শীর্ষে থাকা সিলেটকে উড়িয়ে দিলো রংপুর রাইডার্স

১৬ পয়েন্ট নিয়ে পয়েন্ট টেবিলে সবার উপরে মাশরাফির সিলেট স্ট্রাইকার্স। শনিবার টেবিলের চার নম্বরে থাকা রংপুর রাইডার্স মাশরাফির দলকে উড়িয়ে দিয়ে শীর্ষে উঠার চ্যালেঞ্জ নিলো। নিজেদের বাকি দুই ম্যাচ জিতলে ১৮ পয়েন্ট নিয়ে নিশ্চিতভাবেই শীর্ষ একে চলে যেতে পারবে রংপুর রাইডার্স। মাশরাফি বিশ্রাম নেওয়াতে এদিন সিলেটকে নেতৃত্ব দেন মুশফিক। তার নেতৃত্বে খেলতে নেমে হারতে হলো সিলেটকে। আগে ব্যাটিং করে রংপুরকে ১৭১ রানের লক্ষ্য দেয় সিলেট। মাশরাফির দলের নখদন্তহীন বোলিংয়ে কঠিন সেই লক্ষ্য ১২ বল হাতে রেখে ২ উইকেটে ছুঁয়ে ফেলে সোহানরা।

মিরপুর শেরে বাংলা স্টেডিয়ামে আগে ১৭১ রানের লক্ষ্যে খেলতে নেমে রংপুরের ওপেনার রনি তালুকদার ঝড়ো ব্যাটিং করেন। নাঈম শেখ তার স্বভাবসুলভ ভঙিমায় খেললেও রনি ছিলেন আগ্রাসী। দুই ওপেনার মিলে ১০ ওভার আগেই তুলে ফেলেন ১০০ রান। মুশফিকের হাতে তালুবন্দি হওয়ার আগে রনি খেলেন ৬৬ রানের ইনিংস। ৩৫ বলে ৮ চার ও ৩ ছক্কায় তার সাজানো ইনিংসের ওপর ভর করেই সহজ জয় পায় রংপুর। মোহাম্মদ নাঈম ৩২ বলে ৪৫ রানের ইনিংস খেলে আউট হন।WhatsApp Image 2023-02-04 at 10.07.25 PM

দুই ওপেনার আউট হওয়ার পর শোয়েব মালিক ও নুরুল হাসানের অবিচ্ছিন্ন ৭৪ রানের জুটিতে ১২ বল আগে ২ উইকেট হারিয়ে জয়ের বন্দরে নোঙর ফেলে রংপুর। শোয়েব ২৪ বলে ৩৯ এবং সোহান ১৭ বলে ১৭ রানে অপরাজিত থাকেন।

সিলেটের বোলাররা শুরু থেকেই ছিলেন এলোমেলো। মাশরাফির অবর্তমানে মুশফিক তার বোলারদের ঠিকঠাক ব্যবহার করতে পারেননি। এতদিন সিলেটকে সার্ভিস দেওয়া দুই বোলার ইমাদ ওয়াসিম ও মোহাম্মদ আমিরকে হারিয়ে এদিন রীতিমতো ধুঁকেছে শীর্ষে থাকা দলটি। পাকিস্তানকে থেকে উড়িয়ে আনা মোহাম্মদ ইফরান ছিলেন সবচেয়ে খরুচে। শুধু তিনিই নন, সিলেটের কোনও বোলারই প্রভাব বিস্তার করতে পারেননি। ইফরান ও রেজাউর একটি করে উইকেট নিয়েছেন।

এর আগে টস হেরে ব্যাটিংয়ের আমন্ত্রণ পাওয়া সিলেটের শুরুটা ভালোই হয়েছিল। নাজমুল হোসেন শান্তকে (১৫) ফিরিয়ে সিলেটের ৪৩ রানের ওপেনিং জুটি ভাঙ্গেন হাসান মাহমুদ। শান্ত ফেরার কিছুক্ষণের মধ্যে ফিরে যান জাকির হাসানও (৭)। এরপর তৃতীয় উইকেট তৌহিদ হৃদয় ও মুশফিকুর রহিম মিলে গড়েন অবিচ্ছিন্ন ১১১ রানের জুটি। এই জুটির ওপর দাঁড়িয়ে সিলেট স্ট্রাইকার্স ২ উইকেট হারিয়ে ১৭০ রান তোলে। আগের ম্যাচের মতো এই ম্যাচেও হাফ সেঞ্চুরির দেখা পান হৃদয়। খেলেন ৫৭ বলে ১৩ চার ও ২ ছক্কায় ৮৫ রানের ইনিংস। মুশফিক অপরাজিত থাকেন ৫৫ রানে। ৩৫ বলে ৫ চার ও ৩ ছক্কায় মুশফিক নিজের ইনিংসটি সাজান।

রংপুরের বোলারদের মধ্যে মেহেদী হাসান ও হাসান মাহমুদ একটি করে উইকেট নিয়েছেন।