জয়ে আইপিএল শুরু ডিফেন্ডিং চ্যাম্পিয়নদের

আইপিএলের এবারের আসরটা অনেক কারণে চিত্তাকর্ষক। টুর্নামেন্টকে জনপ্রিয় করতে বের করা হয়েছে কিছু নিয়ম। উদ্বোধনী ম্যাচে সেই নিয়মের আওতায় প্রথম ইমপ্যাক্ট প্লেয়ার ব্যবহার করতে দেখা গেলো মহেন্দ্র সিং ধোনিদের! তার পরেও শেষ হাসি হাসতে পারেনি। ডিফেন্ডিং চ্যাম্পিয়ন গুজরাট টাইটান্স তাদের ৫ উইকেটে হারিয়েছে।

সংক্ষিপ্ত স্কোর: চেন্নাই ২০ ওভারে ১৭৮/৭
গুজরাট ১৯.২ ওভারে ১৮২/৫
ফল: গুজরাট ৫ উইকেটে জয়ী।   

শিরোপা ধরে রাখার মিশনে গুজরাটের শেষ ওভারে ৬ বলে প্রয়োজন ছিল ৮ রান। সেই ওভারটি করছিলেন ইমপ্যাক্ট খেলোয়াড় হিসেবে আম্বাতি রাইডুর বদলে নামা তুশার দেশপান্ডে। তার ওভারে প্রথম বলটি ওয়াইড হলে পরের বলে একটি ছয় আর চার মেরে ৪ বল হাতে রেখে জয় নিশ্চিত করেছেন তেওয়াতিয়া।

১৭৯ রানের লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে গুজরাট ৩৭ রানে হারায় প্রথম উইকেট। তার পর শুবমান গিলের ব্যাটিং জয়ের দিশা দেখিয়েছে। তার সঙ্গী হওয়া সাই সুদর্শন ১৭ বলে ২২ রানে ফিরলে দ্রুত আউট হন অধিনায়ক হার্দিক পান্ডিয়াও (৮)। তার পরেও ডিফেন্ডিং চ্যাম্পিয়নদের জয় পেতে সমস্যা হয়নি। গিল (৬৩) যখন আউট হয়েছেন স্কোর ১৩৮ হয়ে গেছে। গিলের ৩৬ বলের ইনিংসে ছিল ৬টি চার ও ৩ ছয়ের মার। তার পর বিজয় শঙ্কর ২১ বলে ২৭ রানের কার্যকরী ইনিংস খেলে বিদায় নিলে রাহুল তেওয়াতিয়া (১৫*) ও রশিদ খানের (১০*) ক্যামিও ইনিংস জয় পেতে ভূমিকা রেখেছে। চেন্নাইয়ের হয়ে দুটি উইকেট নিয়েছেন রাজবর্ধন হাঙ্গারগেকার।

আহমেদাবাদে জমকালো আয়োজনের পর টস হেরে ব্যাট করতে নামে চেন্নাই। দলের ১৪ রানে কনওয়েকে (১) ফিরিয়েছেন সামি। তার পর ৫০ রানে মঈন (২৩) ও ৭০ রানে বেন স্টোকসকে (৭) ফিরিয়ে তাদের বিপদে ফেলেছেন রশিদ। তার পরেও চেন্নাইয়ের মূল চালিকা শক্তি হয়ে টিকে ছিলেন ঋতুরাজ গায়কোয়াড। তার একার বিস্ফোরক ব্যাটিং বড় স্কোরের স্বপ্নও দেখাতে থাকে। একটা সময় মনে হচ্ছিল দুইশোও অসম্ভব নয়! কিন্তু দলীয় ১৫১ রানে ঋতুরাজ মাত্র ৮ রানের জন্য সেঞ্চুরি বঞ্চিত হলে সেখানেই তাদের বড় স্কোরের সম্ভাবনা শেষ হয়ে গেছে। এই বিস্ফোরক ব্যাটার ৫০ বলে ৯২ রানে আউট হয়েছেন। তার ইনিংসে ছিল ৪টি চার ও ৯টি ছয়ের মার। পরে স্কোরটা ১৭৮ রান পর্যন্ত গেছে শুভাম দুবের ১৯ ও অধিনায়ক মহেন্দ্র সিং ধোনির ১৪ রানের ক্যামিও ইনিংসে। চেন্নাই ৭ উইকেটে করেছে ১৭৮ রান।

গুজরাটের হয়ে দুটি করে উইকেট নিয়েছেন আলজারি জোসেফ, রশিদ খান ও মোহাম্মদ সামি। ম্যাচসেরা হয়েছেন ২৬ রানে দুটি উইকেট নেওয়া রশিদ।