ফখরের সেঞ্চুরিতে পাকিস্তানের জয়

সাম্প্রতিক সময়ে ওয়ানডেতে সময়টা ভালো যাচ্ছিল না ফখর জামানের। তবে নেদারল্যান্ডস সফরে গিয়েই ছন্দে ফিরলেন এই ব্যাটার। তার দুর্দান্ত সেঞ্চুরিতে ডাচদের বিপক্ষে জয় দিয়ে ওয়ানডে সিরিজ শুরু করেছে পাকিস্তান। রটার্ডামের প্রথম ওয়ানডে ১৬ রানে জিতেছে পাকিস্তান।

ওয়ানডেতে জয়ের ধারা সচল রাখলো পাকিস্তান। ওয়েস্ট ইন্ডিজ সফরের পর নেদারল্যান্ডসেও জয় পেয়েছে তারা। ফখরের ১০৯ রান ও বাবর আজমের ৭৪ রানে ভর করে নির্ধারিত ৫০ ওভারে ৬ উইকেটে ৩১৪ রান করে পাকিস্তান। কঠিন সেই লক্ষ্যে কম যায়নি ডাচরা। স্কট এডওয়ার্ডের হার না মানা ৭১ রানেও অবশ্য হার এড়াতে পারেনি স্বাগতিকরা।

ফর্মে ফিরেছেন ফখর। তার ওপেনিং সঙ্গী ইমাম-উল-হক অবশ্য শুরুতেই বিদায় নেন মাত্র ২ রান করে। এরপর দ্বিতীয় উইকেটে বড় জুটি গড়েন তিনি অধিনায়ক বাবরের সঙ্গে। বাবর দুর্দান্ত ব্যাটিংয়ে হাফসেঞ্চুরির পূরণের পর হাঁটছিলেন সেঞ্চুরির পথে। যদিও ৭৪ রানে তাকে থামতে হয়। ৮৫ বলের ইনিংসটি তিনি সাজান ৬ বাউন্ডারি ও ১ ছক্কায়।

ফখর অবশ্য ভুল করেননি। চমৎকার ব্যাটিংয়ে তুলে নেন ওয়ানডে ক্যারিয়ারের ষষ্ঠ সেঞ্চুরি। রান আউট হওয়ার আগে ১০৯ বলে খেলেন ১০৯ রানের ইনিংস। যাতে ছিল ১২ বাউন্ডারির সঙ্গে ১ ছক্কার মার। দুর্দান্ত এই ইনিংসে ম্যাচসেরার পুরস্কারও জিতেছেন তিনি। এরপর শাদাব খানের ২৮ বলে ৪ বাউন্ডারি ও ২ ছক্কায় অপরাজিত ৪৮ ও আগা সালমানের ১৬ বলে ৩ বাউন্ডারিতে অপরাজিত ২৭ রানে বড় সংগ্রহ দাঁড় করায় পাকিস্তান।

নেদারল্যান্ডসের সবচেয়ে সফল বোলার ব্যাস ডি লিডে। ১০ ওভারে ৪২ রান দিয়ে তার শিকার ২ উইকেট। তার মতো ২ উইকেট পেয়েছেন লগান ফন বিক।

৩১৫ রানের লক্ষ্যে খেলতে নেমে লড়াই করেছে নেদারল্যান্ডস। ওপেনিংয়ে বিক্রমজিত সিং করেন ৬৫। এরপর টম কুপারের ব্যাট থেকেও আসে ৬৫ রান। ৫৪ বলের ইনিংসটি তিনি সাজান ৬ বাউন্ডারি ও ২ ছক্কায়। এরপর লড়াই চালিয়েছেন অধিনায়ক এডওয়ার্ড। তিনি ৬০ বলে ৬ বাউন্ডারি ও ১ ছক্কায় অপরাজিত থাকেন ৭১ রানে।

পাকিস্তানের সবচেয়ে সফল বোলার নাসিম শাহ। এই পেসার ১০ ওভারে ৫১ রানে নেন ৩ উইকেট। হারিস রউফও পেয়েছেন ৩ উইকেট, ১০ ওভারে তার খরচ ৬৭ রান।