টি টেনের অভিজ্ঞতা দিয়ে উইন্ডিজের দক্ষিণ আফ্রিকা বধ

সারা বিশ্বেই ফ্র্যাঞ্চাইজি লিগে পা পড়েছে ওয়েস্ট ইন্ডিজের ক্রিকেটারদের। নতুন সংস্করণ টি টেনেও খেলার অভিজ্ঞতা আছে তাদের। সেটা কাজে লাগিয়ে শনিবার সেঞ্চুরিয়নে দক্ষিণ আফ্রিকাকে ৩ বল হাতে রেখে ৩ উইকেটে হারালো উইন্ডিজ।

না, দক্ষিণ আফ্রিকায় ১০ ওভারের খেলা হয়নি। প্রথম টি-টোয়েন্টি বৃষ্টির কারণে কমে দাঁড়ায় ১১ ওভারে। সেখানে টসে হেরে আগে ব্যাটিংয়ে নেমে প্রোটিয়ারা ৮ উইকেটে ১৩১ রান করে। ২২ বলে ৪ চার ও ৩ ছয়ে ৪৮ রানের ব্যাটিং তাণ্ডব চালান ডেভিড মিলার। রিজা হেনড্রিকসের ১২ বলে ২১ ও সিসান্দা মাগালার ৫ বলে ১৮ রানের ক্যামিও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে।

৮ ওভারে দক্ষিণ আফ্রিকার রান ছিল ৫ উইকেটে ৭১। সেখান থেকে শেষ তিন ওভারে ওঠে ৬০ রান। ১৩২ রানের লক্ষ্য দিয়ে হয়তো স্বস্তিতে ছিল প্রোটিয়ারা।

লক্ষ্যে নেমে তাদের স্বস্তি কেড়ে নেয় উইন্ডিজ ব্যাটাররা। ফরটুইন তার দুই ওভারে ৪২ রান দেন এবং তাবরাইজ শামসির দুই ওভারে ২৭ রান তুলে নিয়ে সহজ জয়ের পথে ছিল সফরকারীরা। 

ব্র্যান্ডন কিংয়ে মারকুটে ব্যাটে প্রথম দুই ওভারে স্কোরবোর্ডে ৩৪ রান ওঠে। ৮ বলে ২টি করে চার ছয়ে ২৩ রান করে তিনি আউট হন তৃতীয় ওভারের প্রথম বলে। এরপর জনসন চার্লস ও নিকোলাস পুরানের ঝড়। ১৪ বলে ১ চার ও ৩ ছয়ে ২৮ রান আসে চার্লসের ব্যাটে। তার আগে পুরান ৭ বলে ১৬ রান করে বিদায় নেন। চার্লসের বিদায়ের পর পাওয়েল তাণ্ডব চালান। ৮ ওভারেই রান ৪ উইকেটে ১১২।

শেষ তিন ওভারে দরকার ছিল মাত্র ২০। সহজ লক্ষ্য কঠিন করে তোলেন মাগালা ও আনরিখ নর্কিয়ে। নবম ওভারে ১ উইকেটের বিনিময়ে ৩ রান দেন নর্কিয়ে। পরের ওভারে পরপর দুটি উইকেট নিয়ে মাগালা দেন ৯ রান। শেষ ৬ বলে ৮ রান ঠাণ্ডা মাথায় তুলে নেন পাওয়েল। ১৮ বলে ১ চার ও ৫ ছয়ে ৪৩ রানে অপরাজিত থেকে ম্যাচসেরা তিনি। ১০.৩ ওভারে ৭ উইকেটে ১৩২ রান করে ওয়েস্ট ইন্ডিজ।

ম্যাচ শেষে অধিনায়ক পাওয়েল দাপুটে জয়ের রহস্য জানালেন, ‘দলের অনেকে টি টেন ফরম্যাটে অভ্যস্ত এবং সেটা আমাদের সাহায্য করেছে। বল সুন্দরভাবে আসছিল এবং আমরা জানতাম ১৩০ করা সম্ভব।’ একই ভেন্যুতে রবিবার দ্বিতীয় টি-টোয়েন্টিতে মুখোমুখি হবে দুই দল।