ঘটনাবহুল ম্যাচ জিতে সিরিজ ভারতের

এক ম্যাচেই ঘটলো অনেকগুলো ঘটনা। ম্যাচ চলার সময় মাঠে ঢুকলো সাপ! সেই সাপ ধরতে খেলাও বন্ধ থাকলো কিছুক্ষণ। ফ্লাড লাইট নিভে গেলে দ্বিতীয় দফায় চলে বিরতি। তার পর তো ভারতের ২৩৮ রানের লক্ষ্যটাও দক্ষিণ আফ্রিকা প্রায় তাড়া করে ফেলেছিল! কিন্তু আস্কিং রেট বেশি থাকায় ঘটনাবহুল ম্যাচটা ১৬ রানে জিতে এক ম্যাচ হাতে রেখেই ভারত সিরিজ (২-০) নিশ্চিত করেছে।

গৌহাটিতে দ্বিতীয় টি-টোয়েন্টিতে টস জিতে দক্ষিণ আফ্রিকা ব্যাট করতে পাঠায় স্বাগতিকদের। ভারতের টপ অর্ডারের তাণ্ডবে ৩ উইকেট হারিয়ে ভারত পায় বিশাল সংগ্রহ ২৩৭ রান। লোকেশ রাহুল ও রোহিত শর্মা মিলে যোগ করেন ৯৬ রান। দশম ওভারে রোহিত ৩৭ বলে ৪৩ রানে ফিরলে ভাঙে ওপেনিং জুটি। দলীয় ১০৭ রানে ফেরেন লোকেশ রাহুলও। ফেরার আগে ২৮ বলে ৫টি চার ও ৪ ছক্কায় করেন ৫৭ রান। ম্যাচসেরাও তিনি। তার পর তো কোহলি-সূর্যকুমারের ব্যাটে স্কোর সমৃদ্ধ হয়েছে। অবশ্য বেশি তাণ্ডব চালিয়েছেন সূর্যকুমার। ১৮ বলে তুলে নেন ফিফটি।

সূর্য ইনিংসটা আরও টেনে নিয়ে যেতে পারতেন কিন্তু ২২ বলে ৬১ রান করে ফিরে যান দুর্ভাগ্যজনক রানআউটে। তার আগে ৫টি চার ও ৫ ছক্কায় প্রোটিয়াদের ওপর তাণ্ডব চালিয়েছেন। কোহলি ২৮ বলে ৪৯ রানের অপরাজিত ইনিংস খেলে দলের স্কোরকে ২৩৭ রানে নিয়ে যেতে ভূমিকা রেখেছেন। তার ইনিংসে ছিল ৭টি চার ও ১টি ছয়। শেষ দিকে দিনেশ কার্তিকও ৭ বলে ১ চার ও ২ ছক্কায় ১৭ রানের কার্যকরী ইনিংস খেলেছেন। প্রোটিয়াদের হয়ে ২৩ রানে দুটি উইকেট নেন কেশব মহারাজ।

জবাবে দ্বিতীয় ওভারে দুই উইকেট হারিয়ে ম্যাচটা কঠিন করে ফেলে প্রোটিয়া দল। ৪৭ রানে পড়ে তৃতীয় উইকেট! সেখান থেকে ম্যাচটায় প্রাণ সঞ্চার করেছে ডেভিড মিলার ও কুইন্টন ডি ককের বিধ্বংসী ইনিংস। বিশেষ করে মিলার ছিলেন সবচেয়ে বেশি আগ্রাসী। চার-ছয় বৃষ্টিতে স্কোরটা এমন অবস্থায় নিয়ে আসেন যে, সমাপ্তিটা রোমাঞ্চকর হয়ে দাঁড়িয়েছিল। শেষ ৬ বলে প্রয়োজন পড়ে ৩৭ রান। কিন্তু প্রথম বলে সিঙ্গেল নিয়ে মিলার মোট তিনটি ছয় মেরে বিধ্বংসী এক সেঞ্চুরিই শুধু উপহার দিতে পেরেছেন। শেষ পর্যন্ত প্রোটিয়ারা ৩ উইকেটে করতে পারে ২২১ রান।

৪৭ বলে ৮টি চার ও ৭টি ছয়ে মিলার ১০৬ রানে অপরাজিত থেকেছেন। ডি কক ৪৮ বলে ৩ চার ও ৪ ছক্কায় অপরাজিত থাকেন ৬৯ রানে। ভারতের হয়ে ৬২ রানে দুটি উইকেট নেন আরশদ্বীপ সিং। ৫৩ রানে একটি নেন অক্ষর প্যাটেল।