মেহেদীর ব্যাটে জিতলো রংপুর

মিরপুরের শেষ ম্যাচটিতে দুর্দান্ত এক জয় পেয়ে উজ্জীবিত ছিল ঢাকা ডমিনেটরস। সিলেটে খেলতে নেমেই ফের পরাজয় দেখেছে নাসির-সৌম্য-তাসকিনদের নিয়ে গড়া দলটি। সোমবার আগে ব্যাটিং করে রংপুর রাইডার্সকে ১৪৫ রানের লক্ষ্য দিয়েছিল ঢাকা। জবাবে খেলতে নেমে শেখ মেহেদী হাসানের দারুণ ব্যাটিংয়ে ৬ বল হাতে রেখেই ৫ উইকেটের জয় নিশ্চিত করেছে রংপুর।

সিলেট আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে ১৪৫ রানের লক্ষ্যে খেলতে নেমে দ্বিতীয় ওভারেই শূন্য রানে ফিরে যান মোহাম্মদ নাঈম। দ্বিতীয় উইকেটে মেহেদী ও রনি তালুকদার মিলে ৬৩ রানের জুটি গড়েছেন। রনি ২৯ বলে ২৮ রানের ইনিংস খেলেছেন। তার পর মেহেদী হাসানের ৪৩ বলে ৬ চার ও ৫ ছক্কায় খেলা ৭২ রানের দায়িত্বশীল ইনিংসই জয় পেতে ভূমিকা রেখেছে। এরপর দ্রুত শোয়েব মালিক (৬) ও নুরুল হাসান (০) বিদায় নিলেও সমস্যা হয়নি। মোহাম্মদ নওয়াজ ও আজমতুল্লাহ ওমরজাইয়ের কার্যকরী ও অবিচ্ছিন্ন ২৩ রানের জুটিতে ৬ বল আগেই লক্ষ্য ছুঁয়ে ফেলে তারা। নওয়াজ ১৭ ও ওমরজাই ১২ রানে অপরাজিত থেকেছেন।

ঢাকার বোলারদের মধ্যে সবচেয়ে কিপটে বোলিং করেছেন তাসকিন। ৩ ওভারে ১৪ রান দিয়ে উইকেটশূন্য ছিলেন এই পেসার। সালমান ইরশাদ নিয়েছেন দুটি উইকেট। আমির হামজা, আল আমিন ও সৌম্য একটি করে উইকেট নিয়েছেন।

এর আগে টস হেরে ব্যাটিং করতে নেমে রংপুরের নিয়ন্ত্রিত বোলিংয়ে বড় সংগ্রহ পায়নি ঢাকা। নিয়মিত বিরতিতে উইকেট হারানো দলটাকে সম্মানজনক স্কোর এনে দিতে অবদান রাখেন উসমান ঘানি। ৫৫ বলে ৭ চার ও ৩ ছক্কায় অপরাজিত ৭৩ রানের ইনিংস খেলেছেন তিনি। এছাড়া নাসির হোসেন ৩ চার ও ১ ছক্কায় ২২ বলে ২৯ রানের ইনিংস খেলেছেন। বাকি ব্যাটারদের মধ্যে কেউ অবদান রাখতে পারেননি। তাতে ঢাকার স্কোর গিয়ে থেমেছে ১৪৪ রানে।
 
বল হাতে রংপুরের আজমতউল্লাহ ওমরজাই ২৭ রান দিয়ে ২টি উইকেট নিয়েছেন। মেহেদী ও রাকিবুল নেন একটি করে উইকেট। বোলিংয়ের পর ব্যাট হাতে দলকে জিতিয়ে ম্যাচ সেরা হয়েছেন মেহেদী।