ডিউক বলের রহস্য উন্মোচন করার চেষ্টায় মোস্তাফিজ

২০১৫ সালে লাল বলের ক্রিকেটে অভিষেক হয় মোস্তাফিজুর রহমানের। তার পর থেকে বাঁহাতি পেসারকে এই ফরম্যাটে খুব একটা দেখা যায়নি। সর্বশেষ টেস্ট-ই খেলেছেন ২০২১ সালে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে। তাতে দীর্ঘ বিরতির পর মাঠে ফেরা মোস্তাফিজের জন্য সব কিছু রহস্যময় হয়ে উঠেছে। যে কারণে, ডিউক বলের রহস্য উন্মোচন করতে শনিবার তার সঙ্গে দীর্ঘক্ষণ কাজ করেছেন পেস বোলিং কোচ অ্যালান ডোনাল্ড। এদিন পুরোটা সময় মোস্তাফিজকে ডিউক বলের ‘অ আ ক খ’শিখিয়েছেন প্রোটিয়া কিংবদন্তি।

দেশে কিংবা দেশের বাইরে সীমিত পরিসর বা বড় দৈর্ঘ্যের ক্রিকেটে কুকাবুরা বা এসজি বলে দিয়ে খেলে থাকে বাংলাদেশ। কেবলমাত্র ওয়েস্ট ইন্ডিজ ও ইংল্যান্ডে টেস্ট হলেই তা হয় ডিউক বলে।

বাংলাদেশের বেশ কয়েকজনের ডিউক বলে খেলার অভিজ্ঞতা থাকলেও মোস্তাফিজের তা নেই। তাই সতীর্থ এবাদত হোসেন, খালেদ আহমেদ, রেজাউর রহমান রাজারা যখন প্রস্তুতি ম্যাচ খেলছেন, মোস্তাফিজ তখন ডিউক বলের রহস্য উন্মোচনে ব্যস্ত। আর এমন কঠিন চ্যালেঞ্জে পাশে পেলেন ওয়েস্ট ইন্ডিজের মাটিতে ৫ টেস্টে ২০ উইকেট নেওয়া অ্যালান ডোনাল্ডকেই। বাংলাদেশের পেস বোলিং কোচ শুধু ক্যারিবিয়ানেই সফল নন, ইংল্যান্ডেও ৮ টেস্টে তার শিকার ৪৫ উইকেট।

বিসিবির দেওয়া ভিডিও বার্তায় অনুশীলনের বিস্তারিত তুলে ধরেন বোলিং কোচ, ‘ফিজের সঙ্গে মাত্রই একটি সেশন হলো। আইপিএলের পর প্রথম বোলিং করলো সে। বল নিয়ে কিছুটা ধারণা দিলাম। ডিউক বলে এটি তার প্রথম অভিজ্ঞতা। গ্রিপে খুব সূক্ষ্ম পরিবর্তন করেছি। তার মনে হচ্ছে, বেশ ভালোভাবে হাত থেকে বল বেরোচ্ছে।’

ডিউক বলগুলির মৌলিক পার্থক্য সিম বা সেলাইয়ে। ডিউক বলের সিম বেশি খাড়া হওয়াতে লম্বা সময় ধরে টিকে থাকে। এই কারণে সুইংটাও বেশি হয়। কুকাবুরা বলে সিম অতটা উঁচু না হওয়াতে শুরুতে সুইং পেলেও দীর্ঘক্ষণ এই সুবিধা পাওয়া যায় না। এসজি বলের সিম কুকাবুরার চেয়ে একটু বেশি খাড়া থাকে বটে। তবে কুকাবুরার চেয়ে কিছুটা ভালো হলেও বেশিক্ষণ সুইংয়ের সুবিধা পাওয়া যায় না। 

ডোনাল্ড বলের তুলানামূলক বিশ্লেষণ করে বলেছেন, ‘কুকাবুরা থেকে এবার ডিউক বলের পালা (মোস্তাফিজের)। যে বলের সঙ্গে আমি খুব ভালোভাবেই পরিচিত। ওয়ারউইকশায়ারের হয়ে কাউন্টি ক্রিকেটে ও ইংল্যান্ডে টেস্ট ম্যাচে খেলেছি। এই বলের সিম বেশ উঁচু। তবে এটিতে মানিয়ে নিতে হলে অনেক কাজ করতে হবে।’