৬৫ লাখ টাকায় প্লে-অফ থেকে ডিআরএস

গত কয়েক আসর ধরে বিপিএলে ডিসিশন রিভিউ সিস্টেম (ডিআরএস) নিয়ে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি) নানা অজুহাত দাঁড় করিয়ে আসছে। এবার হক আই কোম্পানির টেকনিশিয়ান না পাওয়ার অজুহাতে গ্রুপ পর্বের ম্যাচগুলোতে ডিআরএস রাখা হয়নি। তবে বিপুল পরিমাণ অর্থ খরচ করে প্লে-অফ থেকে ফিরছে ডিআরএস। বৃহস্পতিবার হক আইয়ের টেকনিশিয়ানরা চলে এসেছেন ঢাকায়।

বিপিএলের পুরো মৌসুমে ডিআরএস রাখলে বিসিবির বিপুল পরিমাণ অর্থ খরচ হতো। সেই অংকের পরিমাণ প্রায় সাড়ে ৭ কোটি টাকা। শরুতে না থাকলেও প্লে-অফ থেকে ডিআরএসের ব্যবস্থা করেছে বাংলাদেশ ক্রিকেটের নিয়ন্ত্রক সংস্থা। যার জন্য ম্যাচ প্রতি গুনতে হবে প্রায় ১৬ হাজার মার্কিন ডলার, বাংলা টাকায় যা ১৬ লাখ টাকার মতো। সে হিসেবে প্লে-অফের চার ম্যাচের জন্য ব্যয় করতে হচ্ছে প্রায় ৬৪ হাজার ডলার বা প্রায় ৬৫ লাখ টাকা।

গ্রুপ পর্বের ম্যাচে বোর্ডের অর্থের অভাব বা ইচ্ছার অভাব যে কোনও কারণেই হোক ডিআরএস না থাকার ফলে প্রবল সমালোচনার মুখে পড়তে হয়েছে বিসিবিকে। যদিও বিসিবি স্পষ্ট করে বলেছিল ডিআরএস না থাকার পেছনে আর্থিক কোনও বিষয় নেই।

বিসিবির প্রধান নির্বাহী নিজামউদ্দিন সুজন বলেছেন, ‘এখানে অর্থের কোনও ইস্যু নেই। আমরা যখন ডিআরএস সম্পর্কে জানতে পেরেছি, সবসময় চেষ্টা করেছি। আমি ব্যক্তিগতভাবে আইসিসির বাণিজ্যিক প্রধানের সঙ্গে কথা বলেছি। কারণ ডিআরএস কোম্পানির সঙ্গে ভালো সম্পর্ক রয়েছে তার। অন্যান্য বোর্ডের সঙ্গেও যোগাযোগ করেছি, কিন্তু এই মুহূর্তে তারা ব্যস্ত।’

তবে সকল অপেক্ষার অবসান করে ডিআরএস চালু হচ্ছে। আগামী ১২ ফেব্রুয়ারির ম্যাচ থেকে থাকছে ডিআরএস। প্লে-অফের তিন ম্যাচ আর ফাইনাল, মোট চার ম্যাচে থাকবে এই পদ্ধতি। ডিআরএসের আওতায় থাকছে হক-আই আর আল্ট্রাএজ প্রযুক্তি। রাউন্ড রবিন লিগে বেশ কয়েকটি ম্যাচে যে বিতর্ক হয়েছিল, প্লে-অফে অন্তত সেটা আর হবে না।

ডিআরএসের সরঞ্জামাদি আগে থেকেই পড়ে ছিলে মিরপুর শেরে বাংলা স্টেডিয়ামে প্রোডাকশন রুমে। ডিআরএস পরিচালায় মোট ৬টি ক্যামেরা ব্যবহার করা হয়, সঙ্গে অপারেটর হিসেবে টেকনিশিয়ান লাগে অন্তত চার জন। এরই মধ্যে ঢাকায় চলে এসেছেন হক আই কোম্পানির টেকনিশিয়ানরা। মিরপুর স্টেডিয়ামে ডিআরএস ইন্সটলের কাজও শুরু করে দিয়েছেন তারা। বিগব্যাশ শেষে করে সরাসরি অস্ট্রেলিয়া থেকে ঢাকায় পা রাখেন এই তিন টেকনিশিয়ান।