সাবেক সেনা কর্মকর্তা মেজর হাফিজ উদ্দিন একজন রাজনীতিবিদ হলেও তার মূল পরিচয় তিনি একজন তারকা ফুটবলার। স্বাধীনতার পূর্বে পাকিস্তান দলে খেলেছিলেন। স্বাধীনতা পরবর্তী সময়ে ঢাকার ফুটবলে মোহামেডানের জার্সিতে খেলেছেন। ফুটবলার হিসেবে অবসর নেওয়ার পর বাফুফে সভাপতিও হয়েছিলেন। প্রবীণ এই ক্রীড়াবিদের সঙ্গে দেখা করতে গিয়েছিলেন বাংলাদেশের তারকা ক্রিকেটার সাকিব আল হাসান। উদ্দেশ্য ছিল পরামর্শ নেওয়া। যদিও দেশসেরা ক্রিকেটার সাকিব তা কানে নেননি। আজ জেলা ও বিভাগীয় ক্রীড়া সংগঠক অ্যাসোসিয়েশনের আত্মপ্রকাশ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে হাফিজ এ কথা বলেন।
সাকিবের সঙ্গে সাক্ষাতের ব্যাপারে মেজর হাফিজ বলেছেন, ‘সাকিব আমার বাসায় এসেছিল। আলোচনার এক পর্যায়ে তাকে উপদেশ দিয়েছিলাম। আমি বলেছিলাম যা ই করো, আওয়ামী লীগ করো না। সে উপদেশ না শুনে বিপদে পড়েছে।’
সাকিবকে কী পরামর্শ দিয়েছিলেন, সেই ব্যাপারে তিনি বলেছেন, ‘জাতীয় দলে খেলা অবস্থায় রাজনীতিতে যোগদান করা আমার মনঃপুত নয়। আমি তাকে বলেছি তোমার অনেক নাম হয়েছে। বেশ কয়েক বছর ধরে অলরাউন্ডার হয়ে আছো। এখন রাজনীতিতে যেও না। আর গেলে এই দলটি (আওয়ামী লীগ) বেশি দিন আর স্থায়ী নেই। সে আমার কথা শুনে চুপচাপ চলে গেলো।’
মেজর হাফিজ আরও বলেছেন, ‘সে যদি আমার কথা শুনতো। রাজনীতিতে না যেতো, তাহলে এখন সে ঢাকার রাজপথে বিচরণ করতো। এখন তো তার বাড়ি আসাই মুশকিল।’
অনুষ্ঠানের তামিম প্রমঙ্গেও কথা বলেন মেজর হাফিজ। তার মতে তামিমকে সময়ের আগেই অবসর নিতে হয়েছে, ‘তাকে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড ঠিক মতো পরিচালনা করতে পারেনি। ফলে সময়ের আগেই কিছু ফরম্যাট থেকে তাকে সরে আসতে হয়েছে। আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় থাকলে বিভিন্ন ফেডারেশনে এক্সট্রা কাভার (অযাচিত) লোকজন ঢুকে পড়ে।’
ক্রীড়াঙ্গনে দল নির্বাচনে রাজনৈতিক প্রভাব বাংলাদেশের অনেক পুরানো, এই বিষয়টি উল্লেখ করে মেজর হাফিজ আরও বলেছেন, ‘স্বাধীনতার আগে পাকিস্তান দলে এক সময় আমিই ছিলাম বাঙালি খেলোয়াড়। পরবর্তীতে পিন্টু, নুরন্নবীও ছিল। স্বাধীনতার পর মোহামেডান ক্লাবে ভালো খেলেও জাতীয় দলে ডাক পাইনি। কারণ হিসেবে জানা গেলো আমার বাবা ছিলেন চিকিৎসক এবং জাসদ করতেন। সেজন্য আমি জাতীয় দলে খেলতে পারেনি।’