যেখানে পার্থক্য দেখছেন তামিম

সাম্প্রতিক সময়ে ওয়ানডে ফরম্যাট নিয়ে গর্ব করার মতো পারফরম্যান্স ছিল বাংলাদেশের। কিন্তু জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে ৯ বছর পর সিরিজ হারে এখন লজ্জাতেই মাথা কাটা যাচ্ছে! দুই ম্যাচে জোড়া সেঞ্চুরিতে বাংলাদেশের কাছ থেকে অনায়াসেই জয় বের করে নিয়েছেন সিকান্দার রাজা, ইনোসেন্ট কাইয়া, রেজিস চাকাভারা। রাজা ব্যাক টু ব্যাক সেঞ্চুরি করেছেন, অন্যদিকে কাইয়া ও চাকাভা করেছেন একটি সেঞ্চুরি। দুই ম্যাচের জোড়া সেঞ্চুরিই পার্থক্য গড়ে দিয়েছে বলে মনে করেন বাংলাদেশের অধিনায়ক তামিম ইকবাল।

পরপর দুই ম্যাচে টস জিতে ব্যাংলাদেশ ব্যাটিংয়ের আমন্ত্রণ জানায় স্বাগতিকরা। প্রথম ম্যাচে ৩০৩ এবং দ্বিতীয় ম্যাচে ২৯১ রান তাড়া করার চ্যালেঞ্জ নিয়ে জয়ী দলের নাম জিম্বাবুয়ে। দুই ম্যাচে বাংলাদেশের ইনিংসে একাধিক হাফসেঞ্চুরি এলেও ছিল না সেঞ্চুরি। অথচ জিম্বাবুয়ের ছিল চারটি। সঙ্গে একাধিক ক্যামিও ইনিংস তো ছিলই। যা বড় ব্যবধান গড়ে গিয়েছে বলে মনে করছেন তামিম। পুরস্কার বিতরণী মঞ্চে অধিনায়ক বলেছেন, ‘পার্থক্য হচ্ছে জিম্বাবুয়ের দুই ম্যাচে চারটি সেঞ্চুরি আছে। বাংলাদেশের একটিও নেই। আমরা সম্মানজনক পুঁজি পেয়েছিলাম। অনেকেই ভালো শুরু পেয়েছে কিন্তু সেটি বড় করতে পারিনি। উইকেট শুরু থেকেই ভালো ছিল। স্পিনারদের বিপক্ষেও ব্যাটিং করা কঠিন ছিল না।’

রবিবার শুরুটা দারুণ করেছিল বাংলাদেশ। ১০ ওভারে বিনা উইকেটে সফরকারীরা তুলে ফেলে ৬২ রান। তামিম ৪৩ বলে ১০ চার ও ১ ছক্কায় হাফসেঞ্চুরি তুলে নেন। তামিম আউট হওয়ার পরই স্লো ব্যাটিংয়ের খেসারত দিতে হয় লাল-সবুজ জার্সিধারীদের। মাহমুদউল্লাহ হাফসেঞ্চুরি পেলেও মাঝে স্লো ব্যাটিং করেছেন। ৮৪ বলে করেছেন ৮০। ৮৪ বলের মধ্যে ৩৬টি বলই আবার দিয়েছেন ডট। জবাবে সিকান্দার রাজার ১১৭, রেগিস চাকাভার ১০২ রানে সহজেই লক্ষ্যে পৌঁছে যায় স্বাগতিকরা। পঞ্চম উইকেটে এই দুই ব্যাটার ২০১ রানের রেকর্ড জুটিও গড়েছেন।

এর আগে, প্রথম ম্যাচে তামিম, লিটন, এনামুল ও মুশফিক হাফসেঞ্চুরি পেয়েছিলেন। কিন্তু সিকান্দার রাজা ও ইনোসেন্ট কাইয়ার সেঞ্চুরিতে জয় পেয়ে যায় জিম্বাবুয়ে। ওই ম্যাচে ১৯২ রানের জুটি গড়েছিলেন তারা।