আইপিএল বয়কটের মানেই হয় না: সাকিব

দারুণ ফর্ম থাকা সত্ত্বেও আইপিএলের গত আসরে কোনও দলই তার প্রতি আগ্রহ দেখায়নি। ২০১৯ বিশ্বকাপের আগে দল পেলেও কোনও ম্যাচ খেলার সুযোগ পাননি বাঁহাতি এই অলরাউন্ডার। প্রবাসী বাঙালিদের অনেকেই এই উপেক্ষা মেনে নিতে পারেননি। সাকিবকে কাছে পেয়ে আবেগ লুকিয়ে রাখতে পারেননি তারা। তাই তো  সাকিবের কাছে সরাসরিই জানতে চেয়েছিলেন, পরের আইপিএলে সুযোগ পেলে খেলবেন কিনা?

যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্কে একটি অনুষ্ঠানে সাকিব আল হাসান ও ঢালিউড কিং শাকিব খান একই মঞ্চে সময় কাটিয়েছেন। ওই অনুষ্ঠানেই ভক্তদের নানা প্রশ্নের উত্তর দিয়েছেন সাকিব। আইপিএল নিয়ে জানতে চাওয়া হলে বাঁহাতি অলরাউন্ডার বলেছেন, ‘দেখেন, আসলে আবেগের জায়গাটা কম, আবেগ দিয়ে সবসময় সবকিছু বিবেচনা করা যায় না। আইপিএল এমন একটা মঞ্চ এখন, আপনি স্বীকার করেন বা না করেন পুরো বিশ্ব ক্রিকেটই চায় এমন একটা জায়গায় খেলতে। এখানে খেলাটা সব খেলোয়াড়ের জন্যই ভালো একটা সুযোগ। এখান থেকে যে অভিজ্ঞতাটা আপনি পান, সেটি অনেক বড় কিছু।’

২০১৯ বিশ্বকাপের আগে আইপিএলে ম্যাচ খেলার সুযোগ পাননি সাকিব। বাঁহাতি অলরাউন্ডার অবশ্য বসে থাকেননি, কঠোর পরিশ্রম করে বিশ্বকাপের প্রস্তুতি নিয়েছেন। ২০১৯ ওয়ানডে বিশ্বকাপে সাকিব রেকর্ডবুক ওলটপালট করে দিয়েছিলেন। ব্যাট হাতে ৬০৬ রান করার পাশাপাশি ৮ ম্যাচে নিয়েছিলেন ১১ উইকেট। বাঁহাতি এই অলরাউন্ডার মনে করেন, আইপিএলের কারণে বিশ্বকাপে এমন পারফরম্যান্স করতে পেরেছেন।

সাকিবের বক্তব্য, ‘আপনি যদি দেখেন ২০১৯ বিশ্বকাপের আগেও আমি ম্যাচ খেলিনি। পুরো দেড় মাস ওখানে বসেছিলাম। ওখানে থাকার কারণে জনি বেয়ারস্টো, রশিদ খান, ডেভিড ওয়ার্নার, কেন উইলিয়ামসন ওদের সঙ্গে থেকে দেখেছি যে, বিশ্বসেরা কীভাবে হওয়া যায়। বিশ্ব ক্রিকেটকে যে ওরা লিড করে সেটা কী কারণে করে, সেটা আমি ওখান থেকেই জেনেছি। ওখানে যদি না যেতাম কখনোই জানতে পারতাম না। চেষ্টা করেছি কীভাবে ওদের কাছাকাছি যাওয়া যায়। আমার মনে হয়, যেটা আমাকে অনেকটা কাজে দিয়েছে।’

সঙ্গে যোগ করেছেন, ‘২০১৯ বিশ্বকাপে তার ফল আমি পেয়েছি। আইপিএল বলেন, সিপিএল বলেন, খুবই গুরুত্বপূর্ণ। এখান থেকে যে অভিজ্ঞতা পাওয়া যায় তা দেশের ক্রিকেটেরই লাভ হবে। শুধু আইপিএল নয়, অন্য যে কোনও টুর্নামেন্ট বয়কট করার কোনও মানেই হয় না।’