বেটউইনার ইস্যুতে সাকিবকে নোটিশ পাঠাতে পারে বিসিবি

সম্প্রতি অনলাইন বেটিং সাইট বেটউইনারের অঙ্গপ্রতিষ্ঠান বেটউইনার নিউজের শুভেচ্ছা দূত হয়েছেন সাকিব আল হাসান। এটা স্পোর্টস নিউজ ওয়েবসাইট হলেও তাদের আয়ের মূল উৎস অনলাইন বেটিং। এমন সাইটে সাকিবের মতো একজন শুভেচ্ছা দূত হওয়ার পর বিষয়টি নিয়ে সমালোচনার ঝড় উঠেছে। বিসিবি আজকে আনুষ্ঠানিকভাবে জানিয়ে দিয়েছে, বেটিং সাইটে সাকিবের অন্তর্ভুক্তির অনুমতি দেওয়া হবে না। বরং বেটিং সাইটে চুক্তির কারণ জানতে চেয়ে নোটিশ পাঠানো হতে পারে।

অবশ্য এক্ষেত্রে আরেকটি বিষয়ও ঘটেছে কাকতালীয়ভাবে। তিন বছরের জন্য বিপিএলের ফ্র্যাঞ্চাইজি হতে আগ্রহী প্রতিষ্ঠানগুলোর কাছে ইওআই (এক্সপ্রেশন অব ইন্টারেস্ট) চেয়ে ২ আগস্ট পত্রিকায় বিজ্ঞাপন দিয়েছিল বিসিবি। যে প্রক্রিয়ায় কোনও বেটিং এবং অনলাইন বেটিং সংস্থা অংশ নিতে পারবে না। একই দিন অনলাইন বেটিং সাইট বেটউইনারের অঙ্গপ্রতিষ্ঠান বেটউইনার নিউজের দূত হিসেবে সাকিবও চু্ক্তিবদ্ধ হয়েছেন।  

বোর্ডের নিয়ম অনুযায়ী চুক্তিবদ্ধ ক্রিকেটারকে যেকোনও বাণিজ্যিক চুক্তি করার আগে বিসিবিকে অবহিত করা ও তাদের অনুমোদন নেওয়াটা বাধ্যতামূলক। যদিও সাকিব সেটি করেননি। বৃহস্পতিবার বোর্ড সভা শেষে বিসিবি প্রধান জানিয়েছেন, বেটিং সাইটের সঙ্গে থাকার বিষয়টি অনুমোদন করবে না বিসিবি, ‘আমাদের অনুমতি নেওয়ার প্রশ্নই আসে না। কারণ আমরা দিবই না। চুক্তিবদ্ধ হয়েছে কিনা সেটা জানতে হবে, হলে নোটিশ দেওয়া হবে। বেটিং হলে বোর্ড কখনো অনুমোদন করবে না।’

সাকিবের চুক্তিবদ্ধ হওয়া নিয়ে বিসিবি প্রধানের সংশয় থাকলেও সাকিব নিজেই ফেসবুক পোস্টের মাধ্যমে বেটিং সাইটে চুক্তির খবরটি জানিয়েছিলেন। এই অবস্থায় নিশ্চিত ভাবেই বলা যায় সাকিবকে তলব করবে দেশের ক্রিকেটের সর্বোচ্চ নিয়ন্ত্রক সংস্থা।

বাংলাদেশের আইন অনুযায়ী দেশে জুয়া নিষিদ্ধ। কারণ এখনও প্রচলিত আছে ১৮৬৭ সালে প্রণীত পাবলিক গ্যাম্বলিং অ্যাক্ট। তাই কোনও প্রকার জুয়ার কার্যক্রম বা এর সঙ্গে সংশ্লিষ্টতা বাংলাদেশের আইন বহির্ভূত কাজ বলেই বিবেচিত।