদেশ জয় পেয়েছিল। আবার আফগানিস্তানের বিপক্ষে চট্টগ্রামে এমন উইকেট বানিয়ে উল্টো ফলও পেয়েছিল। এবার অবশ্য ভালো উইকেটে খেলেও শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে দাঁড়াতে পারেনি। কেননা অন্য সময়ের চেয়ে মিরপুরের উইকেট ছিল বেশ ভালো। এখানে ব্যাটারদের পাশাপাশি বোলারদেরও সমান ভূমিকা রাখার সুযোগ ছিল। ডমিঙ্গো তাই অতীতের পরিসংখ্যান তুলে বলেছেন, ‘বাজে উইকেটে খেলে প্রতিপক্ষকে ১০০ রানে অলআউট করে আমরা ১২০ রান করবো। এভাবে দল উন্নতি করবে না। এভাবে খেলে কিন্তু সিরিজও জিততে পারিনি।’

স্লো আর স্পিনিং উইকেটে খেলে বাংলাদেশ ঘরের মাঠে সাফল্য পেলেও বিদেশের মাটিতে সাফল্যহীন। লঙ্কানদের বিপক্ষে ঢাকা টেস্টে ছিল স্পোর্টিং উইকেট। তার পরেও বাংলাদেশ সুবিধা আদায় করতে পারেনি। ডমিঙ্গো মনে করেন টেস্ট সংস্কৃতির পরিবর্তন এলেই সাফল্য পাওয়া সম্ভব হবে, ‘টেস্ট অভিজ্ঞতা হয়তো এক। কিন্তু ওদের তরুণ ক্রিকেটারদের প্রথম শ্রেণির অভিজ্ঞতা অনেক। এক্ষেত্রে টেস্ট সংস্কৃতির একটা পরিবর্তন আসতে হবে। এই পরিবর্তনটা আসবে যখন, আমরাও টেস্ট জিততে পারবো। টেস্ট ক্রিকেট খেলার আগ্রহ, ইচ্ছা তখনই বাড়বে যখন আমরা বড় একটা টেস্ট সিরিজ জিতবো।’