আত্মবিশ্বাসী সাকিবকে দেখে উচ্ছ্বসিত পাপন

বিসিবির নতুন পরিকল্পনায় টি-টোয়েন্টি অধিনায়ক এখন সাকিব আল হাসান। তার নেতৃত্বেই এশিয়া কাপে মাঠে নামবে বাংলাদেশ। মহাদেশীয় শ্রেষ্ঠত্বের লড়াইয়ে অধিনায়ক বেশ আত্মবিশ্বাসী। যেটি দেখে উচ্ছ্বসিত বিসিবি সভাপতি নাজমুল হাসান পাপন।

সাম্প্রতিক সময়ে কুড়ি ওভারের ক্রিকেটে বাংলাদেশের পারফরম্যান্স হতাশাজনক। গত টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের ব্যর্থতা থেকে এখনও বেরিয়ে আসতে পারেনি বাংলাদেশ দল। টানা ব্যর্থতা যখন সঙ্গী, তখন অধিনায়ক মাহমুদউল্লাহকে ছেঁটে ফেলে নেতৃত্ব দেওয়া হয়েছিল নুরুল হাসান সোহানকে। তার নেতৃত্বেও জিম্বাবুয়েতে এই ফরম্যাটে ভরাডুবি হয়েছে। এরপরই টি-টোয়েন্টির নেতৃত্বে ফেরানো হয়েছে সাকিবকে।

আজ (বৃহস্পতিবার) সকাল থেকে মিরপুরের সেন্ট্রাল উইকেটে অনুশীলনে ব্যস্ত সময় কাটিয়েছেন সাকিব-মুশফিক-মিরাজ-এনামুলরা। অনুশীলনের মাঝে হুট করেই মাঠে আসেন বোর্ড প্রধান পাপন। অনুশীলন থামিয়ে মুশফিক, মিরাজ, সাইফউদ্দিনরা তার সঙ্গে দেখা করে আলোচনায় যোগ দেন। এ সময় ক্রিকেট পরিচালনা কমিটির প্রধান জালাল ইউনুস ও টিম ডিরেক্টর খালেদ মাহমুদ সুজনও ছিলেন।

এশিয়া কাপে বাংলাদেশের প্রতিপক্ষ ভারত, পাকিস্তান, শ্রীলঙ্কা ও আফগানিস্তান। প্রথম রাউন্ডে শ্রীলঙ্কা ও আফগানিস্তানের বিপক্ষে লড়বে বাংলাদেশ। টি-টোয়েন্টিতে বাংলাদেশের পারফরম্যান্স সুবিধার না হওয়ায় দলের আত্মবিশ্বাসের ঘাটতি আছে। তবে নেতৃত্ব পাওয়ার পর আত্মবিশ্বাসী সাকিব দলে জয়ের বিশ্বাস ছড়িয়ে দিচ্ছেন।

বড় প্রতিযোগিতার আগে অধিনায়কের এমন মনোভাবই গুরুত্বপূর্ণ। আজ সংবাদমাধ্যমের মুখোমুখি হয়ে পাপন তাই বলেছেন, ‘সাকিবের সঙ্গে নিয়মিতই কথা হয়। অনেকের সঙ্গেই কথা হয়, সোহান-লিটন দাসের সঙ্গেও। মোটামুটি সবার সঙ্গেই কথা বলি। আজকে জানতে চাচ্ছিলাম যে ওর (সাকিব) কী মনে হচ্ছে? একটা ব্যাপার দেখলাম, সাকিব আত্মবিশ্বাসী। ওর তো অবশ্য সবসময়ই আত্মবিশ্বাস থাকে। তবে এই মুহূর্তে বেশি জরুরি এটা থাকা।’

পাপন আরও বলেছেন, ‘জিততে পারবো, এই বিশ্বাসটা থাকতে হবে। খেলতে গেলাম... হারা-জেতা নিয়ে আমার কথা নেই। কিন্তু জিততে পারবো, এই বিশ্বাস খেলার মধ্যে থাকা জরুরি। এটা দেখতে পেরেছি, আমি খুশি। হার-জয় বড় কথা নয়, এবার ভালো খেলার চেষ্টা করবো।’

২০১৬ ও ২০১৮ এশিয়া কাপে বাংলাদেশ ফাইনাল খেলেছিল। ভারতের কাছে দুইবারই শিরোপা হারিয়েছিল তারা। এবার ফাইনালে যেতে কঠিন পথ পাড়ি দিতে হবে। গ্রুপ পর্বে আফগানিস্তান ও শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে জয়ের পর সুপার ফোরে চার দলের বিপক্ষে লড়তে হবে। কাজটা বাংলাদেশের জন্য কঠিন হলেও অসম্ভব নয়। দ্বিতীয় দফায় নেত্বত্ব পাওয়া সাকিব, সেই বিশ্বাস দলের মধ্যে কতখানি ছড়িয়ে দিতে পারেন, সেটাই দেখার।