সাকিব মনে করেন, ফিল্ডিংয়ে এশিয়ার সেরা বাংলাদেশ

টি-টোয়েন্টি সিরিজ শুরুর আগে চন্ডিকা হাথুরুসিংহে বাংলাদেশ দলকে এশিয়ার সেরা দল হিসেবে দেখার অভিপ্রায় জানিয়েছিলেন। তিন ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজে ইংল্যান্ডকে হোয়াইটওয়াশ করার পর দেখা গেলো, নিজেদের এশিয়া সেরা ফিল্ডিং দল হিসেবে ঘোষণা করেছেন অধিনায়ক সাকিব আল হাসান!

অথচ গত কয়েক সিরিজ ধরে বাংলাদেশের ফিল্ডিং নিয়ে অনেক সমালোচনা ছিল। সেই দলটাই যেন ইংল্যান্ড সিরিজে খোলস ছেড়ে সবকিছুকে ছাপিয়ে গেছে! তিন ম্যাচে বাংলাদেশের ফিল্ডিংয়ে ক্ষীপ্রতা, আগ্রাসী মানসিকতা দেখা গেছে। গ্রাউন্ডস ফিল্ডিংয়ের পাশাপাশি লং ক্যাচেও ফিল্ডাররা দুর্দান্ত ছিলেন। শেষ ম্যাচে এই অসাধারণ ফিল্ডিংয়ে সেট ব্যাটার ইংলিশ অধিনায়ক জস বাটলারকে আউট করা গেছে। দারুণ এক থ্রোতে তাকে রান আউট করেছেন মেহেদী হাসান মিরাজ। ৪০ রানে বাটলার আউট হওয়ার পরই ম্যাচ জেতা সহজ হয় স্বাগতিকদের জন্য।

পুরো সিরিজে দারুণ ফিল্ডিং করায় সাকিব মনে করেন, এই মুহূর্তে এশিয়া সেরা ফিল্ডিং দল বাংলাদেশ। ম্যাচ শেষের সংবাদ সম্মেলনে অধিনায়ক বলেছেন, ‘আমাদের দলের পরিকল্পনা আছে যেন এশিয়ার সেরা ফিল্ডিং দল হতে পারি। আমার মনে হয় না আমরা খুব বেশি দূরে আছি। এই দলটা সম্ভবত এশিয়ার সেরা ফিল্ডিং দল।’

বাক্যটা শেষ করার আগে খানিকটা হেসে সাকিব বলেছেন, ‘আমাকে বাদ দিলে যদিও (হাসি)।’ অবশ্য কথাটা এজন্যই বলেছেন, চট্টগ্রামে প্রথম ম্যাচে সহজ এক ক্যাচ মিস করেছিলেন তিনি। সেই ম্যাচে হাফসেঞ্চুরি ছিল ইংলিশ অধিনায়কের। শেষ পর্যন্ত বাংলাদেশ ম্যাচ জিতে মাঠ ছাড়ে যদিও। ওই ম্যাচে আরও একটি ক্যাচ পড়েছিল নাসুমের হাত থেকে। এর বাইরে পুরো সিরিজে বাংলাদেশকে দুর্দান্ত ফিল্ডিংই করতে দেখা গেছে। লিটন উইকেটের পেছনে অসাধারণ ছিলেন। ৫টি ডিসমিসাল করেছেন; যার মধ্যে ২টি ক্যাচ ও ৩টি স্টাম্পিং। সর্বোচ্চ ৪টি ক্যাচ ধরেছেন নাজমুল হোসেন শান্ত। বাউন্ডারি লাইনে ক্ষীপ্র গতি দেখা গেছে শান্তর মাঝেও।

সাকিব মনে করেন, সিরিজে তাদের বড় উন্নতির জায়গা হচ্ছে এই ফিল্ডিং, ‘অবশ্যই এটা সাধারণ যে কোনো মানুষের চোখে পড়েছে। যে ধরনের ফিল্ডিং আমরা এই তিনটা ম্যাচে করেছি। ইংল্যান্ড এত ভালো ফিল্ডিং দল, তাদের থেকেও ভালো করেছি। আমি বলবো যে, যদি সবকিছু (বিবেচনা করি) সবচেয়ে বড় উন্নতি ফিল্ডিংয়ে। যেটা আমাদের সবসময় করা উচিৎ।’

দুইদিন আগে তরুণ পেসার হাসান মাহমুদও জানিয়েছিলেন, ফিল্ডিং নিয়ে এখন কতটা ফোকাসড তারা, ‘আমাদের দলের সবাই চাচ্ছি যেন ফিল্ডিংটা আরেকটু উন্নতি করা যায়। মাঠে একটু অর্গানাইজড থাকতে চায় সবাই। এমনিতে দেখা যায়, ফাস্ট বোলাররা পেছনে দাঁড়ায়। কাভারে দাঁড়ায় না, পয়েন্টে দাঁড়ায় না। তবে এখন যে সময়টা আসছে, সবাই যে কোনো জায়গায় ফিল্ডিং করার জন্য প্রস্তুত। তো এটা খুব ভালো দিক।’