কিংসলের ইতিহাস গড়ার দিনে উচ্ছ্বসিত বাংলাদেশি স্ত্রী-মেয়ে

এলিটা কিংসলে বাংলাদেশের জার্সি গায়ে মাঠে নামবেন- এমন দৃশ্য স্বচক্ষে দেখার জন্য সরাসরি  সিলেটে চলে এসেছিলেন তার স্ত্রী ও মেয়ে। শনিবার বিকালে জেলা স্টেডিয়ামের মাঠে বাংলাদেশের একাদশে শুরুতে কিংসলেকে খেলতে না দেখে মনটা খারাপই হয়েছিল তাদের। ম্যাচের বিরতির পর আবার  মন ভালো হতে সময় লাগেনি। কিংসলে মাঠে নামার সুযোগ পান। প্রথম নাইজেরিয়ান বংশোদ্ভুত স্ট্রাইকার হয়ে লাল-সবুজ জার্সি গায়ে চাপিয়ে খেললেন। এমন দৃশ্য দেখে স্ত্রী ও একমাত্র কন্যা এখন বেজায় খুশি।

২০১১ সালে বাংলাদেশে এসে খেলা শুরু করেন কিংসলে। পরের বছর মন দেওয়া-নেওয়া করে বিয়ে করেন বাঙালি মেয়ে লিজাকে। সেই ঘরে একটি মেয়েও আছে। নামও বাবার নামের সঙ্গে মিলিয়ে রাখা, এলিটা সাফিরা। 

মা ও মেয়ে কিংসলের এমন দিনটির জন্য অপেক্ষায় ছিলেন। স্ত্রী লিজা জাফর যেমনটা বাংলা ট্রিবিউনকে বলেছেন, ‘আসলে এই দিনটির জন্য আমাদের সবার অপেক্ষা ছিল। ওকে লাল সবুজ জার্সি গায়ে খেলতে দেখে কী যে ভালো লেগেছে তা ভাষায় প্রকাশ করতে পারবো না। ২০২১ সালে সে বাংলাদেশি হয়েছে। আর আজ বাংলাদেশ দলে খেলার সুযোগ পেয়ে মনে হচ্ছে সব কিছুই পাওয়া হয়েছে। আমরা আসলে অনেক খুশি।’

কোচ কাবরেরার সঙ্গে কিংসলের পরিবার

মেয়ে এলিটা সাফিরা বাবার খেলা দেখে রোমাঞ্চিত, ‘বাবাকে লাল সবুজ জার্সি গায়ে খেলতে দেখে আমার অনেক ভালো লাগছে। বাবার জন্য গর্বিত। বাবা বাংলাদেশ দলে খেলার সুযোগ পেয়েছে। তবে গোল পেলে আরও ভালো লাগতো। মিস হয়েছে। এর জন্য একটু খারাপ লাগছে।’

শুধু বাংলাদেশেই নয়, নাইজেরিয়ার নাগরিকত্ব না থাকলেও কিংসলের মা ও পরিবারের অন্যদের সঙ্গে তার যোগাযোগ ঠিকই আছে। তারাও বেজায় খুশি।

এমন দিনটি আসলেই কিংসলের পরিবারের জন্য স্মরণীয় একটি দিন।