বিশ্বের সেরা অলরাউন্ডার সাকিব আল হাসানের জন্মস্থান মাগুরাতেই জন্ম অনূর্ধ্ব-১৯ নারী ক্রিকেট দলের অধিনায়ক দিশা বিশ্বাসের। নতুন বছরের প্রথম দিনেই যুব বিশ্বকাপ খেলতে তার নেতৃত্বেই দক্ষিণ আফ্রিকার উদ্দেশ্যে রওয়ানা দেবে অনূর্ধ্ব-১৯ দলের নারী দল। দেশ ছাড়ার আগে সংবাদ মাধ্যমের মুখোমুখি হয়ে দিশা বিশ্বাস জানিয়ে গেছেন সাকিবকে অনুসরণ করে এগিয়ে যাওয়ার কথা, ‘সাকিব ভাই ওয়ার্ল্ড র্যাঙ্কিং প্লেয়ার। আমাদেরও স্বপ্ন উনার মতো হওয়ার। জানি না কতটুকু কী করতে পারবো। তবে সত্যিই প্রেরণা দেয় ভাইয়া অনেক কিছু করেছে, আমাদেরও কিছু করতে হবে। তার পথ অনুসরণ করেই আমাদের যেতে হবে।’
মেয়েদের প্রথম অনূর্ধ্ব-১৯ বিশ্বকাপ খেলতে রবিবার রাত সাড়ে ৯টায় জোহানেসবার্গের উদ্দেশে ঢাকা ছাড়বে জুনিয়র মেয়েরা। শনিবার মিরপুরের একাডেমি মাঠে হয়েছে আনুষ্ঠানিক ফটোসেশন। পরে সংবাদমাধ্যমের মুখোমুখি হন অধিনায়ক।
দল নিয়ে দিশা বলেছেন, ‘ভালো টিম হয়েছে। আমি আমার দল নিয়ে খুব খুশি। ভালো একটা কিছু হবে। ভালো একটা রেজাল্ট আসবে। এর মানে চ্যাম্পিয়ন… এরকম কিছু না। আশা করবো বা চেষ্টাও করবো সবাই ভালো কিছু করার। ভালো খেলার চেষ্টা ও স্ট্যান্ডার্ড একটা রেজাল্ট নিয়ে দেশে ফেরার লক্ষ্য আমাদের।’
জাতীয় দলের মতো জুনিয়র দলেরও মূল শক্তি স্পিন। অধিনায়ক দিশা এমনটাই জানিয়েছেন, ‘ওভারঅল সব কিছুই ভালো। তারপরও যদি বলি আমাদের অলরাউন্ডার বেশি দলে। পেস বোলিং অলরাউন্ডার বেশি, আমি নিজেও যেমন পেস বোলার। বাইরের উইকেট এমন, পেস বোলাররা সুবিধা পাবে আমি মনে করি। এছাড়া আমাদের দুজন লেগ স্পিনার আছে, অফস্পিনার আছে। তবে আমি কমতি মনে করছি না। যা আছে তা দিয়ে কাভার করতে পারবো। ভালো অলরাউন্ডার থাকলে শক্তি বাড়ে। আমি মনে করি সবদিক দিয়েই গ্যাপ পূরণ করা গেছে।’
দক্ষিণ আফ্রিকাতেই ২০২০ সালে আকবর আলীর নেতৃত্বে বাংলাদেশ দল যুব বিশ্বকাপের শিরোপা জেতে। আকবরদের মতো দিশারা সেই স্বপ্ন বুনছেন, ‘ভাইয়ারা যেখান থেকে সফল হয়ে এসেছে, আমাদেরও পরিকল্পনা বা চিন্তা-ভাবনা আছে যে তারা যেহেতু পেরেছে আমরাও পারবো।’
আগামী ১৪ জানুয়ারি বেনোনিতে বিশ্বকাপের উদ্বোধনী দিনে অস্ট্রেলিয়ার মুখোমুখি হবে বাংলাদেশ। ছেলেদের যুব বিশ্বকাপের মতো মেয়েদের এই আসরেও অংশ নেবে ১৬টি দল। পচেফস্ট্রুম ও বেনোনির চারটি ভেন্যুতে অনুষ্ঠিত হবে ম্যাচগুলো।